১০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি

শেখ হাসিনা ও তার দোসরদেরকে গ্রেপ্তারের দাবি ও তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার টেকনাফ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে

আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে টেকনাফ শাপলা চত্বর থেকে ঝর্ণা চত্বরে গণমিছিল, ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণমিছিল অনুষ্ঠানে পৌর যুবদলের নেতা মোহাম্মদ আমিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বলেন, ছাত্র–জনতার নজিরবিহীন রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে পাওয়া বিজয়কে অর্থবহ করতে হবে। দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র উপহার দিতে হবে। ছাত্র–জনতাকে হত্যাকারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা কক্সবাজার উখিয়া টেকনাফকে লুটেপুটে ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে। তাদের হাত ছাত্র–জনতার রক্তে রঞ্জিত। 

তিনি আরো বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে গুম খুন করা হয়েছে। এমনকি ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এসব হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিচারের দাবি এবংতারেক রহমানকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তার মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে তেমন কোনো আইনি বাধা নেই। তারা নিজেদের দাবি উপস্থাপন করেন এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানান যাতে অনতিবিলম্বে তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’কক্সবাজার উখিয়া টেকনাফে হাজার কোটি শেখ হাসিনার দোসরদের হাতে আজ ও জমা রয়েছে এ টাকা গুলো উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করতে হবে।আ.লীগ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম–খুন করছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো রয়ে গেছে। খুন গুম ও ছাত্র হত্যার মুল হোতা খুনি হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকতে হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও সাজা দেয়। দীর্ঘদিন তিনি বিদেশে রয়েছেন। তারেক রহমান দেশে না আসলে দেশের গণতন্ত্র যেমন ফিরবে না, তেমনি মানুষের মুক্তি মিলবে না। অথচ শেখ হাসিনা সরকার পতনের এতদিন পরও তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হয়নি।’

সাবেক কাউন্সিলর হাসান আহমেদ বলেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও খুনী হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান। 

গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন,টেকনাফ পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার কামাল, কৃষক দলের আহ্বায়ক নুর নবী, টেকনাফ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিক মেম্বার ও এইচ এম ফারুক শরীফ, মোঃ সেলিম,টেকনাফ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিকালে ৩টার দিকে টেকনাফ ঝর্ণা চত্বর থেকে একটি গণমিছিল শাপলা চত্বর সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাপ্ত হয়। গণমিছিলে বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেন

গণমছিলে শেখ হাসিনার বিচার ও ফাঁসির দাবিতে দলটির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

 

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশিত সময় : ১২:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনা ও তার দোসরদেরকে গ্রেপ্তারের দাবি ও তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার টেকনাফ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে

আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে টেকনাফ শাপলা চত্বর থেকে ঝর্ণা চত্বরে গণমিছিল, ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণমিছিল অনুষ্ঠানে পৌর যুবদলের নেতা মোহাম্মদ আমিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বলেন, ছাত্র–জনতার নজিরবিহীন রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে পাওয়া বিজয়কে অর্থবহ করতে হবে। দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র উপহার দিতে হবে। ছাত্র–জনতাকে হত্যাকারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা কক্সবাজার উখিয়া টেকনাফকে লুটেপুটে ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে। তাদের হাত ছাত্র–জনতার রক্তে রঞ্জিত। 

তিনি আরো বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে গুম খুন করা হয়েছে। এমনকি ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এসব হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিচারের দাবি এবংতারেক রহমানকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তার মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে তেমন কোনো আইনি বাধা নেই। তারা নিজেদের দাবি উপস্থাপন করেন এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানান যাতে অনতিবিলম্বে তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’কক্সবাজার উখিয়া টেকনাফে হাজার কোটি শেখ হাসিনার দোসরদের হাতে আজ ও জমা রয়েছে এ টাকা গুলো উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করতে হবে।আ.লীগ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম–খুন করছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো রয়ে গেছে। খুন গুম ও ছাত্র হত্যার মুল হোতা খুনি হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকতে হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও সাজা দেয়। দীর্ঘদিন তিনি বিদেশে রয়েছেন। তারেক রহমান দেশে না আসলে দেশের গণতন্ত্র যেমন ফিরবে না, তেমনি মানুষের মুক্তি মিলবে না। অথচ শেখ হাসিনা সরকার পতনের এতদিন পরও তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হয়নি।’

সাবেক কাউন্সিলর হাসান আহমেদ বলেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও খুনী হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান। 

গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন,টেকনাফ পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার কামাল, কৃষক দলের আহ্বায়ক নুর নবী, টেকনাফ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিক মেম্বার ও এইচ এম ফারুক শরীফ, মোঃ সেলিম,টেকনাফ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিকালে ৩টার দিকে টেকনাফ ঝর্ণা চত্বর থেকে একটি গণমিছিল শাপলা চত্বর সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাপ্ত হয়। গণমিছিলে বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেন

গণমছিলে শেখ হাসিনার বিচার ও ফাঁসির দাবিতে দলটির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেন।