০৬:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টমটম লাইসেন্স নিয়ে নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না আর চালক মালিক নেতারা

কক্সবাজার শহরে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চালক মালিকরা অবৈধ লাইসেন্স বাতিলের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান, ৮ দফা দাবি, ৭ দিনের আলটিমেটাম।

রবিবার (১৮ ই আগস্ট) চালক মালিকরা ৮ দফা দাবী নিয়ে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন চালক মালিকা।

৮ দফা সমুহ
১। আগামী ২৫/০৮/২৪ইং রোজঃ রবিবারের মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার টমটমের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
২। বর্তমানে যে লাইসেন্স রিনিউ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন, সেটি বাতিল করতে হবে।
৩। ২০/০৮/২৪ইং তারিখের মধ্যে আপনারা ২০২৩-২৪ এর যে পুরাতন লাইসেন্স এর প্লেইট গুলি আছে, প্রত্যেক চালক ও মালিক পৌরসভায় জমা দিবেন।
৪। যদি ২১/০৮/২৪ইং তারিখের মধ্যে প্লেইট খুলা না হয়, তাহলে আমার শ্রমিক ভাইয়েরা প্লেইট খুলে নিতে বাধ্য থাকিবে। যদি কোনো বাধা আসে, এর কোনো পরিস্থিতি খারাপ হলে সেটির দায়ভার কক্সবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নিবে ।
৬ । এখনও সময় আছে বিষয়টা আপনারা সাধারণ জনতার কথা বুঝে নিবেন ৷
৭। অন্যায় অনেক হয়েছে, এইবার বন্ধ করুন।
৮। আমরা যদি এর সমাধান না পায়, প্রয়োজনে সারা বাংলাদেশের শ্রমিক মালিক ভাইদেরকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করবো।
৯। অতিতে ৯-৬ করে যা পার পেয়ে গিয়েছেন, এইবার তা চিন্তা করিয়েন না। প্রয়োজনে ঢাকা হাইকোর্ট পর্যন্ত যাবে ।

অবৈধ লাইসেন্স বাতিল করার পরে আমাদের কক্সবাজার পৌরসভার শৃংখলা বজায় রাখার একটি তালিকাঃ

১। আমরা শুনেছি, প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে ব্যাটারী চালিত গাড়ী বি.আর.টি.সি এর আন্ডারে যাবে ।
২। লাইসেন্স দিতে বি.আর.টি.সি তে যদি দেরী হয়।
৩ । তাহলে আমরা ট্রাফিক বিভাগ আমাদের যেই, পোশাক এবং পরিচয়পত্র দিয়েছে এটি দিয়ে কক্সবাজারে আমরা শৃংখলা ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
৪। বি.আর.টি.সি লাইসেন্স দিতে যদি দেরী হয়, প্রয়োজনে আমরা চালক ও মালিক পৌরসভা যে সরকারী রাজস্ব আয় দাবী করে, সেই হিসাবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে আমরা বাৎসরিক ১৫০০-২০০০ টাকা দিতে বাধ্য।

কিন্তু এটি সরকারী ফান্ডে যেতে হবে অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ডাক আসবে।
১ । অবৈধ লাইসেন্স যতদিন পর্যন্ত বাতিল না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো ।
২। প্রয়োজনে পুরো কক্সবাজার পৌরসভা টমটম গাড়ী দিয়ে রাস্তা অবরোধ করবো।
৩ । তাও যদি না হয়, পৌরসভা ঘেরাও কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকিবো ।মাননীয় জেলা প্রশাসক আপনি আমাদেরকে বি.আর.টি.সি অথবা ট্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে সরকারি বাৎসরিক ফি আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করে দিবেন, তা আমরা দিতে বাধ্য থাকিব। আমরা সাধারণ জনগণ আপনার মাধ্যমে এই অবৈধ লাইসেন্স এর সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি পেতে চাই ।

শ্রমিক নেতা জরিফ আলী জানান র্দীঘ সময় পৌরসভার একটি সিন্ডিকেট হাতে জিম্মি ছিল চালক মালিকরা প্রকৃত মালিকরা লাইসেন্স পেতো না, সিন্ডিকেট করে লাইসেন্স বাণিজ্য করে আসছে।সেই সিন্ডিকেট বিরুদ্ধে আজকে আওয়াজ, বাংলাদেশ কোথাও লাইসেন্স নেই কিন্তু পৌরসভা অর্থ বাণিজ্য করার জন্য লাইসেন্স প্রদান করছে সেই লাইসেন্স প্রকৃতরা পাইনি।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান অতি শীঘ্রই টমটম চালক মালিকদের দাবীদাওয়া যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যানবাহন সংশ্লিষ্ট দের সাথে বৈঠক করে সমাধান করা হবে।

টমটম চালক রহিম জানান আমরা পনেরো বছর ধরে টমটম চালায় কিন্তু লাইসেন্স মালিক হতে পারি নাই। লাইসেন্স ভাড়া করে চালাতে হয় আমরা একটা সিন্ডিকেট হাতে জিম্মি অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। প্রকৃত চালক মালিকদের লাইসেন্স দিতে হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

উখিয়ায় ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবক’কে গলাটিপে হত্যা!

টমটম লাইসেন্স নিয়ে নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না আর চালক মালিক নেতারা

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

কক্সবাজার শহরে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চালক মালিকরা অবৈধ লাইসেন্স বাতিলের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান, ৮ দফা দাবি, ৭ দিনের আলটিমেটাম।

রবিবার (১৮ ই আগস্ট) চালক মালিকরা ৮ দফা দাবী নিয়ে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন চালক মালিকা।

৮ দফা সমুহ
১। আগামী ২৫/০৮/২৪ইং রোজঃ রবিবারের মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার টমটমের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
২। বর্তমানে যে লাইসেন্স রিনিউ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন, সেটি বাতিল করতে হবে।
৩। ২০/০৮/২৪ইং তারিখের মধ্যে আপনারা ২০২৩-২৪ এর যে পুরাতন লাইসেন্স এর প্লেইট গুলি আছে, প্রত্যেক চালক ও মালিক পৌরসভায় জমা দিবেন।
৪। যদি ২১/০৮/২৪ইং তারিখের মধ্যে প্লেইট খুলা না হয়, তাহলে আমার শ্রমিক ভাইয়েরা প্লেইট খুলে নিতে বাধ্য থাকিবে। যদি কোনো বাধা আসে, এর কোনো পরিস্থিতি খারাপ হলে সেটির দায়ভার কক্সবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নিবে ।
৬ । এখনও সময় আছে বিষয়টা আপনারা সাধারণ জনতার কথা বুঝে নিবেন ৷
৭। অন্যায় অনেক হয়েছে, এইবার বন্ধ করুন।
৮। আমরা যদি এর সমাধান না পায়, প্রয়োজনে সারা বাংলাদেশের শ্রমিক মালিক ভাইদেরকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করবো।
৯। অতিতে ৯-৬ করে যা পার পেয়ে গিয়েছেন, এইবার তা চিন্তা করিয়েন না। প্রয়োজনে ঢাকা হাইকোর্ট পর্যন্ত যাবে ।

অবৈধ লাইসেন্স বাতিল করার পরে আমাদের কক্সবাজার পৌরসভার শৃংখলা বজায় রাখার একটি তালিকাঃ

১। আমরা শুনেছি, প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে ব্যাটারী চালিত গাড়ী বি.আর.টি.সি এর আন্ডারে যাবে ।
২। লাইসেন্স দিতে বি.আর.টি.সি তে যদি দেরী হয়।
৩ । তাহলে আমরা ট্রাফিক বিভাগ আমাদের যেই, পোশাক এবং পরিচয়পত্র দিয়েছে এটি দিয়ে কক্সবাজারে আমরা শৃংখলা ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
৪। বি.আর.টি.সি লাইসেন্স দিতে যদি দেরী হয়, প্রয়োজনে আমরা চালক ও মালিক পৌরসভা যে সরকারী রাজস্ব আয় দাবী করে, সেই হিসাবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে আমরা বাৎসরিক ১৫০০-২০০০ টাকা দিতে বাধ্য।

কিন্তু এটি সরকারী ফান্ডে যেতে হবে অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ডাক আসবে।
১ । অবৈধ লাইসেন্স যতদিন পর্যন্ত বাতিল না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো ।
২। প্রয়োজনে পুরো কক্সবাজার পৌরসভা টমটম গাড়ী দিয়ে রাস্তা অবরোধ করবো।
৩ । তাও যদি না হয়, পৌরসভা ঘেরাও কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকিবো ।মাননীয় জেলা প্রশাসক আপনি আমাদেরকে বি.আর.টি.সি অথবা ট্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে সরকারি বাৎসরিক ফি আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করে দিবেন, তা আমরা দিতে বাধ্য থাকিব। আমরা সাধারণ জনগণ আপনার মাধ্যমে এই অবৈধ লাইসেন্স এর সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি পেতে চাই ।

শ্রমিক নেতা জরিফ আলী জানান র্দীঘ সময় পৌরসভার একটি সিন্ডিকেট হাতে জিম্মি ছিল চালক মালিকরা প্রকৃত মালিকরা লাইসেন্স পেতো না, সিন্ডিকেট করে লাইসেন্স বাণিজ্য করে আসছে।সেই সিন্ডিকেট বিরুদ্ধে আজকে আওয়াজ, বাংলাদেশ কোথাও লাইসেন্স নেই কিন্তু পৌরসভা অর্থ বাণিজ্য করার জন্য লাইসেন্স প্রদান করছে সেই লাইসেন্স প্রকৃতরা পাইনি।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান অতি শীঘ্রই টমটম চালক মালিকদের দাবীদাওয়া যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যানবাহন সংশ্লিষ্ট দের সাথে বৈঠক করে সমাধান করা হবে।

টমটম চালক রহিম জানান আমরা পনেরো বছর ধরে টমটম চালায় কিন্তু লাইসেন্স মালিক হতে পারি নাই। লাইসেন্স ভাড়া করে চালাতে হয় আমরা একটা সিন্ডিকেট হাতে জিম্মি অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। প্রকৃত চালক মালিকদের লাইসেন্স দিতে হবে।