গত ০৩ এপ্রিল ২০২৪ (বুধবার) কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজার বার্তা, সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত “তদন্তের নির্দেশ মাদ্্রাসা শিক্ষাবোর্ডের “মাদ্্রাসায় পারিবারিক কমিটি, নেপথ্যে নিয়োগ বাণিজ্য” শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদের প্রতিবেদক কর্তৃক আমাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা ও কাল্পনিক, নিন্দনীয় সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে, তা শাক দিয়ে মাছ ডাকার অপচেষ্টা মাত্র।
প্রকৃতপক্ষে আমার কাছে থেকে প্রতিবেদক কোন প্রকার বক্তব্য না নিয়ে উক্ত সংবাদ পরিবেশন করা মোটেও কাম্যতা পাই না বলে আমি মনে করি। একটি সংবাদ পরিবেশন করার আগে নিষ্টার সাথে দায়িত্বের মধ্য থেকে যাচাই করা খুব জরুরী। অন্যথায় একজন সম্মানি মানুষের সম্মানক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কোন কিছুই নই। যিনি উক্ত সংবাদের প্রতিবেদক, তার নিকট আমি একটি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সে নামে কোম্পানী প্রতিষ্ঠানে বীমা পলিসি করেছিলাম, বীমা পলিসির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে আমি উক্ত সংবাদের প্রতিবেদকের কাছ থেকে বীমার কাগজপত্র নিয়ে টাকার হিসাব চাইতে যাই, সেই ধারাবাহিকতায় উক্ত প্রতিবেদক কর্তৃক আমার উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে কোন কিছুতেই আটকাতে না পেরে আমার কর্মস্থল নিয়ে ঠানাঠানি শুরু করেছে।
প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন বীমা পলিসি কারক। তিনি বিভিন্ন মানুষের নিকট গিয়ে বীমা পলিসি করায়, সে তুলনায় তার কাছ থেকে অনেকেই বীমার মেয়াদ শেষ হলে টাকা কিংবা হিসাব চাইতে যাবে, সেটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এখানে বীমার পলিসির হিসাব চাইতে যাওয়া নিয়ে সংবাদ পরিবেশন আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারি না। আমি প্রতিবেদকের কাছ থেকে বীমা পলিসির হিসাব চাওয়ায় সে আমাকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমাত্মক উক্ত সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। উক্ত মাদ্্রাসা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় গভর্ণিংবডি দ্বারা। সংবাদে পারিবারিক কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য হয় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনমূলকভাবে আনয়ন করে হয়রানি করার কুমানসে উক্ত সংবাদ পরিবেশন করিয়াছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারে না। শুধুমাত্র এনটিআরসিএ—এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিবেদককে কে বা কারা মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে এসব ষড়যন্ত্রমূলক ও অসত্য তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানের মান—ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে আমি যদি দূর্নীতি কিংবা অনিয়মের মাধ্যমে চাকুরী করতাম, তাহলে আমার ভয় হতো। তাই আমি এসব অসত্য সংবাদে মোটেও বিচলিত নই। উক্ত সংবাদে যে কল্পকাহিনী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়।
বর্তমানে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। যা একটি চক্র শিক্ষার সম্প্রসারণকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি উক্ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ ধরণের সংবাদ পরিবেশন করার পূর্বে যাচাই—বাছাই পূর্বক সংবাদ পরিবেশন করার জন্য আমার প্রাণপ্রিয় সাংবাদিক ভাইদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
পাশাপাশি উক্ত সংবাদ নিয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও অনুরোধ করছি। পরিশেষে আমি আরেকটি কথা বলতে চাই, উক্ত প্রতিবেদক কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যে সমস্ত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিবে, ইহার জন্যও কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ তিনি ব্যক্তিগত সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে আমার উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে আরো ভয়ানক কিছু করতে পারে বলে মন্তব্য করছি।
তাই এ বিষয়ে অনেকেই সজাগ থাকার অনুরোধ করছি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আপনারা সত্যটা উন্মোচন করুন, যদি এসব ব্যাপারে সত্যতা পাওয়া যায়, আইনগত ব্যবস্থা আমি স্বেচ্ছায় মেনে নিতে বাধ্য থাকবো।
প্রতিবাদকারী
মোঃ মুবিনুল হক
প্রিন্সিপ্যাল—কালারমারছড়া মঈনুল ইসলাম আলিম মাদ্্রাসা
মহেশখালী, কক্সবাজার।