০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাচারের উদ্দেশ্য জড়ো করা ১২ রোহিঙ্গাসহ উদ্ধার ২০:আটক তিন দালাল

  • শ.ম.গফুর:
  • প্রকাশিত সময় : ১১:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ৫৫ ভিউ

টেকনাফের সাগর উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে অবস্থান করছিল তাঁরা।এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ও ১২ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার হয়েছে।পাচার কাজে জড়িত ৩ দালাল’কে আটক করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় এ অভিযান চালায় টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল।বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে আশ্রিত এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
আটক দালালরা হলেন,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার দীল মোহাম্মদের স্ত্রী লুনা বেগম (৩৬),একই এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে মো. রিদুয়ান (১৯) এবং সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকার সাকের হোসাইনের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২১)।ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, মধ্যরাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার এক ব্যক্তির বসতঘরে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাসহ লোকজন জড়ো করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।এতে সন্দেহজনক বাড়িটি ঘিরে ফেললে ৫-৬ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।পরে বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে নারীসহ ১২ জন রোহিঙ্গা এবং ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক দালাল ও উদ্ধার হওয়াদের স্বীকারোক্তির বরাতে ওসি বলেন, সম্প্রতি সাগরপথে মানবপাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আটক দালালরাসহ চক্রটির সদস্যরা উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের মোটাংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করেছিল।গিয়াস উদ্দিন জানান, আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের এবং উদ্ধার হওয়াদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত

পাচারের উদ্দেশ্য জড়ো করা ১২ রোহিঙ্গাসহ উদ্ধার ২০:আটক তিন দালাল

প্রকাশিত সময় : ১১:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

টেকনাফের সাগর উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে অবস্থান করছিল তাঁরা।এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ও ১২ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার হয়েছে।পাচার কাজে জড়িত ৩ দালাল’কে আটক করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় এ অভিযান চালায় টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল।বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে আশ্রিত এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
আটক দালালরা হলেন,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার দীল মোহাম্মদের স্ত্রী লুনা বেগম (৩৬),একই এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে মো. রিদুয়ান (১৯) এবং সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকার সাকের হোসাইনের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২১)।ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, মধ্যরাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার এক ব্যক্তির বসতঘরে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাসহ লোকজন জড়ো করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।এতে সন্দেহজনক বাড়িটি ঘিরে ফেললে ৫-৬ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।পরে বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে নারীসহ ১২ জন রোহিঙ্গা এবং ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক দালাল ও উদ্ধার হওয়াদের স্বীকারোক্তির বরাতে ওসি বলেন, সম্প্রতি সাগরপথে মানবপাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আটক দালালরাসহ চক্রটির সদস্যরা উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের মোটাংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করেছিল।গিয়াস উদ্দিন জানান, আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের এবং উদ্ধার হওয়াদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।