০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধূমপানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে!

ধূমপানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মাদক সেবনের প্রবেশ পথ হচ্ছে ধূমপান। ধূমপানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের করাল গ্রাসে আসক্ত হয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

সোমবার(২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বালুখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার(নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে উখিয়া উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জনসচেতনতামূলক সভায় এসব কথা বলেন উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক নুরুল আলম। বিভিন্ন পেশাজীবি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বালুখালী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোজাহেরুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল আলম বলেন,”তামাক বিশ্বব্যাপী এক সমস্যা। তামাককে বলা হয় প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান কারণ। তামাকজনিত রোগে মৃত্যু সংখ্যা ম্যালেরিয়া, যক্ষা, এইডস এর সম্মিলিত মৃত্যুর চাইতেও বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে,তামাকের নেশার ছোবলে পৃথিবীতে প্রতি ৬ সেকেন্ডের কম সময়ে একজন ও বছরে ৮০ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে পরোক্ষ্য ধূমপানের কারণে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশে ধূমপানের ক্ষেত্রে বিড়ি-সিগারেট এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকের ক্ষেত্রে পানের সঙ্গে সাদাপাতা ও জর্দা, মাড়ীতে গুল ইত্যাদি ব্যবহার বেশি। ২০০৪ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা মতে, ধুমপান ও তামাজাত দ্রব্য সেবনের ফলে, ফুসফুস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাপানি সিওপিডি বেশি হয়। এসব রোগে প্রায় ১২ লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার লোক অকাল পদত্বের শিকার হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ অর্থাৎ ৩৫ দশমিক ৩শতাংশ মানুষ বিড়ি-সিগারেট জর্দা ও গুল ব্যবহার করে। দরিদ্র ও নিরক্ষরদের মধ্যে তামাক সেবনের হার বেশি। ১৩ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের মাঝে ধূমপায়ী ২ দশমিক ৯ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারী ৪দশমিক ৫ শতাংশ।

তিনি বলেন,”ধূমপানের কারণে গলায় ও ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা, স্ট্রোক, হৃদরোগ, গর্ভের সন্তান নষ্ট,ডায়বেটিস ইত্যাদি রোগ হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব।”

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

জমে উঠেছে বৃহত্তর বাদশাঘোনা সমাজ পরিচালনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা

ধূমপানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে!

প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ধূমপানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মাদক সেবনের প্রবেশ পথ হচ্ছে ধূমপান। ধূমপানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের করাল গ্রাসে আসক্ত হয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

সোমবার(২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বালুখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার(নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে উখিয়া উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জনসচেতনতামূলক সভায় এসব কথা বলেন উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক নুরুল আলম। বিভিন্ন পেশাজীবি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বালুখালী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোজাহেরুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল আলম বলেন,”তামাক বিশ্বব্যাপী এক সমস্যা। তামাককে বলা হয় প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান কারণ। তামাকজনিত রোগে মৃত্যু সংখ্যা ম্যালেরিয়া, যক্ষা, এইডস এর সম্মিলিত মৃত্যুর চাইতেও বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে,তামাকের নেশার ছোবলে পৃথিবীতে প্রতি ৬ সেকেন্ডের কম সময়ে একজন ও বছরে ৮০ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে পরোক্ষ্য ধূমপানের কারণে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশে ধূমপানের ক্ষেত্রে বিড়ি-সিগারেট এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকের ক্ষেত্রে পানের সঙ্গে সাদাপাতা ও জর্দা, মাড়ীতে গুল ইত্যাদি ব্যবহার বেশি। ২০০৪ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা মতে, ধুমপান ও তামাজাত দ্রব্য সেবনের ফলে, ফুসফুস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাপানি সিওপিডি বেশি হয়। এসব রোগে প্রায় ১২ লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার লোক অকাল পদত্বের শিকার হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ অর্থাৎ ৩৫ দশমিক ৩শতাংশ মানুষ বিড়ি-সিগারেট জর্দা ও গুল ব্যবহার করে। দরিদ্র ও নিরক্ষরদের মধ্যে তামাক সেবনের হার বেশি। ১৩ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের মাঝে ধূমপায়ী ২ দশমিক ৯ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারী ৪দশমিক ৫ শতাংশ।

তিনি বলেন,”ধূমপানের কারণে গলায় ও ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা, স্ট্রোক, হৃদরোগ, গর্ভের সন্তান নষ্ট,ডায়বেটিস ইত্যাদি রোগ হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব।”