গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একশ্রেণির সুবিধাবাদী শিক্ষক ও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের ইন্ধনে নানা অভিযোগ তুলে ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতকে অপসারণের দাবীতে আন্দোলন শুরু হয়, যেখানে ব্যবহার করা হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও।
ওই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর খুরশিদুল জান্নাতের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেই তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে। সদস্য করা হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ঈদগাঁও শাখার ব্যবস্থাপক এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে।
তারা দীর্ঘ সময় তদন্ত করে প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতের বিরুদ্ধে উঠা কোন অভিযোগের প্রমাণ পাননি। ফলে অভিযোগগুলো সাজানো এবং উদ্দেশ্যমূলক বলে প্রতীয়মান হয় তাদের কাছে। যার কারণে সকল অভিযোগ থেকে প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতকে অব্যাহতি দিয়েছে তদন্ত কমিটি। একইসাথে চক্রান্তের নেপথ্যে থাকা শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এদিকে তদন্ত চলাকালীন গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের কক্ষ এবং অফিস কক্ষ ভাংচুর করা হয়। লুট করা হয় গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস।
এই ঘটনায় পরে তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা সমবায় অফিসারকে আহ্বায়ক করে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সেই কমিটিও তদন্ত করে ঘটনার সাথে প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাননি। উল্টো তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে বেশকিছু শিক্ষক ও কর্মচারীর নাম। সেই ঘটানাতেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
খুরশিদুল জান্নাত ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে শিক্ষার মান এবং অবকাঠামোখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়। কিন্তু তাতেই বাঁধে বিপত্তি। তার ঈর্ষনীয় সাফলে ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেপড়ে লাগে একটি অসাধু চক্র। যারা সুযোগ বুঝে ৫ আগস্টের পর আন্দোলনের নামে চক্রান্ত শুরু করে। কিন্তু সেই চক্রান্তে সফল হয়নি তারা।
তদন্তে আসল সত্য বেরিয়ে আসায় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা জানান, চক্রান্তকারীরা সফল হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের বারোটা বেজে যেতো। তারা চক্রান্তকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।