০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়িতে সৎ ভাইগণ কেড়ে নিল মাতার ভিটি জায়গা: আশ্রয়হীন বোনেরা!

  • বার্তা পরিবেশক:
  • প্রকাশিত সময় : ১২:২০:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৩৪ ভিউ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর ঘুমধুম বড়ুয়া পাড়ায় দীর্ঘ ৪৫ বছরের ভোগ দখল স্বত্বীয় আপন মাতার ভিটি জমি জবর দখল করে নিয়েছে একই পিতার সৎ ভাইগণ।গত ২০ দিন পুর্বে প্রায় ৪৫ শতক ভিটি জায়গা দখল করে ভিটিতে থাকা গাছপালা কেটে নিয়েছে এবং ভিটিতে স্থীত গরুর কুইজ্জ্যাও ঘেরাবেড়া দিয়ে নিজেদের দখল পাকাপোক্ত করেছে।এতে তিন বোন এবং মৃত ভাইয়ের স্ত্রী ও ২ সন্তান ভিটে ছাড়া হয়েছে।

ভিটে ছাড়া ভুক্তভোগী সুখি বড়ুয়া,সুজিতা বড়ুয়া ও জ্যোৎস্না বড়ুয়া বড়ুয়া অভিযোগ করে জানান,তাদের বাবা সেনেধা বড়ুয়ার দুই স্ত্রী ছিল।আমাদের মাতা ঝর্ণা বড়ুয়া ২য় স্ত্রী।আমাদের মাতার তিন বোন ও এক ভাই।প্রথম স্ত্রী(আমাদের বড় মাতা)ঘরে ৪ ভাই ও ১ বোন রয়েছে।আমাদের বসবাস ছিল মাতার দখল স্বত্বীয় প্রায় ৪৫ শতক জায়গার উপর স্থীত ভিটিতে।আর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা ছিল বাবা’র ভিটিতে।আমাদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর মাতার ভিটিতে একমাত্র ভাই আদর্শ বড়ুয়া স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন।বাবাও মারা যান।গত আড়াই বছর পুর্বে ভাই আদর্শ বড়ুয়া মারা যান।এর পর ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই সন্তান মাতার স্থীত ভিটিতে বসবাস করে আসছিলেন।গত সপ্তাহ তিনেক আগেই ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানরা চলে যায়।

কি কারণে চলে গেছে জানতে মাতার ভিটিতে গিয়ে দেখতে পায় নতুন ঘেরাবেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছে ভিটি জমি।কে বা কারা ঘিরেছে প্রতিবেশীদের নিকট জানতে পারি আমাদের বড় মাতা সেনেধা বড়ুয়ার সন্তান আমাদের সৎ ভাই রায় মোহন বড়ুয়া,বাঁশী মোহন বড়ুয়া,রাধা মোহন বড়ুয়া ও নিরবন্ধু বড়ুয়া দখল করে ঘিরে ফেলেছে এবং অন্যত্র বিক্রির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।তাদের নিকট ভিটি জমিতে নতুন করে ঘেরাবেড়া দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে কোন সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে উল্টো অশালীন গালিগালাজ করতেই থাকেন।

ফলে আমাদের মাতার জায়গা দখল মুক্ত করণে প্রতিকার চেয়ে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র বরাবর অভিযোগ দায়ের করি।অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই কাসেম উভয় পক্ষ’কে ডেকে বৈঠকে বসেন।বৈঠকে বিবাদী পক্ষ জায়গা ছেড়ে দিতে মোটাংকের চাঁদা দাবী করে বসে।জায়গার প্রকৃত মালিক মৃত ঝর্ণা বড়ুয়ার কন্যারা টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।তাতে বিবাদী পক্ষ জায়গা ছেড়ে দেওয়ার মৌখিক অঙ্গিকার করে আর ছেড়ে না দিয়ে উল্টো বোনদের অশালীন গালিগালাজ এবং প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।এতে নিরুপায় বোনরা মাতার ভিটি জমি থেকে হাত ছাড়া হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশ ও গণমান্য ব্যক্তিদের দ্ধারে-দ্ধারে ঘুরছে।জায়গা দখলকারীদের একজন রাধা মোহন বড়ুয়া জানান,ভিটি জায়গাটি আমার বাবা সেনেধা বড়ুয়ার।উক্ত ভিটি জায়গায় বসবাস করেছিল সৎ ভাই আদর্শ বড়ুয়া।আদর্শ বড়ুয়া মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের স্ত্রী বিক্রি করে ফেলেছে।

ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের এএসআই আবুল কাসেম জানান,দুই পক্ষ’কে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম।জায়গাটি ছেড়ে দিবে বলেছিল বিবাদী পক্ষ,তার জন্য মোটাংকের টাকা দাবী করেন বিবাদীরা।বাদীপক্ষ টাকা দিয়ে জায়গা ছেড়ে নিতে টাকা জোগাড় করেন এবং ৬ সেপ্টেম্বর নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল।বাদী পক্ষ হাজির হলেও বিবাদী পক্ষ উপস্থিত হয়নি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

রামু উপজেলার ক্ষুদে প্রতিভা আবু জার আল গিফারীর কণ্ঠে “সর্বহারা ফিলিস্তিন”

নাইক্ষ্যংছড়িতে সৎ ভাইগণ কেড়ে নিল মাতার ভিটি জায়গা: আশ্রয়হীন বোনেরা!

প্রকাশিত সময় : ১২:২০:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর ঘুমধুম বড়ুয়া পাড়ায় দীর্ঘ ৪৫ বছরের ভোগ দখল স্বত্বীয় আপন মাতার ভিটি জমি জবর দখল করে নিয়েছে একই পিতার সৎ ভাইগণ।গত ২০ দিন পুর্বে প্রায় ৪৫ শতক ভিটি জায়গা দখল করে ভিটিতে থাকা গাছপালা কেটে নিয়েছে এবং ভিটিতে স্থীত গরুর কুইজ্জ্যাও ঘেরাবেড়া দিয়ে নিজেদের দখল পাকাপোক্ত করেছে।এতে তিন বোন এবং মৃত ভাইয়ের স্ত্রী ও ২ সন্তান ভিটে ছাড়া হয়েছে।

ভিটে ছাড়া ভুক্তভোগী সুখি বড়ুয়া,সুজিতা বড়ুয়া ও জ্যোৎস্না বড়ুয়া বড়ুয়া অভিযোগ করে জানান,তাদের বাবা সেনেধা বড়ুয়ার দুই স্ত্রী ছিল।আমাদের মাতা ঝর্ণা বড়ুয়া ২য় স্ত্রী।আমাদের মাতার তিন বোন ও এক ভাই।প্রথম স্ত্রী(আমাদের বড় মাতা)ঘরে ৪ ভাই ও ১ বোন রয়েছে।আমাদের বসবাস ছিল মাতার দখল স্বত্বীয় প্রায় ৪৫ শতক জায়গার উপর স্থীত ভিটিতে।আর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা ছিল বাবা’র ভিটিতে।আমাদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর মাতার ভিটিতে একমাত্র ভাই আদর্শ বড়ুয়া স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন।বাবাও মারা যান।গত আড়াই বছর পুর্বে ভাই আদর্শ বড়ুয়া মারা যান।এর পর ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই সন্তান মাতার স্থীত ভিটিতে বসবাস করে আসছিলেন।গত সপ্তাহ তিনেক আগেই ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানরা চলে যায়।

কি কারণে চলে গেছে জানতে মাতার ভিটিতে গিয়ে দেখতে পায় নতুন ঘেরাবেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছে ভিটি জমি।কে বা কারা ঘিরেছে প্রতিবেশীদের নিকট জানতে পারি আমাদের বড় মাতা সেনেধা বড়ুয়ার সন্তান আমাদের সৎ ভাই রায় মোহন বড়ুয়া,বাঁশী মোহন বড়ুয়া,রাধা মোহন বড়ুয়া ও নিরবন্ধু বড়ুয়া দখল করে ঘিরে ফেলেছে এবং অন্যত্র বিক্রির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।তাদের নিকট ভিটি জমিতে নতুন করে ঘেরাবেড়া দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে কোন সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে উল্টো অশালীন গালিগালাজ করতেই থাকেন।

ফলে আমাদের মাতার জায়গা দখল মুক্ত করণে প্রতিকার চেয়ে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র বরাবর অভিযোগ দায়ের করি।অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই কাসেম উভয় পক্ষ’কে ডেকে বৈঠকে বসেন।বৈঠকে বিবাদী পক্ষ জায়গা ছেড়ে দিতে মোটাংকের চাঁদা দাবী করে বসে।জায়গার প্রকৃত মালিক মৃত ঝর্ণা বড়ুয়ার কন্যারা টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।তাতে বিবাদী পক্ষ জায়গা ছেড়ে দেওয়ার মৌখিক অঙ্গিকার করে আর ছেড়ে না দিয়ে উল্টো বোনদের অশালীন গালিগালাজ এবং প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।এতে নিরুপায় বোনরা মাতার ভিটি জমি থেকে হাত ছাড়া হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশ ও গণমান্য ব্যক্তিদের দ্ধারে-দ্ধারে ঘুরছে।জায়গা দখলকারীদের একজন রাধা মোহন বড়ুয়া জানান,ভিটি জায়গাটি আমার বাবা সেনেধা বড়ুয়ার।উক্ত ভিটি জায়গায় বসবাস করেছিল সৎ ভাই আদর্শ বড়ুয়া।আদর্শ বড়ুয়া মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের স্ত্রী বিক্রি করে ফেলেছে।

ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের এএসআই আবুল কাসেম জানান,দুই পক্ষ’কে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম।জায়গাটি ছেড়ে দিবে বলেছিল বিবাদী পক্ষ,তার জন্য মোটাংকের টাকা দাবী করেন বিবাদীরা।বাদীপক্ষ টাকা দিয়ে জায়গা ছেড়ে নিতে টাকা জোগাড় করেন এবং ৬ সেপ্টেম্বর নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল।বাদী পক্ষ হাজির হলেও বিবাদী পক্ষ উপস্থিত হয়নি।