০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ,মোটা অংকের টাকায় চুপ বনবিভাগ!

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বনভূমির রিজার্ভ জায়গায় পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে টৈটং ইউনিয়ন ডালার মূখ রমিজ পাড়া এলাকার দেলোয়ার হোছাইনের বিরুদ্ধে।পাহাড় কাটার ফলে বনভূমি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগের আওতায় বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসের অধীনে ওই পাহাড়ি ফরেস্ট রিজার্ভ জায়গায় প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে দালান নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। টইটং ইউনিয়নের ডালার মূখ রমিজ পাড়া এলাকায় দেলোয়ার হোছাইন বনভূমি রিজার্ভ জায়গায় পাহাড় কেটে নির্মাণ করছে চার কক্ষের বহুতল ভবন।
স্থানীয়রা জানান, বারবাকিয়া বিট অফিসার ও রেঞ্জ অফিসারকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রিজার্ভ ভূমিতে দালান নির্মাণ করছে। এ দালান নির্মাণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ফলজ, বনজ প্রকৃতির বেশ কিছু গাছগাছালি কর্তন করা হয়েছে। বনভূমির ফরেস্ট রিজার্ভ জায়গায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করার নিয়ম না থাকলেও স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি কোনো নিয়মকানুন মানছে না।

বুধবার ( ৬ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চার কক্ষের বহুতল ভবন নির্মাণের পিলার তৈরি করা হয়েছে। দালান নির্মাণের জন্য ইট, কংকর, বালি ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী দেখা যায়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোছাইন জানান, আপনারা যা ইচ্ছা তাই লেখেন । এখানে আমার কিছুই করার নেই। আমি বন বিভাগকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এ দালান নির্মাণ করছি। বনবিভাগ আমাকে আশ্বস্ত করেছে কোন সমস্যা হবেনা, যদি কেউ অভিযোগ করে আমরা গিয়ে কাজের বাঁধা দিয়ে আসব। পরে তোমরা আবার কাজ করতে পারবা কোন সমস্যা নেই আমরাতো আছি, তুমি কাজ চালিয়ে যাও শুধু আমাদেরকে একটু দেখবা।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক জানান, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আমি বিট অফিসারকে পাঠাবো। আমাদের জনবল সংকটের কারনে অনেক কিছু আমরা জানিনা,বিষয়টি আজকে আপনাদের কাছে জানলাম।আমি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।টাকার বিনিময়ে অনুমতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিজার্ভ জায়গা এধরনে দালাল নির্মাণে কোন অনুমতি দেওয়া হয় না। টাকা বিনিময়ে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ জড়িত যে হোক না কেন কাউকে ছাড়া দেওয়া হবেনা। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বস্ত করেন এই বন কর্মকর্তা।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ,মোটা অংকের টাকায় চুপ বনবিভাগ!

প্রকাশিত সময় : ০৪:০০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বনভূমির রিজার্ভ জায়গায় পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে টৈটং ইউনিয়ন ডালার মূখ রমিজ পাড়া এলাকার দেলোয়ার হোছাইনের বিরুদ্ধে।পাহাড় কাটার ফলে বনভূমি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগের আওতায় বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসের অধীনে ওই পাহাড়ি ফরেস্ট রিজার্ভ জায়গায় প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে দালান নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। টইটং ইউনিয়নের ডালার মূখ রমিজ পাড়া এলাকায় দেলোয়ার হোছাইন বনভূমি রিজার্ভ জায়গায় পাহাড় কেটে নির্মাণ করছে চার কক্ষের বহুতল ভবন।
স্থানীয়রা জানান, বারবাকিয়া বিট অফিসার ও রেঞ্জ অফিসারকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রিজার্ভ ভূমিতে দালান নির্মাণ করছে। এ দালান নির্মাণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ফলজ, বনজ প্রকৃতির বেশ কিছু গাছগাছালি কর্তন করা হয়েছে। বনভূমির ফরেস্ট রিজার্ভ জায়গায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করার নিয়ম না থাকলেও স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি কোনো নিয়মকানুন মানছে না।

বুধবার ( ৬ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চার কক্ষের বহুতল ভবন নির্মাণের পিলার তৈরি করা হয়েছে। দালান নির্মাণের জন্য ইট, কংকর, বালি ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী দেখা যায়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোছাইন জানান, আপনারা যা ইচ্ছা তাই লেখেন । এখানে আমার কিছুই করার নেই। আমি বন বিভাগকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এ দালান নির্মাণ করছি। বনবিভাগ আমাকে আশ্বস্ত করেছে কোন সমস্যা হবেনা, যদি কেউ অভিযোগ করে আমরা গিয়ে কাজের বাঁধা দিয়ে আসব। পরে তোমরা আবার কাজ করতে পারবা কোন সমস্যা নেই আমরাতো আছি, তুমি কাজ চালিয়ে যাও শুধু আমাদেরকে একটু দেখবা।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক জানান, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আমি বিট অফিসারকে পাঠাবো। আমাদের জনবল সংকটের কারনে অনেক কিছু আমরা জানিনা,বিষয়টি আজকে আপনাদের কাছে জানলাম।আমি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।টাকার বিনিময়ে অনুমতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিজার্ভ জায়গা এধরনে দালাল নির্মাণে কোন অনুমতি দেওয়া হয় না। টাকা বিনিময়ে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ জড়িত যে হোক না কেন কাউকে ছাড়া দেওয়া হবেনা। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বস্ত করেন এই বন কর্মকর্তা।