০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিএমখালীতে মাদক কারবারি মুবিনের দৌরাত্ম্য, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মাদক কারবারি রোহিঙ্গা আবদুল মুবিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার শাস্তির দাবী দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কক্সবাজার সদরস্থ উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছনখোলা মালিপাড়া গ্রামে বনের জমির উপর ঘর নির্মাণ করে বসতি গড়ে তোলা রোহিঙ্গা আবদুল মুবিন (৫২) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলেও তা আমলে নিচ্ছে বলেও জানান তারা।

ছনখোলা এলাকার লোকজন রোহিঙ্গা মুবিনকে চিনে গুটি বিয়ারি (মুবিন) হিসেবে। যিনি মাদক এর সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন নিজেই৷ একাধিক মামলা থাকার পরেও অদৃশ্য এক জাদুর কাঠির সাহায্যে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকাশ্যে ও চালাচ্ছেন মাদকের সাম্রাজ্য৷

সুত্রে জানা গেছে, ছনখোলা পূর্ব মালিপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির দখলে থাকা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের এক খন্ড জমি ক্রয় করেন মুবিন। ওই জমিতে ৩ বছর আগে ঘর নির্মাণ করে (সেকেন্ডহোম) বসতি গড়ে তোলেন। মূলত নিরাপদে মাদকের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে এ মফস্বল এলাকায় বসতি গড়েন মুবিন। এরপর থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন ভয়ানক মাদক ব্যবসা। কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত (কার্ডধারী) সদস্য মুবিন। ওখানে রয়েছে তার ঘর। সে সুবাদে ক্যাম্পে অবাধ বিচরণে তার কোন বাধা নিষেধ নেই। সে সুযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্প থেকে মাদকদ্রব্য ইয়াবা নিয়ে তার পিএমখালীর ছনখোলা বাড়িতে মজুদ করে রাখেন। ওখান থেকে কৌশলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করেন। মাঝেমধ্যে নিজে বহন করে ঢাকা শহরে মাল পৌঁছে দিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র।

ঢাকা নারায়ণগঞ্জের এক ইয়াবা কারবারির কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে রোহিঙ্গা মুবিনের বিরুদ্ধে। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ছনখোলা এলাকার একাধিক ব্যক্তি। তারা বলেন, ইয়াবা কারবারি মুবিনের দ্বারা প্রতারিত হয়ে জনৈক ব্যক্তি স্থানীয় লোকজনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তাদের কাছে মুমিনের বিচার দাবি করেন। এসময় তারা মুবিনকে খোঁজতে গিয়ে বাড়িতে পায়নি। এ ঘটনার পর মুবিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। দুই আড়াই মাস পর সে এলাকায় নিয়মিত হলে কয়েক ব্যক্তি তাকে আটকিয়ে জনৈক ব্যক্তির টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তার কাছ থেকে মাল নিয়ে যেত। গত ৮/১০ মাস ধরে তার কাছ থেকে মাল নিয়ে যাচ্ছিল না। তাই তাকে মাল দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছি। প্রতারিত ব্যক্তিকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানালে সেই তাদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উত্তম মাধ্যম দিলে সে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা মুবিন পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার আটক হয়েও থেমে নেই তার অপরাধ কর্মকাণ্ড। আত্মশুদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা নেই এই গুটি মুবিনের। অপরাধ জগতেই যেন অমৃত সুধা খুঁজে পেয়েছেন সে। গত বছর ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ঢাকাতে আটক হয় মূবিন। জামিনে বেরিয়ে জড়িয়ে যায় পুরানো পেশায়। ২০২৪ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি আট হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে ঢাকা এয়ার পোর্ট থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। ২/১ মাসের মাথায় জেল থেকে জামিনে বের হয়। এরপরও থেমে নেই গুটি মুবিনের দৌরাত্ম্য। সে যেন এক লাগামহীন ঘোড়া। তার মাদকের ছোঁয়ায় গ্রামীন এলাকার যুব সমাজের মধ্যে বিস্তার প্রভাব ফেলেছে। অর্ধ ডজন মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই চিহ্নিত মাদক কারবারি রোহিঙ্গা মুবিন।

স্থানীয় মালিপাড়া এলাকার অহিদুল্লাহ জানান, রোহিঙ্গা মুবিন উদ্দিন পেশাদার মাদক কারবারি। কয়েকজন মিলে তার রয়েছে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র। দেশের বিভিন্ন থানায় মাদকের মামলাও রয়েছে চক্র প্রধান মুবিনের নামে। প্রতিবাদ করলে জীবননাশের হুমকি দেয়। এই চক্রটির অত্যাচারে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। অন্যের জমি দখল করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। এমনকি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেউ।

এলাকাবাসীর দাবি, রোহিঙ্গা মুবিন একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। দৃশ্যমান কোন ব্যবসা বাণিজ্য নেই। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে চলিত বছরের শুরুতে ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকা গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে ৪ মাস জেল খেটেছে।

স্থানীয় সাইফুল ইসলাম সাইফু জানান, ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত সদস্য রোহিঙ্গা মুবিন এখনে বসতবাড়ি করে তার ঘরকে মাদকের আখড়ায় পরিণত করেছে। তার চলাফেরা রহস্যজনক।
গুটি মুবিন একজন নিরক্ষর রোহিঙ্গা নাগরিক অথচ টাকার পাওয়ারে বাগিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় সমাজ ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। তাকে এলাকায় সপ্তাহ দু’য়েক দেখা গেলেও হঠাৎ কোথাও উধাও হয়ে যায়। কয়েকদিন পরেই দেখা যায় এলাকার গ্যাং এর সাথে আড্ডা দিচ্ছে। তিনি বলেন, কোন নির্বাচনে নিজে ভোট দিতে পারেন না। অথচ তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে (তার পিছনে) লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে মুবিন উদ্দিনের মোবাইলে কয়েকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।

ইয়াবা কারবারি মুবিনের অবস্থান অবহিত করে বক্তব্য জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার এক পদস্থ কর্মকর্তা জানান, মাদক কারবারি মুবিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি। ক্যাম্প ভিত্তিক কারবারিদের ধরা কঠিন। তারা ইয়াবা চালান নিয়ে ঢাকা শহরে গিয়ে গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে। সে সহ অন্যান্য মাদক কারবারি পুলিশের নজরদারীতে রয়েছে। স্থানীয়রা এদেরকে হাতেনাতে ধৃত করে পুলিশে দিলে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

জমে উঠেছে বৃহত্তর বাদশাঘোনা সমাজ পরিচালনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা

পিএমখালীতে মাদক কারবারি মুবিনের দৌরাত্ম্য, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রকাশিত সময় : ০৩:২৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

মাদক কারবারি রোহিঙ্গা আবদুল মুবিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার শাস্তির দাবী দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কক্সবাজার সদরস্থ উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছনখোলা মালিপাড়া গ্রামে বনের জমির উপর ঘর নির্মাণ করে বসতি গড়ে তোলা রোহিঙ্গা আবদুল মুবিন (৫২) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলেও তা আমলে নিচ্ছে বলেও জানান তারা।

ছনখোলা এলাকার লোকজন রোহিঙ্গা মুবিনকে চিনে গুটি বিয়ারি (মুবিন) হিসেবে। যিনি মাদক এর সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন নিজেই৷ একাধিক মামলা থাকার পরেও অদৃশ্য এক জাদুর কাঠির সাহায্যে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকাশ্যে ও চালাচ্ছেন মাদকের সাম্রাজ্য৷

সুত্রে জানা গেছে, ছনখোলা পূর্ব মালিপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির দখলে থাকা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের এক খন্ড জমি ক্রয় করেন মুবিন। ওই জমিতে ৩ বছর আগে ঘর নির্মাণ করে (সেকেন্ডহোম) বসতি গড়ে তোলেন। মূলত নিরাপদে মাদকের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে এ মফস্বল এলাকায় বসতি গড়েন মুবিন। এরপর থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন ভয়ানক মাদক ব্যবসা। কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত (কার্ডধারী) সদস্য মুবিন। ওখানে রয়েছে তার ঘর। সে সুবাদে ক্যাম্পে অবাধ বিচরণে তার কোন বাধা নিষেধ নেই। সে সুযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্প থেকে মাদকদ্রব্য ইয়াবা নিয়ে তার পিএমখালীর ছনখোলা বাড়িতে মজুদ করে রাখেন। ওখান থেকে কৌশলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করেন। মাঝেমধ্যে নিজে বহন করে ঢাকা শহরে মাল পৌঁছে দিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র।

ঢাকা নারায়ণগঞ্জের এক ইয়াবা কারবারির কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে রোহিঙ্গা মুবিনের বিরুদ্ধে। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ছনখোলা এলাকার একাধিক ব্যক্তি। তারা বলেন, ইয়াবা কারবারি মুবিনের দ্বারা প্রতারিত হয়ে জনৈক ব্যক্তি স্থানীয় লোকজনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তাদের কাছে মুমিনের বিচার দাবি করেন। এসময় তারা মুবিনকে খোঁজতে গিয়ে বাড়িতে পায়নি। এ ঘটনার পর মুবিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। দুই আড়াই মাস পর সে এলাকায় নিয়মিত হলে কয়েক ব্যক্তি তাকে আটকিয়ে জনৈক ব্যক্তির টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তার কাছ থেকে মাল নিয়ে যেত। গত ৮/১০ মাস ধরে তার কাছ থেকে মাল নিয়ে যাচ্ছিল না। তাই তাকে মাল দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছি। প্রতারিত ব্যক্তিকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানালে সেই তাদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উত্তম মাধ্যম দিলে সে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা মুবিন পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার আটক হয়েও থেমে নেই তার অপরাধ কর্মকাণ্ড। আত্মশুদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা নেই এই গুটি মুবিনের। অপরাধ জগতেই যেন অমৃত সুধা খুঁজে পেয়েছেন সে। গত বছর ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ঢাকাতে আটক হয় মূবিন। জামিনে বেরিয়ে জড়িয়ে যায় পুরানো পেশায়। ২০২৪ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি আট হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে ঢাকা এয়ার পোর্ট থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। ২/১ মাসের মাথায় জেল থেকে জামিনে বের হয়। এরপরও থেমে নেই গুটি মুবিনের দৌরাত্ম্য। সে যেন এক লাগামহীন ঘোড়া। তার মাদকের ছোঁয়ায় গ্রামীন এলাকার যুব সমাজের মধ্যে বিস্তার প্রভাব ফেলেছে। অর্ধ ডজন মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই চিহ্নিত মাদক কারবারি রোহিঙ্গা মুবিন।

স্থানীয় মালিপাড়া এলাকার অহিদুল্লাহ জানান, রোহিঙ্গা মুবিন উদ্দিন পেশাদার মাদক কারবারি। কয়েকজন মিলে তার রয়েছে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র। দেশের বিভিন্ন থানায় মাদকের মামলাও রয়েছে চক্র প্রধান মুবিনের নামে। প্রতিবাদ করলে জীবননাশের হুমকি দেয়। এই চক্রটির অত্যাচারে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। অন্যের জমি দখল করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। এমনকি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেউ।

এলাকাবাসীর দাবি, রোহিঙ্গা মুবিন একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। দৃশ্যমান কোন ব্যবসা বাণিজ্য নেই। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে চলিত বছরের শুরুতে ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকা গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে ৪ মাস জেল খেটেছে।

স্থানীয় সাইফুল ইসলাম সাইফু জানান, ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত সদস্য রোহিঙ্গা মুবিন এখনে বসতবাড়ি করে তার ঘরকে মাদকের আখড়ায় পরিণত করেছে। তার চলাফেরা রহস্যজনক।
গুটি মুবিন একজন নিরক্ষর রোহিঙ্গা নাগরিক অথচ টাকার পাওয়ারে বাগিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় সমাজ ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। তাকে এলাকায় সপ্তাহ দু’য়েক দেখা গেলেও হঠাৎ কোথাও উধাও হয়ে যায়। কয়েকদিন পরেই দেখা যায় এলাকার গ্যাং এর সাথে আড্ডা দিচ্ছে। তিনি বলেন, কোন নির্বাচনে নিজে ভোট দিতে পারেন না। অথচ তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে (তার পিছনে) লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে মুবিন উদ্দিনের মোবাইলে কয়েকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।

ইয়াবা কারবারি মুবিনের অবস্থান অবহিত করে বক্তব্য জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার এক পদস্থ কর্মকর্তা জানান, মাদক কারবারি মুবিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি। ক্যাম্প ভিত্তিক কারবারিদের ধরা কঠিন। তারা ইয়াবা চালান নিয়ে ঢাকা শহরে গিয়ে গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে। সে সহ অন্যান্য মাদক কারবারি পুলিশের নজরদারীতে রয়েছে। স্থানীয়রা এদেরকে হাতেনাতে ধৃত করে পুলিশে দিলে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনবে।