১২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীর ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক পিএমখালীর নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এলাকায় অবস্থিত ছাগলনাইয়া সরকারী কলেজের প্রভাষক পিএমখালী ইউনিয়নের জুমছড়ির ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মরহুম হাবিব উল্লাহ এর পুত্র নাছির উদ্দিন তার প্রভাষকের ক্ষমতা অপব্যবহার করে করে মরহুম হাবিব উল্লাহ পুত্র বখতিয়ার উদ্দীন (৪০) এর ক্রয়কৃত জমি জোর পূর্বক জবর দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জানা যায়, উক্ত নাছির উদ্দিন বখতিয়ারের আপন ছোট ভাই। নাছির উদ্দিন প্রায় সময় বখতিয়ারকে তার ক্রয়কৃত জমি জবর দখলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছিল। এতে উক্ত বখতিয়ার উদ্দিন তার খরিদকৃত জমি ছেড়ে দিবে না মর্মে জানালে, প্রভাষক নাছির উদ্দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জানা যায়, বখতিয়ার উদ্দিনের আপন ছোট ভাই হিসেবে অনেক টাকা ব্যয় করে তাকে লেখাপড়া করিয়েছিল। সে বখতিয়ারের টাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলার ছাগল নাইয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক হিসাবে কর্মরত আছে। সে ইতিপূর্বে দুদকের উপ—পরিচালক পদে চাকুরী করেছিল। উক্ত চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে বর্তমানে বর্ণিত সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসাবে কর্মরত আছে। ইতিপূর্বে দুদকে কর্মরত থাকায় এবং বর্তমানে বিসিএস ক্যাডার (সাধারণ শিক্ষা) হিসাবে সরকারি কলেজে কর্মরত থাকায় প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের লোকজনের সহিত তার নানা ধরণের সম্পর্ক রয়েছে। যার দরুণ বর্তমানে সে দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় এলাকাস্থ বখতিয়ারের পৈত্রিক ও খরিদা মালিকানাধীন জায়গা সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক জবর দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। নাছির উদ্দিন অবৈধ প্রভাব—প্রতিপত্তির জোরে স্থানীয় মেম্বারসহ গন্যমান্য লোকজনসহ কাউকে তোয়াক্কা করে না।
সে বখতিয়ারের জায়গা জবর দখলের উদ্দেশ্যে এবং তাকে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অপতৎপরতায় লিপ্ত আছে। এমনকি বিভিন্ন দপ্তরে বখতিয়ারের বিরুদ্ধে ভূঁয়া, বানোয়াট অভিযোগ করে তার ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তা দ্বারা বখতিয়ারকে নানাভাবে হয়রানি করছে। একপর্যায়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে নাছির উদ্দিন জোরপূর্বক বখতিয়ারের জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায় এবং তার শার্টের কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে ঘর থেকে বের করে আঙ্গিনায় এনে কিল, ঘুষি মারে এবং তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ ভাড়াটিয়া গুন্ডা দ্বারা অপহরণপূর্বক খুন করে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। উক্ত বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নাছির উদ্দিনসহ সহযোগির বিরুদ্ধে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী একটি সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করে। যার সাধারণ ডায়েরী নং— ১৯৭১। উক্ত জিডি দায়েরের বিষয় জানলে সে আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে বখতিয়ারকে ও স্ত্রী— সন্তানদের বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ভাড়া করা লোকজন দ্বারা বখতিয়ারের জায়গা ভোগদখলে বাধা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। উক্ত নাছির উদ্দিন একজন উচ্চ শিক্ষিত, বিসিএস ক্যাডার (শিক্ষা) হিসাবে কলেজ শিক্ষক পদে চাকুরীরত ব্যক্তির এমন চরম হতবাক হয়ে পড়েছে বখতিয়ারের পরিবার। এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, মন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ফেনী, সচিব শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধ্যক্ষ ছাগলনাইয়া সরকারী কলেজ, ফেনী, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত নাছির উদ্দিনের কবল থেকে রক্ষার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন বখতিয়ার ও তার ভুক্তভোগী পরিবার।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

ফেনীর ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক পিএমখালীর নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ০১:২২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এলাকায় অবস্থিত ছাগলনাইয়া সরকারী কলেজের প্রভাষক পিএমখালী ইউনিয়নের জুমছড়ির ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মরহুম হাবিব উল্লাহ এর পুত্র নাছির উদ্দিন তার প্রভাষকের ক্ষমতা অপব্যবহার করে করে মরহুম হাবিব উল্লাহ পুত্র বখতিয়ার উদ্দীন (৪০) এর ক্রয়কৃত জমি জোর পূর্বক জবর দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জানা যায়, উক্ত নাছির উদ্দিন বখতিয়ারের আপন ছোট ভাই। নাছির উদ্দিন প্রায় সময় বখতিয়ারকে তার ক্রয়কৃত জমি জবর দখলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছিল। এতে উক্ত বখতিয়ার উদ্দিন তার খরিদকৃত জমি ছেড়ে দিবে না মর্মে জানালে, প্রভাষক নাছির উদ্দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জানা যায়, বখতিয়ার উদ্দিনের আপন ছোট ভাই হিসেবে অনেক টাকা ব্যয় করে তাকে লেখাপড়া করিয়েছিল। সে বখতিয়ারের টাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলার ছাগল নাইয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক হিসাবে কর্মরত আছে। সে ইতিপূর্বে দুদকের উপ—পরিচালক পদে চাকুরী করেছিল। উক্ত চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে বর্তমানে বর্ণিত সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসাবে কর্মরত আছে। ইতিপূর্বে দুদকে কর্মরত থাকায় এবং বর্তমানে বিসিএস ক্যাডার (সাধারণ শিক্ষা) হিসাবে সরকারি কলেজে কর্মরত থাকায় প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের লোকজনের সহিত তার নানা ধরণের সম্পর্ক রয়েছে। যার দরুণ বর্তমানে সে দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় এলাকাস্থ বখতিয়ারের পৈত্রিক ও খরিদা মালিকানাধীন জায়গা সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক জবর দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। নাছির উদ্দিন অবৈধ প্রভাব—প্রতিপত্তির জোরে স্থানীয় মেম্বারসহ গন্যমান্য লোকজনসহ কাউকে তোয়াক্কা করে না।
সে বখতিয়ারের জায়গা জবর দখলের উদ্দেশ্যে এবং তাকে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অপতৎপরতায় লিপ্ত আছে। এমনকি বিভিন্ন দপ্তরে বখতিয়ারের বিরুদ্ধে ভূঁয়া, বানোয়াট অভিযোগ করে তার ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তা দ্বারা বখতিয়ারকে নানাভাবে হয়রানি করছে। একপর্যায়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে নাছির উদ্দিন জোরপূর্বক বখতিয়ারের জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায় এবং তার শার্টের কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে ঘর থেকে বের করে আঙ্গিনায় এনে কিল, ঘুষি মারে এবং তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ ভাড়াটিয়া গুন্ডা দ্বারা অপহরণপূর্বক খুন করে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। উক্ত বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নাছির উদ্দিনসহ সহযোগির বিরুদ্ধে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী একটি সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করে। যার সাধারণ ডায়েরী নং— ১৯৭১। উক্ত জিডি দায়েরের বিষয় জানলে সে আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে বখতিয়ারকে ও স্ত্রী— সন্তানদের বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ভাড়া করা লোকজন দ্বারা বখতিয়ারের জায়গা ভোগদখলে বাধা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। উক্ত নাছির উদ্দিন একজন উচ্চ শিক্ষিত, বিসিএস ক্যাডার (শিক্ষা) হিসাবে কলেজ শিক্ষক পদে চাকুরীরত ব্যক্তির এমন চরম হতবাক হয়ে পড়েছে বখতিয়ারের পরিবার। এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, মন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ফেনী, সচিব শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধ্যক্ষ ছাগলনাইয়া সরকারী কলেজ, ফেনী, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত নাছির উদ্দিনের কবল থেকে রক্ষার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন বখতিয়ার ও তার ভুক্তভোগী পরিবার।