১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনকে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি, নতুন আরো এক দেশের স্বীকৃতি

গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনের সমর্থন বাড়ছে। ফলে দেশটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটিকে আরও একটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে আর্মেনিয়া। শুক্রবার দেশটি ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দিয়েছে।

আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও তারা ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। এরপর দেশটিতে পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত উপত্যাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।

এর আগে একযোগে ফিলিস্তিনকে ইউরোপের তিন স্বীকৃতি দেয়। এ তিন দেশ হলো নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। গত ২২ মে একযোগে তিন দেশের প্রধানমন্ত্রীরা স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। দেশ ৩টির নেতারা বলেন, ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবেন কেবল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির লক্ষ্যে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর বলেন, সর্বোত্তম পথ হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান। ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি না থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসতে পারে না।

নরওয়ের ঘোষণার পরপরই, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিসও এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ডও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছে। আমরা প্রত্যেকে এখন সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য জাতীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত যে আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও অনেক দেশ এ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণে আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে।

তিন দেশের এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় ইসরায়েল। ওই সময়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতদের অবিলম্বে ইসরায়েলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে আজ ফিলিস্তিনিদের এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চায় : তা হলো তারা সন্ত্রাসবাদের মূল্য দেয়।

ইসরায়েল বলেছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর স্বীকৃতি চরমপন্থা ও অস্থিতিশীলতাকে ইন্ধন দেবে এবং এই স্বীকৃতি হামাসকে লাভবান করবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

ফিলিস্তিনকে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি, নতুন আরো এক দেশের স্বীকৃতি

প্রকাশিত সময় : ১২:০৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনের সমর্থন বাড়ছে। ফলে দেশটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটিকে আরও একটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে আর্মেনিয়া। শুক্রবার দেশটি ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দিয়েছে।

আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও তারা ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। এরপর দেশটিতে পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত উপত্যাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।

এর আগে একযোগে ফিলিস্তিনকে ইউরোপের তিন স্বীকৃতি দেয়। এ তিন দেশ হলো নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। গত ২২ মে একযোগে তিন দেশের প্রধানমন্ত্রীরা স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। দেশ ৩টির নেতারা বলেন, ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবেন কেবল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির লক্ষ্যে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর বলেন, সর্বোত্তম পথ হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান। ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি না থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসতে পারে না।

নরওয়ের ঘোষণার পরপরই, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিসও এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ডও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছে। আমরা প্রত্যেকে এখন সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য জাতীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত যে আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও অনেক দেশ এ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণে আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে।

তিন দেশের এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় ইসরায়েল। ওই সময়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতদের অবিলম্বে ইসরায়েলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে আজ ফিলিস্তিনিদের এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চায় : তা হলো তারা সন্ত্রাসবাদের মূল্য দেয়।

ইসরায়েল বলেছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর স্বীকৃতি চরমপন্থা ও অস্থিতিশীলতাকে ইন্ধন দেবে এবং এই স্বীকৃতি হামাসকে লাভবান করবে।