০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় গুরুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, শিষ্যদের জন্য রেখে গেছেন ‘চিঠি’

বান্দরবানের রোয়াংছড়ির আর্য গুহা বৌদ্ধবিহার থেকে ড. এফ দীপংকর মহা থেরো নামে এক বৌদ্ধধর্মীয় গুরুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে উপজেলার তারাছা ১ নম্বর ওয়ার্ড আর্য গুহা বৌদ্ধবিহার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ড. এফ দীপংকর মহা থেরো ২০১৬ সাল থেকে আর্য গুহা বৌদ্ধবিহারে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিহারের যে কক্ষে অধ্যক্ষ ধর্মীয় চর্চা (ধ্যান) করতেন সে কক্ষে ঘণ্টা বাজানো ছাড়া সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। দুপুরে অধ্যক্ষকে সোয়াইং (খাবার) দিতে গেলে কক্ষটির আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় বৌদ্ধবিহার কমিটির সকলকে ও পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ও বিহার কমিটির সদস্যরা কক্ষটি থেকে মৃত্যুর আগে শিষ্যদের উদ্দেশে লিখে যাওয়া দুটি পরামর্শমূলক চিঠি উদ্ধার করেন।
তার এই মৃত্যুতে স্থানীয়দের মাঝে বিভিন্ন জল্পনা—কল্পনার সৃষ্টি হলেও চিঠি দুটির কারণে এটিকে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিহার কমিটির কোনও সদস্যই বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

ধর্মীয় গুরুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, শিষ্যদের জন্য রেখে গেছেন ‘চিঠি’

প্রকাশিত সময় : ০২:০৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

বান্দরবানের রোয়াংছড়ির আর্য গুহা বৌদ্ধবিহার থেকে ড. এফ দীপংকর মহা থেরো নামে এক বৌদ্ধধর্মীয় গুরুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে উপজেলার তারাছা ১ নম্বর ওয়ার্ড আর্য গুহা বৌদ্ধবিহার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ড. এফ দীপংকর মহা থেরো ২০১৬ সাল থেকে আর্য গুহা বৌদ্ধবিহারে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিহারের যে কক্ষে অধ্যক্ষ ধর্মীয় চর্চা (ধ্যান) করতেন সে কক্ষে ঘণ্টা বাজানো ছাড়া সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। দুপুরে অধ্যক্ষকে সোয়াইং (খাবার) দিতে গেলে কক্ষটির আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় বৌদ্ধবিহার কমিটির সকলকে ও পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ও বিহার কমিটির সদস্যরা কক্ষটি থেকে মৃত্যুর আগে শিষ্যদের উদ্দেশে লিখে যাওয়া দুটি পরামর্শমূলক চিঠি উদ্ধার করেন।
তার এই মৃত্যুতে স্থানীয়দের মাঝে বিভিন্ন জল্পনা—কল্পনার সৃষ্টি হলেও চিঠি দুটির কারণে এটিকে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিহার কমিটির কোনও সদস্যই বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।