মিয়ানমারের রাখাইনে একের পর এক বিস্ফোরণে টেকনাফ সীমান্তের বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) সীমান্ত থেকে ভেসে আসা বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
স্থানীয় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদে আনোয়ারী বলেন, গত তিনদিন ধরে আবারও টেকনাফ সীমান্তে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ মিয়ানমারের ওপার থেকে ভেসে আসছে। দিনের পর দিন মিয়ানমারের রাখাইনের অস্থিরতার কারণে টেকনাফ সীমান্ত পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে না। জেলেরা নাফনদী ও চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরতে বা কিনতে যেতে পারছেন না। কৃষকরা কাজে যেতে পারছে না। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার দফায় দফায় মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপার কেঁপে উঠেছে। মনে হয় সংঘর্ষের তীব্রতা আরও বাড়ছে।
শাহপরীর দ্বীপের সীমান্তের বাসিন্দা সৈয়দ আকবর বলেন, সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ সাগরে মাছ ধরতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। মাছ ধরতে মিয়ানমারের কাছাকাছি সাগরে যেতে হয়।
স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন আগে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও সোমবার থেকে মিয়ানমারের ওপার থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপারে কেঁপে উঠছে। এর তীব্রতা সন্ধ্যার দিকে বাড়ছিল। সীমান্তবাসীর মাঝে নতুন করে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
টেকনাফ (২বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সব সময় সর্তক রয়েছে।