০৪:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও দৈনিক কক্সবাজার বার্তার সম্পাদক ছৈয়দ হোছাইন আজীবন থাকবে স্মৃতির মনি কোঠায়

পরম শ্রদ্ধেয় টেকনাফ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার বার্তার সম্পাদক মাওলানা মোঃ সৈয়দ হোসেন চলে গেছেন জীবনের অনিবার্য গন্তব্যে। শত-সহস্র মনের আকাশে আলো জ্বালানো, পথ দেখানো আমাদের বাতিঘরের আলো নিভে গেছে। তিনি প্রায় অর্ধশত বছর ধরে টেকনাফ সাংবাদিকতা ও সংবাদ পত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। দৈনিক সংবাদপত্র সম্পাদনা ও তার পাশাপাশি নিজের মাদ্রাসা পরিচালনা সমাজ সেবা, উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।
সাংবাদিকতা জগতে প্রতিষ্ঠানতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা সৈয়দ হোসেন। পরম ভালবাসা ভরা হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন তিনি। টেকনাফ নতুন কেউ সাংবাদিকতা শিখতে চাইলে পাঠশালা ছিলো তার কক্সবাজার বার্তা পত্রিকা। দেশের বহু খ্যাতিমান সাংবাদিক তৈরি তার কক্সবাজার বার্তা পত্রিকা থেকে।
সাংবাদিকতার বাতিঘরখ্যাত জ্ঞান-তাপস সৈয়দ হোসেন বুধবার (২ আগস্ট) ভোর ৪টায় চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বর্ষিয়ান সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন টেকনাফ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
কক্সবাজার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেনগুর বিল গ্রামের ১৯৬৯ সালের পহেলা ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন। টেকনাফ রঙ্গী খালী মাদ্রাসা থেকে আলীম পাশ করার পর চট্টগ্রাম জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করেছিলেন। লেখাপড়া শেষ করে সাংবাদিকতায় যুগ দেন।
দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকায় টেকনাফ ‌সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত হন।মানব জমিন, দৈনিক মিল্লাত ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি।

মাঝ পথে ১৯৯৩ সালে নিজ উদ্যোগে টেকনাফ প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।এ প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তিনি ছিলেন টেকনাফের প্রথম সাংবাদিক ধীরে ধীরে তার পরে সাংবাদিকতার সংখ্যা বাড়তে থাকেন। টেকনাফ প্রেস ক্লাবেরর জন্য তরুনদের মতো দিন রাত পরিশ্রম করে গেছেন সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন। দশজন সাংবাদিক নিয়ে প্রেস ক্লাবের কমিটি ও গঠন করেছিল। কিছু সমস্যার কারণে প্রেস ক্লাব দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। আবার তিনি ২০২১ সালে নতুন ভবন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রেস ক্লাব করে দেখিয়েছেন।এ নতুন ভবন করতে অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।
সে ষড়যন্তের অবসান ঘটিয়ে টেকনাফ তরুণ সাংবাদিকদের জন্য প্রেস ক্লাব করে সবাইকে তাক লাগিয়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি।

শিক্ষিত মানুষ দেশে ও সমাজে আলো ছড়াই। এমনটাই করার জন্য নিজের এলাকায় দীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন সৈয়দ হোসেন। আগের মানুষ নারীদের লেখাপড়া তেমন করাত না।এ চিন্তা মাথায় রেখে মহিলাদের জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।যার নামকরণ করা মহিউচছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসায় রেখে গেছেন পাঁচ শতাধিক ছাত্র ছাত্রী। সবার মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে গেছেন সৈয়দ হোসেন।

সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন এর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ওনার কথা বলে শেষ করতে পারব না আমি। তবে এক সাহসী বীর ছিল। টেকনাফ সাংবাদিকতার জন্য সৈয়দ হোসেন ভাই একটি উদাহরণ। তিনি আমাদের সব কিছু করে দিয়েছেন কিন্তু তিনি নেই আমাদের মাঝে। সৈয়দ হোসেন ভাই এমন মানুষ ছিল যে মুক্তচিন্তা, প্রগতিশীল মূল্যবোধ আর মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষ । টেকনাফে সাংবাদিকতা জগতে প্রতিষ্ঠানতুল্য ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিকতা শুরু করার পর একটানা পাঁচ দশকের বেশি সময় তিনি এ পেশায় মেধা, যুক্তিবোধ, পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার নিরবচ্ছিন্ন চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেকে এবং দেশের সংবাদপত্রকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। যা এ কালের সাংবাদিকতায় বেশ বিরল।

টেকনাফ প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বলেন, সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন ছিলেন সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যতিক্রম। তিনি যেমন জানতেন তেমন লিখতেন বিভিন্ন বিষয়ে। তিনি অত্যন্ত উদার ও নরম মনের মানুষ ছিলেন। খুব কাছ থেকে তার এসব বিষয় আমি দেখেছি। তিনি ছিলেন একজন সুবক্তা। দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে পেশাগত দায়বদ্ধতায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার আজকের কক্সবাজার বার্তা পত্রিকা প্রকাশ করেছেন। তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রয়াস দৈনিক কক্সবাজার বার্তা।

মহিউচছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র ফয়েজ উদ্দিন বলেন, সৈয়দ হোসেন ছিলেন আলোর ফেরিওয়ালা। ছড়াতেন শিক্ষার আলো। সে আলো, সে পদধুলি যেখানটায় পড়েছে সেখানটাই আলোকিত হয়েছে। মানুষ গড়ার ক্লান্তিহীন এক বিরল কারিগর ছিলেন তিনি। তাকে হারিয়ে ফেললাম। একজন শিক্ষকের মৃত্যু নেই। এক প্রদীপ থেকে হাজার প্রদীপে আলো জ্বালান একজন আদর্শ শিক্ষক। আর এভাবেই একজন শিক্ষক বেঁচে থাকেন উত্তর-প্রজন্মে, আসন করে নেন হাজারো ছাত্রছাত্রীর হৃদয়মাঝে। ওপারে ভাল থাকুন তিনি। মহান আল্লাহর নিকট আপনার জন্য বেহেস্তের প্রশংসিত স্থানে আসন প্রার্থনা করছি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

টেকনাফ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও দৈনিক কক্সবাজার বার্তার সম্পাদক ছৈয়দ হোছাইন আজীবন থাকবে স্মৃতির মনি কোঠায়

প্রকাশিত সময় : ১১:৫২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

পরম শ্রদ্ধেয় টেকনাফ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার বার্তার সম্পাদক মাওলানা মোঃ সৈয়দ হোসেন চলে গেছেন জীবনের অনিবার্য গন্তব্যে। শত-সহস্র মনের আকাশে আলো জ্বালানো, পথ দেখানো আমাদের বাতিঘরের আলো নিভে গেছে। তিনি প্রায় অর্ধশত বছর ধরে টেকনাফ সাংবাদিকতা ও সংবাদ পত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। দৈনিক সংবাদপত্র সম্পাদনা ও তার পাশাপাশি নিজের মাদ্রাসা পরিচালনা সমাজ সেবা, উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।
সাংবাদিকতা জগতে প্রতিষ্ঠানতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা সৈয়দ হোসেন। পরম ভালবাসা ভরা হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন তিনি। টেকনাফ নতুন কেউ সাংবাদিকতা শিখতে চাইলে পাঠশালা ছিলো তার কক্সবাজার বার্তা পত্রিকা। দেশের বহু খ্যাতিমান সাংবাদিক তৈরি তার কক্সবাজার বার্তা পত্রিকা থেকে।
সাংবাদিকতার বাতিঘরখ্যাত জ্ঞান-তাপস সৈয়দ হোসেন বুধবার (২ আগস্ট) ভোর ৪টায় চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বর্ষিয়ান সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন টেকনাফ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
কক্সবাজার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেনগুর বিল গ্রামের ১৯৬৯ সালের পহেলা ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন। টেকনাফ রঙ্গী খালী মাদ্রাসা থেকে আলীম পাশ করার পর চট্টগ্রাম জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করেছিলেন। লেখাপড়া শেষ করে সাংবাদিকতায় যুগ দেন।
দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকায় টেকনাফ ‌সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত হন।মানব জমিন, দৈনিক মিল্লাত ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি।

মাঝ পথে ১৯৯৩ সালে নিজ উদ্যোগে টেকনাফ প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।এ প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তিনি ছিলেন টেকনাফের প্রথম সাংবাদিক ধীরে ধীরে তার পরে সাংবাদিকতার সংখ্যা বাড়তে থাকেন। টেকনাফ প্রেস ক্লাবেরর জন্য তরুনদের মতো দিন রাত পরিশ্রম করে গেছেন সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন। দশজন সাংবাদিক নিয়ে প্রেস ক্লাবের কমিটি ও গঠন করেছিল। কিছু সমস্যার কারণে প্রেস ক্লাব দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। আবার তিনি ২০২১ সালে নতুন ভবন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রেস ক্লাব করে দেখিয়েছেন।এ নতুন ভবন করতে অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।
সে ষড়যন্তের অবসান ঘটিয়ে টেকনাফ তরুণ সাংবাদিকদের জন্য প্রেস ক্লাব করে সবাইকে তাক লাগিয়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি।

শিক্ষিত মানুষ দেশে ও সমাজে আলো ছড়াই। এমনটাই করার জন্য নিজের এলাকায় দীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন সৈয়দ হোসেন। আগের মানুষ নারীদের লেখাপড়া তেমন করাত না।এ চিন্তা মাথায় রেখে মহিলাদের জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।যার নামকরণ করা মহিউচছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসায় রেখে গেছেন পাঁচ শতাধিক ছাত্র ছাত্রী। সবার মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে গেছেন সৈয়দ হোসেন।

সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন এর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ওনার কথা বলে শেষ করতে পারব না আমি। তবে এক সাহসী বীর ছিল। টেকনাফ সাংবাদিকতার জন্য সৈয়দ হোসেন ভাই একটি উদাহরণ। তিনি আমাদের সব কিছু করে দিয়েছেন কিন্তু তিনি নেই আমাদের মাঝে। সৈয়দ হোসেন ভাই এমন মানুষ ছিল যে মুক্তচিন্তা, প্রগতিশীল মূল্যবোধ আর মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষ । টেকনাফে সাংবাদিকতা জগতে প্রতিষ্ঠানতুল্য ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিকতা শুরু করার পর একটানা পাঁচ দশকের বেশি সময় তিনি এ পেশায় মেধা, যুক্তিবোধ, পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার নিরবচ্ছিন্ন চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেকে এবং দেশের সংবাদপত্রকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। যা এ কালের সাংবাদিকতায় বেশ বিরল।

টেকনাফ প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বলেন, সাংবাদিক সৈয়দ হোসেন ছিলেন সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যতিক্রম। তিনি যেমন জানতেন তেমন লিখতেন বিভিন্ন বিষয়ে। তিনি অত্যন্ত উদার ও নরম মনের মানুষ ছিলেন। খুব কাছ থেকে তার এসব বিষয় আমি দেখেছি। তিনি ছিলেন একজন সুবক্তা। দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে পেশাগত দায়বদ্ধতায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার আজকের কক্সবাজার বার্তা পত্রিকা প্রকাশ করেছেন। তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রয়াস দৈনিক কক্সবাজার বার্তা।

মহিউচছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র ফয়েজ উদ্দিন বলেন, সৈয়দ হোসেন ছিলেন আলোর ফেরিওয়ালা। ছড়াতেন শিক্ষার আলো। সে আলো, সে পদধুলি যেখানটায় পড়েছে সেখানটাই আলোকিত হয়েছে। মানুষ গড়ার ক্লান্তিহীন এক বিরল কারিগর ছিলেন তিনি। তাকে হারিয়ে ফেললাম। একজন শিক্ষকের মৃত্যু নেই। এক প্রদীপ থেকে হাজার প্রদীপে আলো জ্বালান একজন আদর্শ শিক্ষক। আর এভাবেই একজন শিক্ষক বেঁচে থাকেন উত্তর-প্রজন্মে, আসন করে নেন হাজারো ছাত্রছাত্রীর হৃদয়মাঝে। ওপারে ভাল থাকুন তিনি। মহান আল্লাহর নিকট আপনার জন্য বেহেস্তের প্রশংসিত স্থানে আসন প্রার্থনা করছি।