০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বসতির ৬০ বছর পর মিললো পাকা রাস্তা চেয়ারম্যান টিপু’র প্রতি এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞতা

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশিত সময় : ১২:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০৪ ভিউ

বসতির ৬০ বছর পর মিললো পাকা রাস্তা চেয়ারম্যান টিপু'র প্রতি এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞতা

শামশুল আলম শ্রাবণঃ-
১৯৬৩ সনের বন্যা কবলিত এলাকা উজানটিয়া করিয়ারদিয়া হতে তৎকালীন মহকুমা জেলা প্রশাসক (এসডিও) হারুন-অর-রশিদ পাকিস্তান সরকার হতে নিরানব্বই বছরের জন্য নিজ স্ত্রীর লারা এর নামে লিজ নিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের পূনর্বাসন করেন। এলাকাটির নাম দেওয়া হয় লার পাড়া। সেই থেকে তাদের স্থায়ী বসবাস এখানে।
৮০ সনের বিএস জরিপে এলাকাবাসীর নামে আলাদা আলাদা ১নং খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অত্র এলাকর সবাই শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রেনীর লোক হওয়ায় সরকারী খাজনা আদায় করতে না পারায় পরবর্তীতে নিজেদের নামে স্থায়ী বন্দোবস্তী নেওয়া হয়ে উঠেনি। তখনকার দিন হতে এলাকাবাসীর চাওয়া ছিলো একটি পাকা রাস্তা। একটি পাকা রাস্তার অভাবে পুরো এলাকার লোকজন প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগে ও হাটাঁচলার রাস্তা থাকলেও শুষ্ক মৌসুমেও নালার পানিতে রাস্তাটি পরিপূর্ণ থাকতো বিধায় বলা চলে নালা দিয়েই চলাচল করতো।

লার পাড়াটি ঝিলংজা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। ঝিলংজা ইউনিয়ন গঠিত হওয়ার পর হতে ১০-১২ জন চেয়ারম্যানের অদলবদল হলেও পূর্ব লার পাড়ার একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি বদল হয়নি এতদিন।
ভোটের আগে সব চেয়ারম্যান আর মেম্বার প্রার্থীরা রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে ও নির্বাচনের পরে আর কেউ মনে রাখেনি এই পূনর্বাসিত এলাকার মানুষের দুঃখ দূর্দশার কথা। ফলে ময়লার উপর দিয়ে হাটঁতেই হতো প্রতিনিয়ত।
সর্বশেষ কথা রেখেছেন ২ বারের মত নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হওয়া ঝিলংজা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পূর্বলার পাড়ার চলাচলের রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে। তিনধাপে করা এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চারশো ফিট আর প্রস্থ গড়ে বারো ফিট।পাশাপাশি করা হয়েছে পানি চলাচলের জন্য আলাদা ড্রেন।৩-৪ ফুট মাটি ভরাট করে দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় মত রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে। ১৯৬৩ সন হতে বসতি স্থাপন করলেও এলাকাবাসি পাকা সড়ক পান ২০২৩ সনে।
একটি পাকা সড়কের জন্য দীর্ঘ ৬০ বছর প্রতীক্ষা করতে হয়েছে এই এলাকার মানুষদের।

একদিন পর এলাকার মানুষদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফোটেছে।পুরো এলাকা বাসী কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, সরকার, চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এমইউপি মোহাম্মদ ইউনুস ও সংরক্ষিত মহিলা এমইউপি বুলবুল আক্তারের প্রতি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

বসতির ৬০ বছর পর মিললো পাকা রাস্তা চেয়ারম্যান টিপু’র প্রতি এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞতা

প্রকাশিত সময় : ১২:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

শামশুল আলম শ্রাবণঃ-
১৯৬৩ সনের বন্যা কবলিত এলাকা উজানটিয়া করিয়ারদিয়া হতে তৎকালীন মহকুমা জেলা প্রশাসক (এসডিও) হারুন-অর-রশিদ পাকিস্তান সরকার হতে নিরানব্বই বছরের জন্য নিজ স্ত্রীর লারা এর নামে লিজ নিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের পূনর্বাসন করেন। এলাকাটির নাম দেওয়া হয় লার পাড়া। সেই থেকে তাদের স্থায়ী বসবাস এখানে।
৮০ সনের বিএস জরিপে এলাকাবাসীর নামে আলাদা আলাদা ১নং খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অত্র এলাকর সবাই শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রেনীর লোক হওয়ায় সরকারী খাজনা আদায় করতে না পারায় পরবর্তীতে নিজেদের নামে স্থায়ী বন্দোবস্তী নেওয়া হয়ে উঠেনি। তখনকার দিন হতে এলাকাবাসীর চাওয়া ছিলো একটি পাকা রাস্তা। একটি পাকা রাস্তার অভাবে পুরো এলাকার লোকজন প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগে ও হাটাঁচলার রাস্তা থাকলেও শুষ্ক মৌসুমেও নালার পানিতে রাস্তাটি পরিপূর্ণ থাকতো বিধায় বলা চলে নালা দিয়েই চলাচল করতো।

লার পাড়াটি ঝিলংজা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। ঝিলংজা ইউনিয়ন গঠিত হওয়ার পর হতে ১০-১২ জন চেয়ারম্যানের অদলবদল হলেও পূর্ব লার পাড়ার একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি বদল হয়নি এতদিন।
ভোটের আগে সব চেয়ারম্যান আর মেম্বার প্রার্থীরা রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে ও নির্বাচনের পরে আর কেউ মনে রাখেনি এই পূনর্বাসিত এলাকার মানুষের দুঃখ দূর্দশার কথা। ফলে ময়লার উপর দিয়ে হাটঁতেই হতো প্রতিনিয়ত।
সর্বশেষ কথা রেখেছেন ২ বারের মত নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হওয়া ঝিলংজা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পূর্বলার পাড়ার চলাচলের রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে। তিনধাপে করা এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চারশো ফিট আর প্রস্থ গড়ে বারো ফিট।পাশাপাশি করা হয়েছে পানি চলাচলের জন্য আলাদা ড্রেন।৩-৪ ফুট মাটি ভরাট করে দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় মত রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে। ১৯৬৩ সন হতে বসতি স্থাপন করলেও এলাকাবাসি পাকা সড়ক পান ২০২৩ সনে।
একটি পাকা সড়কের জন্য দীর্ঘ ৬০ বছর প্রতীক্ষা করতে হয়েছে এই এলাকার মানুষদের।

একদিন পর এলাকার মানুষদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফোটেছে।পুরো এলাকা বাসী কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, সরকার, চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এমইউপি মোহাম্মদ ইউনুস ও সংরক্ষিত মহিলা এমইউপি বুলবুল আক্তারের প্রতি।