১২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা কতৃক ‘আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস’ পালিত

নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা কতৃক আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস পালিত

শামশুল আলম শ্রাবণঃ
বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা শাখার আয়োজনে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস পালন করা হয়েছে।
১৯৯৭ সালের ১৪ মার্চ ব্রাজিলের কুরিতিবা শহরে এক সমাবেশ থেকে নদীর প্রতি দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দিতে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সমাবেশে মিলিত হয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাইওয়ান, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। যারা নদীতে বাঁধের ফলে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছিলেন। ওই সম্মেলন থেকে ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস পালনের ঘোষনা দেওয়া হয়।তখন থেকে প্রতিবছর এটি বেসরকারি ভাবে পালিত হয়ে আসছে।

নদীর প্রতি আমাদের করণীয় কি? নদী রক্ষায় আমাদের দায়ীত্ব কতটুকু? কার কতটুকু দায়বদ্ধতা, এটি উপলব্ধি ও স্মরন করিয়ে দিতেই মুলত এ দিবসটি পালন করা হয়।

এ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা শাখা একটি নদী আড্ডার আয়োজন করেন। সাথে যুক্ত হন পরিবেশবাদী সংগঠন সিএইচআরডিএফ। স্থানীয় বাঁকখালী নদীর পাড়ে নদীর সুবিধাভোগী জনগনকে সাথে নিয়ে আড্ডাটি সম্পন্ন করা হয়।

নদীর প্রতি সচেতন হওয়া, নদীর দখল দূষন থেকে বিরত থাকা, নদীর অবৈধ শাসন ও শোষন বন্ধ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দগন।

নদী আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এড আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম শ্রাবণ, সহ সভাপতি তুহিন আহমেদ, যুগ্ন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নোমান, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হালিম, পরিবেশ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, জীব বৈচিত্র্য সম্পাদক মনজুর আলম।
এতে অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বীমাবিদ শাহজাহন মনির।

আড্ডা শেষে নদীর সুবিধাভোগী একজন নৌকার মাঝিকে সাথে নিয়ে নদী পরিদর্শন করা হয়। পুরো নদীতে কয়েক মিটার পরপর ড্রেজারের পর ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের চিত্র ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি। জনমুখে প্রকাশ এসব ড্রেজারগুলো সব সরকার দলীয় নামধারী নেতাদের। বিধায় প্রশাসন পক্ষ থেকে প্রকার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়না।

স্টকহোল্ডারদের আশা আবার তাদের নদী পুরোনো যৌবন ফিরে পাবে যদি মহামান্য হাইকোর্ট এর রায় মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়।

পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে নদী আড্ডার আয়োজন সমাপ্ত করা হয়।

পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা কতৃক ‘আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস’ পালিত

প্রকাশিত সময় : ০১:৫১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২

শামশুল আলম শ্রাবণঃ
বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা শাখার আয়োজনে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস পালন করা হয়েছে।
১৯৯৭ সালের ১৪ মার্চ ব্রাজিলের কুরিতিবা শহরে এক সমাবেশ থেকে নদীর প্রতি দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দিতে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সমাবেশে মিলিত হয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাইওয়ান, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। যারা নদীতে বাঁধের ফলে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছিলেন। ওই সম্মেলন থেকে ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস পালনের ঘোষনা দেওয়া হয়।তখন থেকে প্রতিবছর এটি বেসরকারি ভাবে পালিত হয়ে আসছে।

নদীর প্রতি আমাদের করণীয় কি? নদী রক্ষায় আমাদের দায়ীত্ব কতটুকু? কার কতটুকু দায়বদ্ধতা, এটি উপলব্ধি ও স্মরন করিয়ে দিতেই মুলত এ দিবসটি পালন করা হয়।

এ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা শাখা একটি নদী আড্ডার আয়োজন করেন। সাথে যুক্ত হন পরিবেশবাদী সংগঠন সিএইচআরডিএফ। স্থানীয় বাঁকখালী নদীর পাড়ে নদীর সুবিধাভোগী জনগনকে সাথে নিয়ে আড্ডাটি সম্পন্ন করা হয়।

নদীর প্রতি সচেতন হওয়া, নদীর দখল দূষন থেকে বিরত থাকা, নদীর অবৈধ শাসন ও শোষন বন্ধ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দগন।

নদী আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এড আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম শ্রাবণ, সহ সভাপতি তুহিন আহমেদ, যুগ্ন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নোমান, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হালিম, পরিবেশ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, জীব বৈচিত্র্য সম্পাদক মনজুর আলম।
এতে অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বীমাবিদ শাহজাহন মনির।

আড্ডা শেষে নদীর সুবিধাভোগী একজন নৌকার মাঝিকে সাথে নিয়ে নদী পরিদর্শন করা হয়। পুরো নদীতে কয়েক মিটার পরপর ড্রেজারের পর ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের চিত্র ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি। জনমুখে প্রকাশ এসব ড্রেজারগুলো সব সরকার দলীয় নামধারী নেতাদের। বিধায় প্রশাসন পক্ষ থেকে প্রকার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়না।

স্টকহোল্ডারদের আশা আবার তাদের নদী পুরোনো যৌবন ফিরে পাবে যদি মহামান্য হাইকোর্ট এর রায় মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়।

পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে নদী আড্ডার আয়োজন সমাপ্ত করা হয়।