০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মিয়ানমার থেকে গুলি আতংক

দুই ট্রলারে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপে এলেন ৯০ যাত্রী

মিয়ানমার থেকে গুলি বর্ষণের ঘটনায় কিছুদিন বন্ধ থাকার পর সেন্টমার্টিন থেকে দুটি ট্রলারে করে শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছালেন ৯০ জন যাত্রী।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে ট্রলার দুটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে পৌঁছায় বলে জানান সাবরাং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সালাম।

সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমিতির লাইনম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরের পরে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে দুটি সার্ভিস ট্রলারে ৯০ জন যাত্রী টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বিকেলে তারা শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে নিরাপদে পৌঁছান।

তিনি আরও জানান, একটি ট্রলারে ৪৬ জন, আরেকটি ট্রলারে ৪৪ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। সঙ্গে রোগীও ছিলেন।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে চলতি মাসের শুরু থেকে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে চলাচল করা একাধিক ট্রলারে মিয়ানমারের উপকূল থেকে গুলি চালানো হয়েছে। এরপর দ্বীপের নিয়মিত সার্ভিস ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে দ্বীপে নিত্যপণ্য সংকট দেখা দেয়। কোরবানির আগে জাহাজে করে খাবার ও নিত্যপণ্য পৌঁছে দেয় জেলা প্রশাসন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কোরবানির পর বৃহস্পতিবার থেকে সার্ভিস ট্রলারে যাতায়াত শুরু হয়েছে। শুনেছি, দুপুরে ছেড়ে যাওয়া ট্রলার দুটি বিকেলে নিরাপদে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে ভিড়েছে।’

মিয়ানমারের মংডুসহ কয়েকটি গ্রামে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ অবস্থায় গত ৫ জুন সেন্টমার্টিনে ভোটগ্রহণ শেষে টেকনাফ ফেরার পথে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের বহন করা ট্রলারে মিয়ানমারের উপকূল থেকে গুলি চালানো হয়। এরপর ৮ ও ১১ জুন মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফগামী বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোটে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। তখন থেকে বন্ধ ছিল স্বাভাবিক যান চলাচল। গত ১৩ জুন ঝুঁকি নিয়ে চারটি ট্রলারে করে ২৭০ জন আসেন টেকনাফ। এরপর আবারও সার্ভিস বোট চালু হলো।

এদিকে, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদী ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ এবং সার্বিক বিষয়ে সীমান্তে টহল জোরদারের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

মিয়ানমার থেকে গুলি আতংক

দুই ট্রলারে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপে এলেন ৯০ যাত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৯:৩৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

মিয়ানমার থেকে গুলি বর্ষণের ঘটনায় কিছুদিন বন্ধ থাকার পর সেন্টমার্টিন থেকে দুটি ট্রলারে করে শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছালেন ৯০ জন যাত্রী।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে ট্রলার দুটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে পৌঁছায় বলে জানান সাবরাং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সালাম।

সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমিতির লাইনম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরের পরে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে দুটি সার্ভিস ট্রলারে ৯০ জন যাত্রী টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বিকেলে তারা শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে নিরাপদে পৌঁছান।

তিনি আরও জানান, একটি ট্রলারে ৪৬ জন, আরেকটি ট্রলারে ৪৪ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। সঙ্গে রোগীও ছিলেন।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে চলতি মাসের শুরু থেকে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে চলাচল করা একাধিক ট্রলারে মিয়ানমারের উপকূল থেকে গুলি চালানো হয়েছে। এরপর দ্বীপের নিয়মিত সার্ভিস ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে দ্বীপে নিত্যপণ্য সংকট দেখা দেয়। কোরবানির আগে জাহাজে করে খাবার ও নিত্যপণ্য পৌঁছে দেয় জেলা প্রশাসন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কোরবানির পর বৃহস্পতিবার থেকে সার্ভিস ট্রলারে যাতায়াত শুরু হয়েছে। শুনেছি, দুপুরে ছেড়ে যাওয়া ট্রলার দুটি বিকেলে নিরাপদে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে ভিড়েছে।’

মিয়ানমারের মংডুসহ কয়েকটি গ্রামে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ অবস্থায় গত ৫ জুন সেন্টমার্টিনে ভোটগ্রহণ শেষে টেকনাফ ফেরার পথে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের বহন করা ট্রলারে মিয়ানমারের উপকূল থেকে গুলি চালানো হয়। এরপর ৮ ও ১১ জুন মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফগামী বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোটে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। তখন থেকে বন্ধ ছিল স্বাভাবিক যান চলাচল। গত ১৩ জুন ঝুঁকি নিয়ে চারটি ট্রলারে করে ২৭০ জন আসেন টেকনাফ। এরপর আবারও সার্ভিস বোট চালু হলো।

এদিকে, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদী ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ এবং সার্বিক বিষয়ে সীমান্তে টহল জোরদারের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।