রমজানের রোজার শেষে খুশির সওগাত নিয়ে আসছে ঈদ। মূলত ঈদ আনন্দের আসল ভাগিদার হচ্ছেন যারা এক মাস রোজা রেখে অভুক্ত থাকার কষ্টকে অনুভব করেছেন। নামাজ, তারাবিহ, ইবাদত-বন্দেগি এবং ইসলামের অনুশাসন পালন করেছেন তাদের জন্য এই ঈদ আনন্দ বেশি উপভোগের, উচ্ছ্বাসের ও শান্তির। এই ঈদ আনন্দ তাদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে এক মহাপুরস্কার।
তখন সেসকল রোজাদারদের চোখে-মুখে থাকে আনন্দ আর উচ্ছাস। এই ঈদ প্রতিটি মুসলমানের ঘরে ঘরে নিয়ে আসে নির্মল আনন্দের সওগাত। ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দ ও খুশির উৎসব। ঈদ মানেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে হারিয়ে যাওয়ার দিন। ঈদ মানে সম্প্রীতি, ভালোবাসার বন্ধনে একে অপরকে নতুন করে আবদ্ধ করে নেয়ার দিন। তাইতো এই আনন্দের দিনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরা যেন গেয়ে উঠি-
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত , মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙ্গাইতে নিঁদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।”
অতঃপর এক মাস রোজা রাখার পর মুসলমানরা নতুন পাজামা-পাঞ্জাবি তথা পছন্দের পোশাক পরে, দেহে আতরখুশবু মেখে যখন ঈদগাহে যান, তখন ফেরেশতারা তাদের সংবর্ধনা জানান। স্বর্গীয় সব বাণীতে তাদের অভিনন্দিত করেন। ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর জন্য এক সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড়, শাসক-শাসিত ও আবালবৃদ্ধবনিতা সবার জন্য ঈদের আনন্দ যেন সমান ও ব্যাপক হয়, ইসলামে সেই ব্যবস্থা রয়েছে। এদিন দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির অংশ হিসেবে কোলাকুলি করবেন একে অপরের সঙ্গে। দোয়া ও মোনাজাত করবেন বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম জাহানের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায়। এরপর আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে বাসাবাড়িতে গিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে যেনো পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষ করার মাধ্যমে সকল কবীরা ও সগীরা গুণাহ সমূহ মাফ করে দিয়ে মাছুম বান্দা হিসেবে কবুল করেন। আমীন। সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের মোবারকবাদ জানাচ্ছি। শুভ হোক সবার জন্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
শুভেচ্ছান্তে-
প্যানেল মেয়র-৩
কক্সবাজার পৌরসভা।