পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জুড়ে শোভা পাচ্ছে ভুট্টা। এবার মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। তবে বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে এক প্রকার শংকা প্রকাশ করেন চাষিরা। ন্যায্য দাম না পেলে খরচ পুষিয়ে লাভের মুখ দেখতে বেগ পেতে হবে।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে ভুট্টা চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৮৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। তবে অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে এবারের ভুট্টা চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এ বছর বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বাড়তি। পাশাপাশি শ্রমিকের পারিশ্রমিকও বেশী। আশানুরূপ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কৃষকের মুখে হাসির দেখা দিয়েছে। কৃষকেরা জানান, মাঠ পর্যায়ে দালাল—ফড়িয়াদের আনাগোনা বেড়েছে। ফলে দাম নিয়ে শংকায় রয়েছেন অনেক কৃষক। ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু এলাকার ভুট্টা চাষী ফরিদুল আলম বলেন, আমি দীর্ঘ এক যুগের বেশী সময় ধরে ভুট্টা চাষ করে আসছি। কখনো সরকারি সহায়তা পায়নি। নিজের অর্জিত টাকা দিয়ে কষ্ট করে ২০শতক জায়গার উপর ভুট্টা চাষ করেছি।
তুমব্রু উত্তর পাড়া এলাকার মো. ইলিয়াছ বলেন, আমি ২ বছর যাবৎ এই ভুট্টা চাষ করে আসছি। ৩০ শতক জায়গার উপর আমার এই চাষে ইনশাআল্লাহ লাভের আশা করছি। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ব্লক সুপারভাইজার) মহিবুল ইসলাম রাজিব বলেন, ‘ এবার উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রায় ৬০ জন চাষীকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কীটনাশকও দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।’