কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ২৫ ঘণ্টা পর পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জন উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ছাড় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের চৌকিদারপাড়া পাহাড়ি এলাকায় অপহরণকারীরা ফেলে গেলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, অপহরণের খবর পেয়ে পাহাড়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। চাপের মুখে অপহৃত দুই ব্যক্তিকে রেখে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের দাবি, মুক্তিপণ দিয়ে ছাড় পেয়েছে চিকিৎসক জহির উদ্দিন আরমান। অপহরণকারীরা মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবি করে। পরে মুক্তিপণ দেওয়ার পর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের চৌকিদারপাড়া পাহাড়ি এলাকায় তাদের রেখে যায় অপহরণকারীরা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর-হোয়াইক্যং পাহাড়ি ঢালের সড়ক দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন আরমান ও রফিকুল ইসলামকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।
অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন আরমান (৫০) উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে।
জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল বলেন, জরুরি প্রয়োজনে অটোরিকশাযোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন জহির উদ্দিন। পথে হোয়াইক্যং ঢালায় অটোরিকশা থামিয়ে তার ভাইসহ একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা। পরে অটোরিকশা চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মুঠোফোনে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড় পান চিকিৎসক জহির। তবে কত টাকা মুক্তিপণ দিয়েছেন তা জানাননি জহিরের ভাই কমরুদ্দিন। অপহৃত অপরজনের মুক্তিপণের বিষয়টি জানা যায়নি।
জানা যায়, গত বছরের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৭ জন রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে অন্তত ৫৪ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।