১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় দিনের মতো রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা

সড়কে নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ। এই অবস্থায় টানা তিনদিন ধরেই রাজধানীর সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল সড়কে দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। রাজধানীর মগবাজার, ওয়্যারলেস, মৌচাক, শান্তিনগর, আবুল হোটেল, গুলিস্তান-জিরোপয়েন্ট সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ভালো কাজের হোটেলসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
রাস্তায় সিগন্যালের পাশাপাশি তারা ফুটপাতে হাঁটা, নির্দিষ্ট স্থান থেকে গাড়িতে ওঠানামা ও গণপরিবহনগুলো নির্দিষ্ট স্থান থামার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়ম মেনে চলতে মানুষ ও গাড়িচালকদের বাধ্য করছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তারা মানুষকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাচ্ছেন।
রাজধানীর মগবাজার মোড়ে রয়েছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও শিক্ষার্থীসহ ১০ জন। সেখানে সমন্বয়ক রাকিবুল আলম জয় জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আনন্দ সহকারে কাজ করছি। রেড ক্রিসেন্ট থেকে আগেও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছি। সেই অভিজ্ঞতা এখন কাজে লাগছে। মানুষ কিছুটা বিরক্তবোধ করছে। কিন্তু আমরা চাই সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা আসুক। মানুষ কিছুটা শিখে গেলে পরে এই ধারা বজায় থাকবে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাবিল বলেন, যতদিন না ট্রাফিক পুলিশ আসে আমরা রাস্তায় থাকবো। সিগন্যালের পাশাপাশি গাড়িগুলো যেন লাইন ধরে চলে সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমাদের কষ্ট হচ্ছে, ভালো লাগছে মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে। অভিজ্ঞতাও হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের এই ভূমিকায় খুশি পথচারী ও গণপরিবহনের চালকরা। তারা জানান, পুলিশ নেই কিন্ত সড়কে বিশৃঙ্খলা নেই। শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাচ্ছে। খুব বেশি যানজট তৈরি হচ্ছে না। গুলিস্তান-গাজীপুরের একটি পরিবহনের চালক তৌহিদ জানান, শিক্ষার্থীরা নিয়ম করেই সিগন্যাল দিচ্ছেন। কোনো ভোগান্তি নেই।

 

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

তৃতীয় দিনের মতো রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত সময় : ১০:২০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

সড়কে নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ। এই অবস্থায় টানা তিনদিন ধরেই রাজধানীর সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল সড়কে দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। রাজধানীর মগবাজার, ওয়্যারলেস, মৌচাক, শান্তিনগর, আবুল হোটেল, গুলিস্তান-জিরোপয়েন্ট সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ভালো কাজের হোটেলসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
রাস্তায় সিগন্যালের পাশাপাশি তারা ফুটপাতে হাঁটা, নির্দিষ্ট স্থান থেকে গাড়িতে ওঠানামা ও গণপরিবহনগুলো নির্দিষ্ট স্থান থামার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়ম মেনে চলতে মানুষ ও গাড়িচালকদের বাধ্য করছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তারা মানুষকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাচ্ছেন।
রাজধানীর মগবাজার মোড়ে রয়েছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও শিক্ষার্থীসহ ১০ জন। সেখানে সমন্বয়ক রাকিবুল আলম জয় জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আনন্দ সহকারে কাজ করছি। রেড ক্রিসেন্ট থেকে আগেও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছি। সেই অভিজ্ঞতা এখন কাজে লাগছে। মানুষ কিছুটা বিরক্তবোধ করছে। কিন্তু আমরা চাই সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা আসুক। মানুষ কিছুটা শিখে গেলে পরে এই ধারা বজায় থাকবে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাবিল বলেন, যতদিন না ট্রাফিক পুলিশ আসে আমরা রাস্তায় থাকবো। সিগন্যালের পাশাপাশি গাড়িগুলো যেন লাইন ধরে চলে সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমাদের কষ্ট হচ্ছে, ভালো লাগছে মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে। অভিজ্ঞতাও হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের এই ভূমিকায় খুশি পথচারী ও গণপরিবহনের চালকরা। তারা জানান, পুলিশ নেই কিন্ত সড়কে বিশৃঙ্খলা নেই। শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাচ্ছে। খুব বেশি যানজট তৈরি হচ্ছে না। গুলিস্তান-গাজীপুরের একটি পরিবহনের চালক তৌহিদ জানান, শিক্ষার্থীরা নিয়ম করেই সিগন্যাল দিচ্ছেন। কোনো ভোগান্তি নেই।