রমজানের প্রথম দিকে তরমুজের দাম ছিল আকাশচুম্বী। মাত্র দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানে সেই তরমুজের দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে। কিন্তু ক্রেতা শূন্য। তরমুজের দাম যেমন কমেছে তেমই আমদানিও বেড়েছে।
বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের স্টেশন রেলগেট এলাকায় তরমুজের দোকান ঘুরে দেখা যায়, তরমুজের দোকানগুলোতে ভিড় নেই ক্রেতাদের। দোকানিরা অলস সময় পার করছেন। রমজান ও দাবদাহের কারণে কিছুদিন আগেও তরমুজ প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। আর এখন তা ৪০ টাকায়ও নিতে চাচ্ছেন না ক্রেতারা।
সান্তাহার রেলগেট এলাকার তরমুজ বিক্রেতা জিল্লুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ফলটির দাম কমেছে। তরমুজের আমদানি বেশি হওয়াই তরমুজের দাম কমেছে। বেচাকেনা বেশি না থাকায় দামটা পাওয়া যাচ্ছে না। আদমদানি বেশি হলে দাম আরও কমবে বলেও জানান এই বিক্রেতা।
রাঙ্গা নামের আরেক তরমুজ বিক্রেতা বলেন, ক্রেতাদের আগ্রহ কম থাকায় তরমুজের বেচাকেনা খুব কম। গত দুই তিন দিন ধরে ক্রেতা কম থাকায় দাম কমেছে। তবে তরমুজ আগে আমদানি কম ছিল যার কারণে তখন দাম কিছুটা বেশি ছিল। এখন আমদানি বেশি দামও কমেছে প্রায় অর্ধেক তবে ক্রেতা নেই।
সান্তাহার রেলগেট থেকে তরমুজ কিনতে আসা সাগর নামের এক ক্রেতা বলেন, কিছুদিন আগেও তরমুজের দাম দ্বিগুণ ছিল। তবে তরমুজ কেউ কিনছে না দেখে দাম কমেছে।
রুকুনুজ্জামান নামের আরও এক ক্রেতা বলেন, অপরিপক্ক তরমুজে ছেয়ে গেছে পুরো বাজারে। যার কারণে তরমুজ কেনার আগ্রহ হারিয়েছে ক্রেতারা। তরমুজের দাম কমায় তরমুজ কিনতে এসেছিলাম তবে তরমুজ তেমন একটা ভালো না হওয়াই না কিনেই চলে যাচ্ছি।