০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নানা অপরাধের হোতা থামছেই না শহরের হোটেল-মোটেল জোন’র ত্রাস সাজিমের অপকর্ম

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোন এলাকার নানা অপরাধের হোতা বহু মামলার আসামী নোমানুল হক সাজিম দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

প্রশাসনকে তোয়াক্ষা না করে নিজ মালিকানাধীন রিসোর্টে বসে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস করেনা। কারণ মুখ খোললেই মামলা হামলার মুখোমুখি হতে হয়। অনেক সময় এলাকাও ত্যাগ করতে হয় প্রতিবাদকারীদের। তার হিংশ্র থাবা থেকে রেহায় পায়নি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলসহ স্থানীয় কোহেলিয়া টিভির সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী সহ অনেকে।
গত রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করেন রিসোর্টের মালিক নোমানুল হক সাজিমসহ তাঁর বাহিনী।
এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পাশাপাশি অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
জানা যায়, কক্সবাজারের পর্যটক এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায় তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণ করার জন্য নাজমুল সাঈদ ও তার টিম তালাশ কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে অনুসন্ধানে যায়। সংবাদ সংগ্রহের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে রুম বুক করেন। ইয়াবা বিক্রি ও অসামাজিক কার্যকলাপ গোপন ক্যামেরায় ধারণও করেন। পরে তালাশ টিমের পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মালিক নোমানুল হক সাজিম। এক পর্যায়ে হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় সাজিম এর নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্যরা তালাশ টিমকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। ঘটনার এক পর্যায়ে টিম তালাশকে ভুয়া প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সাজিম বাহিনী। শুরু করেন নানা অপপ্রচার। বাকবিতণ্ডার একটি খন্ডিত অংশ দিয়ে তার অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়ে সাজিম বাহিনী।

তালাশ টিমের ওপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে সেই দিন একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এজাধিক ব্যক্তি জানান, রিসোর্ট মালিক সাজিম ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা, ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ডজনাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের বহুবার শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকাতেও রয়েছে তার নাম। এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত জানান, অপরাধী যতই শক্তিশালী হউক না কেন বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবেনা। এব্যাপারে নোমানুল হক সাজিম এর মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

নানা অপরাধের হোতা থামছেই না শহরের হোটেল-মোটেল জোন’র ত্রাস সাজিমের অপকর্ম

প্রকাশিত সময় : ০৯:০৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোন এলাকার নানা অপরাধের হোতা বহু মামলার আসামী নোমানুল হক সাজিম দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

প্রশাসনকে তোয়াক্ষা না করে নিজ মালিকানাধীন রিসোর্টে বসে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস করেনা। কারণ মুখ খোললেই মামলা হামলার মুখোমুখি হতে হয়। অনেক সময় এলাকাও ত্যাগ করতে হয় প্রতিবাদকারীদের। তার হিংশ্র থাবা থেকে রেহায় পায়নি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলসহ স্থানীয় কোহেলিয়া টিভির সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী সহ অনেকে।
গত রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করেন রিসোর্টের মালিক নোমানুল হক সাজিমসহ তাঁর বাহিনী।
এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পাশাপাশি অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
জানা যায়, কক্সবাজারের পর্যটক এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায় তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণ করার জন্য নাজমুল সাঈদ ও তার টিম তালাশ কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে অনুসন্ধানে যায়। সংবাদ সংগ্রহের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে রুম বুক করেন। ইয়াবা বিক্রি ও অসামাজিক কার্যকলাপ গোপন ক্যামেরায় ধারণও করেন। পরে তালাশ টিমের পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মালিক নোমানুল হক সাজিম। এক পর্যায়ে হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় সাজিম এর নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্যরা তালাশ টিমকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। ঘটনার এক পর্যায়ে টিম তালাশকে ভুয়া প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সাজিম বাহিনী। শুরু করেন নানা অপপ্রচার। বাকবিতণ্ডার একটি খন্ডিত অংশ দিয়ে তার অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়ে সাজিম বাহিনী।

তালাশ টিমের ওপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে সেই দিন একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এজাধিক ব্যক্তি জানান, রিসোর্ট মালিক সাজিম ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা, ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ডজনাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের বহুবার শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকাতেও রয়েছে তার নাম। এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত জানান, অপরাধী যতই শক্তিশালী হউক না কেন বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবেনা। এব্যাপারে নোমানুল হক সাজিম এর মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।