০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

বদির খেলায় কে হচ্ছেন টেকনাফ উপজেলা পিতা

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। চলছে বিরামহীন মাইকিং। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী লড়াই বেশ জমে উঠেছে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। প্রার্থীরা সুকৌশলে একে অন্যের দোষত্রুটি তুলে ধরছেন ভোটারদের সামনে।আগামী ২৯ মে এ উপজেলায় ভোট গ্রহণের দিন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন তিনজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন।তবে ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু চেয়ারম্যান প্রার্থী দুই হেভিওয়েটকে ঘিরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, টেকনাফ পৌরসভার ভোট যাঁর দিকে ঝুঁকবে, সেই চেয়ারম্যান প্রার্থী শেষ হাসি হাসবেন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাবেক এমপি বদি ও একটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন অনেকেই। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফরের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে মাঠে ময়দানে।
এক পৌরসভা ও ছয় ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত টেকনাফ উপজেলা পরিষদ কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান, এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত।

টেকনাফে ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা
১লক্ষ ৮০ হাজার ৪২০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে, পুরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৮৮০ জন। মহিলা ভোটার ৮৮ হাজার ৫৩৮ জন।
চেয়ারম্যান পদে দুইজন একজন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। তিনি টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।এ ছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশরের ছোট ভাই।তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর আলম সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি এক সময় উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি বর্তমানে আনারাস মার্কা প্রার্থী জাফর আহমদ সাবেক সাংসদ বদির প্রিয় ও আস্থাভাজন, হওয়া তার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন জনসম্মুখে।জাফরের পক্ষে নিজেকে ঘোষণা দিয়েছে মিটিং মিছিলে।

আওয়ামী লীগ নেতা হাম জালাল বলেন,নুরুল আলম বিগত ৫ বছর স্বচ্ছতার সাথে টেকনাফে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের কারণে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচিতিসহ অসংখ্য সমর্থক রয়েছে। এছাড়া সর্বদলীয় মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে গ্রহণ করেছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।তেমনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদের সুবিধা সমূহ সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।

আরেক আওয়ামী নেতা আবুল কালাম বলেন, টেকনাফকে আরো উন্নয়ন করতে হলে সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আলমকে প্রয়োজন। তিনি সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির প্রিয় মানুষ তাই তার হাত ধরে উন্নয়ন হবে ইনশাআল্লাহ। যেহেতু জাফরের পক্ষে হয়ে কাজ করছে। এখানে জয় নিশ্চিত বলে আশাবাদী করছি আমরা।জাফর চেয়ারম্যান ও পাঁচ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিল তার সময়ে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে টেকনাফে।আমরা সাবরাংয়ের জনগণ তার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সাবেক এমপি আবদুর বদি সম্পর্কে পৌর যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম এবারও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে চেয়ারম্যান পদে সাবেক এমপি বদির পছন্দের প্রার্থী জাফর আলম।স্থানীয় রাজনীতিতে নুরুল আলম বদির প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত এবং জাফর আলম বদির অনুসারী।এলাকায় দিব্যি শোডাউন করে যাচ্ছেন আবদুর রহমান বদি। আব্দুর রহমান বদি নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। জাফর আলমের পক্ষে শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে ভোটারদেরকে। কিছুদিন আগেও এক মতবিনিময় সভায় নুরুল আলম চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সাবেক এমপি বদি যা প্রথম সারির গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

টেলিফোনে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলম সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হওয়ায় নিজ এলাকায় তার ভোটব্যাংকও রয়েছে । এ ছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা তার পক্ষে কোমর বেঁধে নেমেছেন এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে টেলিফোন প্রতীকের জন্য ভোটও চাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন । দিনে দিনে উপজেলার গ্রামে-গঞ্জে তার ভোটের পাল্লা ভারি হচ্ছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফরেরও নিজ এলাকা সদর ইউনিয়নে হলেও এগিয়ে থাকবেন নুরুল আলম। নুরুল আলমের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন প্রকাশ্যে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ।
এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ২২৩ জন। তবে পাশের সাবরাং ইউনিয়নে ভোট ভাগাভাগির সম্ভাবনা রয়েছে। এমন ধারণা সাধারণ ভোটারদের।
সাবরাং ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮২৩ জন।

বাহারছড়া ইউনিয়নের মানুষের কাছে বেশি জনপ্রিয় নুরুল আলম। তাই ধারণা করা হচ্ছে ওই ইউনিয়নে এগিয়ে থাকবেন তিনি। বাহারছড়া ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ৭৪৫জন। এ ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা আলমকে ভোট দেবেন এমন সম্ভাবনা করছেন তার সমর্থকরা। হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মুহাম্মাদ আলী জাফর চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করলেও ভোট ভাগাভাগি হবে। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ৯৮৭ জন। হোয়াইক্যং ইউনিয়নে এগিয়ে থাকবেন টেলিফোন মার্কা প্রতিক।এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৯৩ জন।পৌরসভার ভোট ভাগাভাগি হবে দুই প্রার্থীর মধ্যে। পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৯১৯ জন। সেন্টমার্টিনে টেলিফোন মার্কা প্রতিক এগিয়ে। সেন্টমার্টিনে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৯১০ জন।

উল্লেখ্য:টেকনাফ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৬০ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ১লক্ষ ৮০ হাজার ৪২০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে, পুরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৮৮০ জন। মহিলা ভোটার ৮৮ হাজার ৫৩৮ জন। ৬০ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ (বুথ) রয়েছে ৫০২ টি। তারমধ্যে, স্থায়ী বুথ ৪৪১ টি এবং অস্থায়ী বুথ ৬১ টি। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

বদির খেলায় কে হচ্ছেন টেকনাফ উপজেলা পিতা

প্রকাশিত সময় : ১২:০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। চলছে বিরামহীন মাইকিং। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী লড়াই বেশ জমে উঠেছে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। প্রার্থীরা সুকৌশলে একে অন্যের দোষত্রুটি তুলে ধরছেন ভোটারদের সামনে।আগামী ২৯ মে এ উপজেলায় ভোট গ্রহণের দিন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন তিনজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন।তবে ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু চেয়ারম্যান প্রার্থী দুই হেভিওয়েটকে ঘিরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, টেকনাফ পৌরসভার ভোট যাঁর দিকে ঝুঁকবে, সেই চেয়ারম্যান প্রার্থী শেষ হাসি হাসবেন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাবেক এমপি বদি ও একটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন অনেকেই। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফরের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে মাঠে ময়দানে।
এক পৌরসভা ও ছয় ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত টেকনাফ উপজেলা পরিষদ কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান, এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত।

টেকনাফে ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা
১লক্ষ ৮০ হাজার ৪২০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে, পুরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৮৮০ জন। মহিলা ভোটার ৮৮ হাজার ৫৩৮ জন।
চেয়ারম্যান পদে দুইজন একজন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। তিনি টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।এ ছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশরের ছোট ভাই।তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর আলম সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি এক সময় উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি বর্তমানে আনারাস মার্কা প্রার্থী জাফর আহমদ সাবেক সাংসদ বদির প্রিয় ও আস্থাভাজন, হওয়া তার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন জনসম্মুখে।জাফরের পক্ষে নিজেকে ঘোষণা দিয়েছে মিটিং মিছিলে।

আওয়ামী লীগ নেতা হাম জালাল বলেন,নুরুল আলম বিগত ৫ বছর স্বচ্ছতার সাথে টেকনাফে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের কারণে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচিতিসহ অসংখ্য সমর্থক রয়েছে। এছাড়া সর্বদলীয় মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে গ্রহণ করেছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।তেমনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদের সুবিধা সমূহ সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।

আরেক আওয়ামী নেতা আবুল কালাম বলেন, টেকনাফকে আরো উন্নয়ন করতে হলে সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আলমকে প্রয়োজন। তিনি সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির প্রিয় মানুষ তাই তার হাত ধরে উন্নয়ন হবে ইনশাআল্লাহ। যেহেতু জাফরের পক্ষে হয়ে কাজ করছে। এখানে জয় নিশ্চিত বলে আশাবাদী করছি আমরা।জাফর চেয়ারম্যান ও পাঁচ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিল তার সময়ে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে টেকনাফে।আমরা সাবরাংয়ের জনগণ তার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সাবেক এমপি আবদুর বদি সম্পর্কে পৌর যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম এবারও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে চেয়ারম্যান পদে সাবেক এমপি বদির পছন্দের প্রার্থী জাফর আলম।স্থানীয় রাজনীতিতে নুরুল আলম বদির প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত এবং জাফর আলম বদির অনুসারী।এলাকায় দিব্যি শোডাউন করে যাচ্ছেন আবদুর রহমান বদি। আব্দুর রহমান বদি নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। জাফর আলমের পক্ষে শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে ভোটারদেরকে। কিছুদিন আগেও এক মতবিনিময় সভায় নুরুল আলম চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সাবেক এমপি বদি যা প্রথম সারির গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

টেলিফোনে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলম সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হওয়ায় নিজ এলাকায় তার ভোটব্যাংকও রয়েছে । এ ছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা তার পক্ষে কোমর বেঁধে নেমেছেন এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে টেলিফোন প্রতীকের জন্য ভোটও চাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন । দিনে দিনে উপজেলার গ্রামে-গঞ্জে তার ভোটের পাল্লা ভারি হচ্ছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফরেরও নিজ এলাকা সদর ইউনিয়নে হলেও এগিয়ে থাকবেন নুরুল আলম। নুরুল আলমের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন প্রকাশ্যে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ।
এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ২২৩ জন। তবে পাশের সাবরাং ইউনিয়নে ভোট ভাগাভাগির সম্ভাবনা রয়েছে। এমন ধারণা সাধারণ ভোটারদের।
সাবরাং ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮২৩ জন।

বাহারছড়া ইউনিয়নের মানুষের কাছে বেশি জনপ্রিয় নুরুল আলম। তাই ধারণা করা হচ্ছে ওই ইউনিয়নে এগিয়ে থাকবেন তিনি। বাহারছড়া ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ৭৪৫জন। এ ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা আলমকে ভোট দেবেন এমন সম্ভাবনা করছেন তার সমর্থকরা। হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মুহাম্মাদ আলী জাফর চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করলেও ভোট ভাগাভাগি হবে। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ৯৮৭ জন। হোয়াইক্যং ইউনিয়নে এগিয়ে থাকবেন টেলিফোন মার্কা প্রতিক।এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৯৩ জন।পৌরসভার ভোট ভাগাভাগি হবে দুই প্রার্থীর মধ্যে। পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৯১৯ জন। সেন্টমার্টিনে টেলিফোন মার্কা প্রতিক এগিয়ে। সেন্টমার্টিনে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৯১০ জন।

উল্লেখ্য:টেকনাফ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৬০ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ১লক্ষ ৮০ হাজার ৪২০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে, পুরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৮৮০ জন। মহিলা ভোটার ৮৮ হাজার ৫৩৮ জন। ৬০ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ (বুথ) রয়েছে ৫০২ টি। তারমধ্যে, স্থায়ী বুথ ৪৪১ টি এবং অস্থায়ী বুথ ৬১ টি। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।