১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিএমখালীতে ওয়ার্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ, থানায় এজাহার

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিএমখালী ইউপি’র স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার রমজান আলীর নেতৃত্বে দিদারুল আলম (২৬) এর ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে।

এ ঘটনায় চার’জনের নাম উল্লেখ করে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছে ভূক্তভোগী দিদারুল আলম।

এজাহার নামীয় অভিযুক্তরা হলেন, রেজাউল করিম মিন্টু (৩৫), পিতা মৃত ফজলুল হক, দিল মুহাম্মদ (৩২) পিতা নেজামুল হক, রমজান আলী (৩৫) পিতা মৃত গোলাম কবির, দেলোয়ার হোসেন (৩৮) পিতা মৃত নেজামুল হক।

ভুক্তভোগী দিদার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী দিদারুল আলম তার কিছু তফশীলোক্ত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে। বিবাদীরা লোভের বশবর্তী হয়ে তার ভোগদখলীয় জমি জবরদখলের পাঁয়তারা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন বাদীর নিকটাত্মীয় (সহোদর ভাই)। তারাও একই দাগের পৈত্রিক সম্পত্তির অংশিদার হওয়ার সুবাদে তাদের ভাগের অংশের সাথে বাদী দিদারের ভাগের অংশের জমিও বিক্রি করে দিয়েছে বলে গুজব রটায় তার দুই সহোদর।

এ নিয়ে পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক দিদার ও অভিযুক্তদের মধ্যে বিরোধ চলছে। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময় বাগবিতণ্ডা ও স্থানীয় শালিসি বৈঠক বসছে একাধিকবার।

ঘটনার দিন গত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় বিবাদীগণ অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় ঘটনাস্থল কক্সবাজার থানাধীন পিএমখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছনখোলা মধ্যম মালিপাড়া এলাকাস্থ বাদীর মালিকানাধীন জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়।

জমির অংশীদার আহত দিদার জানান, তার জমি জবরদখলের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় তার দেওয়া ঘিরা (প্রাচীর) উঠিয়ে ফেলে দিয়ে অভিযুক্ত জবর দখলকারীদের মধ্যে কেউ নতুন করে খুঁটি পুঁতছে, কেউ চতুর্দিকে ঘিরা প্রাচীর তৈরিতে ব্যতিব্যস্ত। ওখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়ার্ড রমজান আলী মেম্বার। এসময় তার জমি কেড়ে (জবরদখল) নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, অভিযুক্ত রমজান আলী তাকে জানান, এখানে তোমার কোন জমি নেই, তোমার অংশের জমি তোমার ভাইয়েরা বিক্রি করে দিয়েছে অনেক আগেই। এ কথা শুনতে পেয়ে বাদী দিদারুল আলম মেম্বার রমজান কে জানায় সে কারো কাছে তার কোন জমি বিক্রি করেনি। ভাইয়েরা, যে যার অংশ বিক্রি করার সামর্থ্য রাখেন। আমার অংশের জমি বিক্রি করার অধিকার তাদের নেই। এরকম কোন জমি বেচা বিক্রির সাথে আমি কাউকে লিখিত দেয়নি বা মৌখিকভাবে বলিনি। এসব ডাহা মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। একথা বলার সাথে সাথেই অভিযুক্ত রমজান মেম্বার অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে শারীরিক আঘাত (চড়, থাপ্পড়, কিল ঘুষি পা) করে মাটিতে ফেলে দেন। মাটিতে পড়ে থাকাবস্থায় গলা চিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় অন্যান্য বিবাদীরা ধারালো অস্ত্র, রড, লাঠিসোটা দিয়ে তাকে এলোপাথারী মারধর করে গুরুতর আহত করেন। ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে, বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়া আমাকে প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকী প্রদান করেন।

এ বিষয়ে দিদারুল আলম বলেন, বিবাদীগন অনেক ক্ষমতাধর ও খারাপ প্রকৃতির লোক। অন্যের জমি দখল করা তাদের নেশা ও পেশা। তারা যে কোনো সময় আমার এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তিনি ন্যায় বিচারের দাবি জানান প্রশাসনের নিকট।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেম্বার রমজান আলীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার সদর থানার এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

পিএমখালীতে ওয়ার্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ, থানায় এজাহার

প্রকাশিত সময় : ০৬:১২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিএমখালী ইউপি’র স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার রমজান আলীর নেতৃত্বে দিদারুল আলম (২৬) এর ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে।

এ ঘটনায় চার’জনের নাম উল্লেখ করে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছে ভূক্তভোগী দিদারুল আলম।

এজাহার নামীয় অভিযুক্তরা হলেন, রেজাউল করিম মিন্টু (৩৫), পিতা মৃত ফজলুল হক, দিল মুহাম্মদ (৩২) পিতা নেজামুল হক, রমজান আলী (৩৫) পিতা মৃত গোলাম কবির, দেলোয়ার হোসেন (৩৮) পিতা মৃত নেজামুল হক।

ভুক্তভোগী দিদার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী দিদারুল আলম তার কিছু তফশীলোক্ত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে। বিবাদীরা লোভের বশবর্তী হয়ে তার ভোগদখলীয় জমি জবরদখলের পাঁয়তারা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন বাদীর নিকটাত্মীয় (সহোদর ভাই)। তারাও একই দাগের পৈত্রিক সম্পত্তির অংশিদার হওয়ার সুবাদে তাদের ভাগের অংশের সাথে বাদী দিদারের ভাগের অংশের জমিও বিক্রি করে দিয়েছে বলে গুজব রটায় তার দুই সহোদর।

এ নিয়ে পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক দিদার ও অভিযুক্তদের মধ্যে বিরোধ চলছে। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময় বাগবিতণ্ডা ও স্থানীয় শালিসি বৈঠক বসছে একাধিকবার।

ঘটনার দিন গত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় বিবাদীগণ অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় ঘটনাস্থল কক্সবাজার থানাধীন পিএমখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছনখোলা মধ্যম মালিপাড়া এলাকাস্থ বাদীর মালিকানাধীন জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়।

জমির অংশীদার আহত দিদার জানান, তার জমি জবরদখলের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় তার দেওয়া ঘিরা (প্রাচীর) উঠিয়ে ফেলে দিয়ে অভিযুক্ত জবর দখলকারীদের মধ্যে কেউ নতুন করে খুঁটি পুঁতছে, কেউ চতুর্দিকে ঘিরা প্রাচীর তৈরিতে ব্যতিব্যস্ত। ওখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়ার্ড রমজান আলী মেম্বার। এসময় তার জমি কেড়ে (জবরদখল) নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, অভিযুক্ত রমজান আলী তাকে জানান, এখানে তোমার কোন জমি নেই, তোমার অংশের জমি তোমার ভাইয়েরা বিক্রি করে দিয়েছে অনেক আগেই। এ কথা শুনতে পেয়ে বাদী দিদারুল আলম মেম্বার রমজান কে জানায় সে কারো কাছে তার কোন জমি বিক্রি করেনি। ভাইয়েরা, যে যার অংশ বিক্রি করার সামর্থ্য রাখেন। আমার অংশের জমি বিক্রি করার অধিকার তাদের নেই। এরকম কোন জমি বেচা বিক্রির সাথে আমি কাউকে লিখিত দেয়নি বা মৌখিকভাবে বলিনি। এসব ডাহা মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। একথা বলার সাথে সাথেই অভিযুক্ত রমজান মেম্বার অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে শারীরিক আঘাত (চড়, থাপ্পড়, কিল ঘুষি পা) করে মাটিতে ফেলে দেন। মাটিতে পড়ে থাকাবস্থায় গলা চিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় অন্যান্য বিবাদীরা ধারালো অস্ত্র, রড, লাঠিসোটা দিয়ে তাকে এলোপাথারী মারধর করে গুরুতর আহত করেন। ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে, বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়া আমাকে প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকী প্রদান করেন।

এ বিষয়ে দিদারুল আলম বলেন, বিবাদীগন অনেক ক্ষমতাধর ও খারাপ প্রকৃতির লোক। অন্যের জমি দখল করা তাদের নেশা ও পেশা। তারা যে কোনো সময় আমার এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তিনি ন্যায় বিচারের দাবি জানান প্রশাসনের নিকট।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেম্বার রমজান আলীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার সদর থানার এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।