০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

পিএমখালীতে নিরীহ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি

গত ২৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়’টার দিকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছেন পিএমখালী ইউনিয়ন ছনখোলা উত্তর নয়াপাড়া এলাকার আবু তাহের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
উক্ত আহতের ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী নেই কেউ। কেন? কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত জানতে আহত জয়নাল সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে, জোরালো অভিযোগ উঠছে, জয়নালদের পার্শ্ববর্তী বাড়িতে বসবাসকারী সাইফুলই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কেননা, তার বাড়ির পাশে জয়নালকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের শোর চিৎকারে এলাকার মানুষ এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতাল প্রেরণের সহযোগিতায় এগিয়ে আসলেও ঘটনাস্থালএ সাইফুল ছিল অনুপস্থিত। এর থেকে স্থানীয়দের সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে তারপ্রতি। এলাকার মানুষ ধারণা পোষণ করছেন এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড সাইফুল, অন্য কেউ নয়।

ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সদর থানার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা উত্তর নয়াপাড়া গ্রামের নাক্কাসাপাড়া এলাকায়।

একটি সূত্র জানায়, ঘটনার জেরে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির রোষানলে পড়েন বাড়িতে অবস্থানরত সাইফুলের স্ত্রী আনোয়ারা। তারা শঙ্কুব্ধ হয়ে সাইফুলের স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। ছোট শিশু সহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং ঘরবাড়ি লুটপাট করেন। ঘরে থাকা সংরক্ষিত আলমিরা ভেংগে স্বর্ণালংকার, পরিধেয় কাপড়, নগদ টাকা (গরু ক্রয়ের জন্য জমিয়ে রাখা এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) নিয়ে যায়। ঘরের টিনের বেড়া ও মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দখল করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনার সাথে ন্যূনতম যোগসূত্র (সংশ্লিষ্টতা) নেই এমন নিরীহ লোকদের এজাহার নামীয় আসামি করে হয়রানি করছেন বাদী আবু তাহের। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেলে ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত তার সঠিক তথ্যে উদঘাটন করতে বেশ কিছুদিন মাঠে কাজ করেন প্রতিবেদক। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আহতের পরিবার, মিথ্যা মামলার আসামি, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেছেন প্রতিবেদক।

অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে, জয়নাল ও সাইফুলের মধ্যে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময় বাগবিতণ্ডা হয়ে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে সাইফুলের সীমানার মাটি খুঁড়ে নিয়ে বিক্রি করছে জয়নাল। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকারে চলে যায়। ঘটনার কয়েকদিন আগে সমস্যার সমাধানের জন্য স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়ে তার সীমানা বিরোধের নালিশ করে তা নিষ্পত্তির দায়িত্বভার দেয় তাদের। তারা অভিযুক্ত তথা আহত জয়নালের সাথে কথা বলবেন এবং বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পরে ঘটনাস্থল গিয়ে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করবেন। সালিশ বৈঠকের দিন বৃহস্পতিবার সকালে তর্কে জড়িয়ে যায়। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে জয়নাল আবেদীন।

ঘটনার সূত্রপাত ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, জয়নাল পাহাড় কাটা মাটি বালি বিক্রির সাথে যুক্ত। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা মাটি বালি বিক্রি করতে গিয়ে যেন কোন সংস্থার নজরে পড়তে না হয় তার জন্য বৃষ্টিতে পাহাড় কাটা মাটি বালি মজুদ করে রাখে একটি জমিতে। স্থানীয় বনবিট অফিসকে মাসোহারা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে পাহাড় কাটা মাটি বালি বিক্রি করছে জয়নাল গ্যাং।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে এক ব্যক্তি জানায়, জয়নাল যে জমিতে বালি মজুদ করে রাখেন সে জমির সীমানা লাগোয়া সাইফুলের বসতবাড়ি। বৃষ্টিতে পাহাড় কাটলে পানির সাথে কাঁদা মাটি এসে বসতবাড়িসহ রাস্তাঘাট চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এ নিয়ে চরম উদ্যোগ, উৎকণ্ঠায় থাকতে হয় সাইফুলদের। তাও আবার দুই চার দিন, মাস নয়, প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা। এভাবেই প্রতি বছর চলছে অবৈধ পাহাড় কাটার মহোৎসব। এখানে শুধু সাইফুল নই, পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী মানুষের অভিযোগ পাহাড় কাটা নিয়ে জয়নাল গ্যাংদের বিরুদ্ধে। ভাগ্যিস, এ বছর অতিবৃষ্টিতে আরো বেশি পাহাড় কাটার সুযোগ পেয়েছে তারা।

সম্পর্কে জয়নাল ও সাইফুল নিকটাত্মীয় (মামাতো-ফুফাতো ভাই) হয়। দীর্ঘ আট দশ বছর ধরে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া মায়ের জমির ওপর ঘর তুলে বসবাস করছে সাইফুল। পেশা ইলেক্ট্রনিক মিস্ত্রী। চলাফেরা করে নিজস্ব পরিবহন (মোটরসাইকেল) এ।

এ ঘটনায় পাঁচজনকে এজাহার নামীয়, ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় একটি এজাহার জমা দায়ের করেন আহত জয়নালের পিতা আবু তাহের। কক্সবাজার সদর মডেল থানা এজাহারটি আমলে নিয়ে তা নিয়মিত মামলা (৫৯/৬৯৪) হিসেবে এন্ট্রি করেন গত ২৬ অক্টোবর। উক্ত মামলাতে ঘটনাস্থল ও ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই, এমন কতক নিরীহ মানুষকে আসামি করে হয়রানি করছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠছে বাদীর বিরুদ্ধে।

মিথ্যা মামলার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছেন প্রতিবেদক। আহতের ঘটনা সত্য কিন্তু মামলায় এজাহার নামীয় আসামি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছেন এলাকার মানুষ। তারা দাবি রাখেন অভিযুক্তদের শাস্তি হোক। এই মিথ্যা অভিযোগের মামলা সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে নিরাপরাধ মানুষকে এই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হোক। হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা সম্পর্কে অভিযুক্তের আত্মীয় হলেও ঘটনার সাথে তাদের কেউ জড়িত নেই। ভূক্তভোগী পরিবারের দাবি করেন, দিনের আলোয় সংগঠিত হয়েছে এই ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোক লজ্জা এড়িয়ে অহেতুক হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য তাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করেন পিএমখালী ইউপির ২নং ওয়ার্ড ছনখোলা উত্তর নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ করিমের পুত্র আবু তাহের।

আসামিরা হলো ছনখোলা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত মোঃ বকসুর পুত্র ছৈয়দ উল্লাহ(৫৫) ও ফরিদ উল্লাহ (৬০)। মোঃ সাইফুল (৩২), আনোয়ারা বেগম(২৮), মোঃ লিয়াকত (৩৮)। আহতের ঘটনা সত্য কিন্তু অভিযুক্ত ছাড়া মামলার অন্য আসামি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ঘটনার সাথে কোন যোগসূত্র নেই, এসব মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয় বলে দাবি আসামিদের।

মামলাকে পুঁজি করে আসামিদের সহায় সম্পত্তি জবরদখল নিয়ে ভোগদখল করার কু-উদ্দেশ্য পরিকল্পিতভাবে ছেলে আহতের মামলায় আসামি করেছে বাদী এমনটাই দাবি সৈয়দ উল্লাহর। মামলার এজাহারে আসল ঘটনা সামনে আনেননি বলে মন্তব্য করে সৈয়দ উল্লাহ বলেন, মূল বিষয়কে সম্পূর্ণ আড়াল করে একটি ডাহা মিথ্যার উপর মামলাটি দাঁড় করিয়ে মামলা বাণিজ্যে নেমেছে চাচাতো ভাই আবু তাহের।

সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করে বাদী এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা পায়নি প্রতিবেদক। ঘুরেফিরে প্রতিবেদকের সামনে মামলার বাদী পক্ষের মাটি বালি বাণিজ্যেই ‘মুখ্য’ বলে দাঁড় করেছেন এলাকাবাসী।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এলাকার অভিভাবক হাজী আব্দুস শুকুর বলেন, আহতের ঘটনা ঘটেছে সম্ভবত সাইফুলের ভিটা থেকে মাটি নেওয়াকে কেন্দ্র করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঘটনার দিন বিকালে সালিশ বৈঠকের কথা ছিল। সাইফুলের বাড়ির দক্ষিণ সীমানায় লাগোয়া জমিতে বৃষ্টির পানিতে ভেসে আসা বালি আটকিয়ে মজুদ রেখে বিক্রি করেন জয়নাল। ঘটনাস্থল বাড়ির সীমানার ৪/৫ ফুট ভিতর থেকেও বালি নেয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। তবে নিশ্চিত বলতে পারছিনা, এখানে আরো কতকি রহস্য আছে। তবে জয়নালকে খুবই বাজেভাবে কাটা যখমী আঘাত করা হয়।
এমন ঘটনার কারণে নিজের পরিবার পরিজনের উপর প্রভাব পড়ে এবং আর সমাজের মানুষকে জবাবদিহি করতে হয়। এলাকার বদনাম ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। এমনকি মামলায় জড়িয়ে নিঃস্ব (আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত) হয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিজেদের উদাহরণ দেন তিনি।

ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত নিশ্চিত বলেননি হাজির আব্দুস শুকুর। তবে সাইফুল নামের একজনকে সন্দেহ করছেন। জোর গলায় বলেন, এখানে অন্য কেউ সম্পৃক্ততা নেই বা থাকার কথাও নয়। এখানে ওদের স্বার্থ ছাড়া অন্য কারো স্বার্থ নেই। মামলায় যাদের নাম দিয়েছে বলে শুনেছি, তাদেরকে মিথ্যা ফাঁসিয়েছেন বাদী। নিরীহ মানুষকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা অত্যন্ত অপরাধ।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের দাবী, ঘটনার সময় আসামি আনোয়ারা বেগম( সাইফুলের স্ত্রী) তার ঘরে থাকতে পারেন, ঘটনাস্থল নয়। শুধু ঘটনাস্থল নয়, উক্ত গ্রামেই বসবাস করেনা লিয়াকত(এলাকার মানুষ তাকে চিনেও না), সৈয়দ উল্লাহ, ফরিদ উল্লাহর বসতবাড়ি ঘটনাস্থল থেকে অনুমানিক প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার দূরত্বে। আহতের ঘটনাকে পূঁজিকরে অভিযুক্ত সাইফুলের ঘরবাড়ি আসবা পত্র ভাংচুর করে লোপাট করে নিয়ে গেছে। দখল করে নিয়েছে বাড়িঘরও।

অন্যদিকে, সম্পর্কে সাইফুল
ফরিদ উল্লাহ, সৈয়দ উল্লাহর ভাগিনা বিধেয়, এই সুযোগে তাদেরকেও মামলায় জড়িয়ে দিয়ে পূঁজিবিহীন ক্রেডিট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বাদীর আশপাশে থাকা আসামিদের সহায় সম্পত্তি ভোগ করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি বাদী আবু তাহের।

এ ঘটনা সম্পর্কে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক নুরুল আমিনের স্ত্রী বলেন, আমর বাড়ির ২০/৩০ ফুটের ব্যবধানে ঘটনা হলেও তা বুঝতে পারেনি। পরে মানুষের শোরগোল শুনতে পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি রক্তাক্ত জয়নাল।

মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন রুবেল নামের এক ব্যক্তি জানান, জয়নালের ঘটনার ব্যাপারে শুনেছি। সাইফুল নামে এক ব্যক্তির সাথে জয়নালের বিরোধ ছিলো, তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। সম্ভবত তার সাথে বিবাদে জড়িয়ে জয়নাল আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থল ও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই আর যাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ন্যূনতম সন্দেহ নেই, এমন কয়েক ব্যক্তিকে উক্ত ঘটনা মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই , তাদেরকে মামলায় আসামী করায় আমরা হতভম্ব। এ ধরনের গর্হিত কাজ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফরিদ উল্লাহ বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম। এবং আমার আরও এক ভাইকে আসামি দেওয়া হয়েছে সেও বাড়িতে ছিলেন। আমার বাড়ি থেকে ঘটনাস্থল ৪/৫ কিলোমিটার দূরে। মামলায় বাদী আমার চাচাতো ভাই আবু তাহেরের সাথে আমার বিরোধ নেই। আমি একজন শ্রমজীবী। দিন এনে দিন খাই। এই মামলার বাদী প্রভাবশালী হওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি চাই সঠিক তদন্ত
হউক। ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত বের করে তার উপযুক্ত বিচার হউক। এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হউক। পাশাপাশি আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে যে হয়রানি করছে তার বিচার দাবী করছি।

সরেজমিন জয়নাল আবেদীনের আম্মা (সৎ মা) জান্নাত বেগমের নিকট ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, তার ছেলেকে চুরি মেরে পালিয়ে গেছে সাইফুল। ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিল না, চোখে দেখেনি। কেন ? কি কারনে মেরেছে জিজ্ঞাসা করলে সে কিছু জানেন না বলে জানায়। তাদের মধ্যে আগে থেকে কোন ঝগড়া বিবাদ ছিল কিনা জানতে চাইলে বলেন, কোন বিরোধ ছিল না, তার ছেলেকে শুধু শুধু মেরেছে। এসময় সাইফুলের ভিটা থেকে মাটি নেওয়ার দৃশ্য দেখিয়ে জানতে চাইলে বাদ
বলেন, ওখানে তাদের জমি আছে তাই মাটি নিয়েছে। অন্য অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে ঘটনার সাথে জড়িত একজন ছাড়া অন্য কেউ নাই বলে স্বীকার করেন।
এবিষয়ে মামলার বাদি আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম জামাল উদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। নিরীহ কেহ আসামি হলে মামলা থেকে বাদ দিবেন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

পিএমখালীতে নিরীহ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি

প্রকাশিত সময় : ০৫:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

গত ২৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়’টার দিকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছেন পিএমখালী ইউনিয়ন ছনখোলা উত্তর নয়াপাড়া এলাকার আবু তাহের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
উক্ত আহতের ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী নেই কেউ। কেন? কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত জানতে আহত জয়নাল সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে, জোরালো অভিযোগ উঠছে, জয়নালদের পার্শ্ববর্তী বাড়িতে বসবাসকারী সাইফুলই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কেননা, তার বাড়ির পাশে জয়নালকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের শোর চিৎকারে এলাকার মানুষ এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতাল প্রেরণের সহযোগিতায় এগিয়ে আসলেও ঘটনাস্থালএ সাইফুল ছিল অনুপস্থিত। এর থেকে স্থানীয়দের সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে তারপ্রতি। এলাকার মানুষ ধারণা পোষণ করছেন এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড সাইফুল, অন্য কেউ নয়।

ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সদর থানার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা উত্তর নয়াপাড়া গ্রামের নাক্কাসাপাড়া এলাকায়।

একটি সূত্র জানায়, ঘটনার জেরে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির রোষানলে পড়েন বাড়িতে অবস্থানরত সাইফুলের স্ত্রী আনোয়ারা। তারা শঙ্কুব্ধ হয়ে সাইফুলের স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। ছোট শিশু সহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং ঘরবাড়ি লুটপাট করেন। ঘরে থাকা সংরক্ষিত আলমিরা ভেংগে স্বর্ণালংকার, পরিধেয় কাপড়, নগদ টাকা (গরু ক্রয়ের জন্য জমিয়ে রাখা এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) নিয়ে যায়। ঘরের টিনের বেড়া ও মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দখল করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনার সাথে ন্যূনতম যোগসূত্র (সংশ্লিষ্টতা) নেই এমন নিরীহ লোকদের এজাহার নামীয় আসামি করে হয়রানি করছেন বাদী আবু তাহের। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেলে ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত তার সঠিক তথ্যে উদঘাটন করতে বেশ কিছুদিন মাঠে কাজ করেন প্রতিবেদক। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আহতের পরিবার, মিথ্যা মামলার আসামি, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেছেন প্রতিবেদক।

অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে, জয়নাল ও সাইফুলের মধ্যে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময় বাগবিতণ্ডা হয়ে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে সাইফুলের সীমানার মাটি খুঁড়ে নিয়ে বিক্রি করছে জয়নাল। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকারে চলে যায়। ঘটনার কয়েকদিন আগে সমস্যার সমাধানের জন্য স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়ে তার সীমানা বিরোধের নালিশ করে তা নিষ্পত্তির দায়িত্বভার দেয় তাদের। তারা অভিযুক্ত তথা আহত জয়নালের সাথে কথা বলবেন এবং বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পরে ঘটনাস্থল গিয়ে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করবেন। সালিশ বৈঠকের দিন বৃহস্পতিবার সকালে তর্কে জড়িয়ে যায়। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে জয়নাল আবেদীন।

ঘটনার সূত্রপাত ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, জয়নাল পাহাড় কাটা মাটি বালি বিক্রির সাথে যুক্ত। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা মাটি বালি বিক্রি করতে গিয়ে যেন কোন সংস্থার নজরে পড়তে না হয় তার জন্য বৃষ্টিতে পাহাড় কাটা মাটি বালি মজুদ করে রাখে একটি জমিতে। স্থানীয় বনবিট অফিসকে মাসোহারা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে পাহাড় কাটা মাটি বালি বিক্রি করছে জয়নাল গ্যাং।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে এক ব্যক্তি জানায়, জয়নাল যে জমিতে বালি মজুদ করে রাখেন সে জমির সীমানা লাগোয়া সাইফুলের বসতবাড়ি। বৃষ্টিতে পাহাড় কাটলে পানির সাথে কাঁদা মাটি এসে বসতবাড়িসহ রাস্তাঘাট চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এ নিয়ে চরম উদ্যোগ, উৎকণ্ঠায় থাকতে হয় সাইফুলদের। তাও আবার দুই চার দিন, মাস নয়, প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা। এভাবেই প্রতি বছর চলছে অবৈধ পাহাড় কাটার মহোৎসব। এখানে শুধু সাইফুল নই, পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী মানুষের অভিযোগ পাহাড় কাটা নিয়ে জয়নাল গ্যাংদের বিরুদ্ধে। ভাগ্যিস, এ বছর অতিবৃষ্টিতে আরো বেশি পাহাড় কাটার সুযোগ পেয়েছে তারা।

সম্পর্কে জয়নাল ও সাইফুল নিকটাত্মীয় (মামাতো-ফুফাতো ভাই) হয়। দীর্ঘ আট দশ বছর ধরে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া মায়ের জমির ওপর ঘর তুলে বসবাস করছে সাইফুল। পেশা ইলেক্ট্রনিক মিস্ত্রী। চলাফেরা করে নিজস্ব পরিবহন (মোটরসাইকেল) এ।

এ ঘটনায় পাঁচজনকে এজাহার নামীয়, ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় একটি এজাহার জমা দায়ের করেন আহত জয়নালের পিতা আবু তাহের। কক্সবাজার সদর মডেল থানা এজাহারটি আমলে নিয়ে তা নিয়মিত মামলা (৫৯/৬৯৪) হিসেবে এন্ট্রি করেন গত ২৬ অক্টোবর। উক্ত মামলাতে ঘটনাস্থল ও ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই, এমন কতক নিরীহ মানুষকে আসামি করে হয়রানি করছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠছে বাদীর বিরুদ্ধে।

মিথ্যা মামলার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছেন প্রতিবেদক। আহতের ঘটনা সত্য কিন্তু মামলায় এজাহার নামীয় আসামি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছেন এলাকার মানুষ। তারা দাবি রাখেন অভিযুক্তদের শাস্তি হোক। এই মিথ্যা অভিযোগের মামলা সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে নিরাপরাধ মানুষকে এই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হোক। হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা সম্পর্কে অভিযুক্তের আত্মীয় হলেও ঘটনার সাথে তাদের কেউ জড়িত নেই। ভূক্তভোগী পরিবারের দাবি করেন, দিনের আলোয় সংগঠিত হয়েছে এই ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোক লজ্জা এড়িয়ে অহেতুক হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য তাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করেন পিএমখালী ইউপির ২নং ওয়ার্ড ছনখোলা উত্তর নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ করিমের পুত্র আবু তাহের।

আসামিরা হলো ছনখোলা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত মোঃ বকসুর পুত্র ছৈয়দ উল্লাহ(৫৫) ও ফরিদ উল্লাহ (৬০)। মোঃ সাইফুল (৩২), আনোয়ারা বেগম(২৮), মোঃ লিয়াকত (৩৮)। আহতের ঘটনা সত্য কিন্তু অভিযুক্ত ছাড়া মামলার অন্য আসামি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ঘটনার সাথে কোন যোগসূত্র নেই, এসব মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয় বলে দাবি আসামিদের।

মামলাকে পুঁজি করে আসামিদের সহায় সম্পত্তি জবরদখল নিয়ে ভোগদখল করার কু-উদ্দেশ্য পরিকল্পিতভাবে ছেলে আহতের মামলায় আসামি করেছে বাদী এমনটাই দাবি সৈয়দ উল্লাহর। মামলার এজাহারে আসল ঘটনা সামনে আনেননি বলে মন্তব্য করে সৈয়দ উল্লাহ বলেন, মূল বিষয়কে সম্পূর্ণ আড়াল করে একটি ডাহা মিথ্যার উপর মামলাটি দাঁড় করিয়ে মামলা বাণিজ্যে নেমেছে চাচাতো ভাই আবু তাহের।

সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করে বাদী এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা পায়নি প্রতিবেদক। ঘুরেফিরে প্রতিবেদকের সামনে মামলার বাদী পক্ষের মাটি বালি বাণিজ্যেই ‘মুখ্য’ বলে দাঁড় করেছেন এলাকাবাসী।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এলাকার অভিভাবক হাজী আব্দুস শুকুর বলেন, আহতের ঘটনা ঘটেছে সম্ভবত সাইফুলের ভিটা থেকে মাটি নেওয়াকে কেন্দ্র করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঘটনার দিন বিকালে সালিশ বৈঠকের কথা ছিল। সাইফুলের বাড়ির দক্ষিণ সীমানায় লাগোয়া জমিতে বৃষ্টির পানিতে ভেসে আসা বালি আটকিয়ে মজুদ রেখে বিক্রি করেন জয়নাল। ঘটনাস্থল বাড়ির সীমানার ৪/৫ ফুট ভিতর থেকেও বালি নেয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। তবে নিশ্চিত বলতে পারছিনা, এখানে আরো কতকি রহস্য আছে। তবে জয়নালকে খুবই বাজেভাবে কাটা যখমী আঘাত করা হয়।
এমন ঘটনার কারণে নিজের পরিবার পরিজনের উপর প্রভাব পড়ে এবং আর সমাজের মানুষকে জবাবদিহি করতে হয়। এলাকার বদনাম ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। এমনকি মামলায় জড়িয়ে নিঃস্ব (আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত) হয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিজেদের উদাহরণ দেন তিনি।

ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত নিশ্চিত বলেননি হাজির আব্দুস শুকুর। তবে সাইফুল নামের একজনকে সন্দেহ করছেন। জোর গলায় বলেন, এখানে অন্য কেউ সম্পৃক্ততা নেই বা থাকার কথাও নয়। এখানে ওদের স্বার্থ ছাড়া অন্য কারো স্বার্থ নেই। মামলায় যাদের নাম দিয়েছে বলে শুনেছি, তাদেরকে মিথ্যা ফাঁসিয়েছেন বাদী। নিরীহ মানুষকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা অত্যন্ত অপরাধ।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের দাবী, ঘটনার সময় আসামি আনোয়ারা বেগম( সাইফুলের স্ত্রী) তার ঘরে থাকতে পারেন, ঘটনাস্থল নয়। শুধু ঘটনাস্থল নয়, উক্ত গ্রামেই বসবাস করেনা লিয়াকত(এলাকার মানুষ তাকে চিনেও না), সৈয়দ উল্লাহ, ফরিদ উল্লাহর বসতবাড়ি ঘটনাস্থল থেকে অনুমানিক প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার দূরত্বে। আহতের ঘটনাকে পূঁজিকরে অভিযুক্ত সাইফুলের ঘরবাড়ি আসবা পত্র ভাংচুর করে লোপাট করে নিয়ে গেছে। দখল করে নিয়েছে বাড়িঘরও।

অন্যদিকে, সম্পর্কে সাইফুল
ফরিদ উল্লাহ, সৈয়দ উল্লাহর ভাগিনা বিধেয়, এই সুযোগে তাদেরকেও মামলায় জড়িয়ে দিয়ে পূঁজিবিহীন ক্রেডিট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বাদীর আশপাশে থাকা আসামিদের সহায় সম্পত্তি ভোগ করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি বাদী আবু তাহের।

এ ঘটনা সম্পর্কে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক নুরুল আমিনের স্ত্রী বলেন, আমর বাড়ির ২০/৩০ ফুটের ব্যবধানে ঘটনা হলেও তা বুঝতে পারেনি। পরে মানুষের শোরগোল শুনতে পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি রক্তাক্ত জয়নাল।

মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন রুবেল নামের এক ব্যক্তি জানান, জয়নালের ঘটনার ব্যাপারে শুনেছি। সাইফুল নামে এক ব্যক্তির সাথে জয়নালের বিরোধ ছিলো, তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। সম্ভবত তার সাথে বিবাদে জড়িয়ে জয়নাল আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থল ও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই আর যাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ন্যূনতম সন্দেহ নেই, এমন কয়েক ব্যক্তিকে উক্ত ঘটনা মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই , তাদেরকে মামলায় আসামী করায় আমরা হতভম্ব। এ ধরনের গর্হিত কাজ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফরিদ উল্লাহ বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম। এবং আমার আরও এক ভাইকে আসামি দেওয়া হয়েছে সেও বাড়িতে ছিলেন। আমার বাড়ি থেকে ঘটনাস্থল ৪/৫ কিলোমিটার দূরে। মামলায় বাদী আমার চাচাতো ভাই আবু তাহেরের সাথে আমার বিরোধ নেই। আমি একজন শ্রমজীবী। দিন এনে দিন খাই। এই মামলার বাদী প্রভাবশালী হওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি চাই সঠিক তদন্ত
হউক। ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত বের করে তার উপযুক্ত বিচার হউক। এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হউক। পাশাপাশি আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে যে হয়রানি করছে তার বিচার দাবী করছি।

সরেজমিন জয়নাল আবেদীনের আম্মা (সৎ মা) জান্নাত বেগমের নিকট ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, তার ছেলেকে চুরি মেরে পালিয়ে গেছে সাইফুল। ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিল না, চোখে দেখেনি। কেন ? কি কারনে মেরেছে জিজ্ঞাসা করলে সে কিছু জানেন না বলে জানায়। তাদের মধ্যে আগে থেকে কোন ঝগড়া বিবাদ ছিল কিনা জানতে চাইলে বলেন, কোন বিরোধ ছিল না, তার ছেলেকে শুধু শুধু মেরেছে। এসময় সাইফুলের ভিটা থেকে মাটি নেওয়ার দৃশ্য দেখিয়ে জানতে চাইলে বাদ
বলেন, ওখানে তাদের জমি আছে তাই মাটি নিয়েছে। অন্য অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে ঘটনার সাথে জড়িত একজন ছাড়া অন্য কেউ নাই বলে স্বীকার করেন।
এবিষয়ে মামলার বাদি আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম জামাল উদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। নিরীহ কেহ আসামি হলে মামলা থেকে বাদ দিবেন।