০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক ভ্রমণ পিপাসুদের প্রশান্তির স্পট

দেশের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজারের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কে দিন-দিন বাড়ছে পর্যটকপ্রেমীদের আনাগোনা। প্রায় প্রতিদিন নানা শ্রেণিপেশার মানুষের ভীড় জমে সড়কটি দেখতে।যেটি ভ্রমনপিপাসু মানুষ’কে প্রশান্তির খোরাকে পরিণত করেছে।বিশাল আকাশের নিচে বিস্তৃত এক অপরুপ সাজে দৃশ্যমান বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কটি।যেটির পাশ দিয়ে চলে গেছে ঘুমধুমের আকা-বাকা রাস্তা। উখিয়ার বালুখালী কাস্টমস ঘেষে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কটিতে প্রাতভ্রমণে আসেন অনেকেই। বিশেষ করে বৈকালিক ভ্রমণে আসেন এনজিওতে চাকরিরত তরুণ-তরুণীরা।তাদের ভীড় চোখে পড়ার মতো। সারা দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ শেষ করে বিকালে মুক্ত হাওয়ায় প্রশান্তির খোঁজে আসেন তারা।প্রায় প্রতিদিন নানা পেশার লোকজনের আগমন যেনো মন ভুলানো। বিকালের দিকে জমে লোকজনের ভীড় পড়ে সড়কটিতে। আকাশের পানে চেয়ে যতদূর যাওয়া যায় মেঘের মিতালি দেখা মিলেছে তার রুপের ছটা। অপরুপ রুপে সেজেছে সড়কটি। উখিয়ার বালুখালী আর নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার ঘুমধুমের বিস্তৃত ভূমি নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক। ভ্রমণ প্রেমিকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।তাতে উপস্থিতি বাড়ছে সড়কটিতে। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার ঘাট হয়ে প্রবেশ পথ। এশিয়ান হাইওয়ে এর ট্রান্স রোড়ের অংশ হিসেবে ২ কিলোমিটার সড়কের ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কটি। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য প্রসারে উক্ত সড়কটি নির্মাণ করা হলে মিয়ানমার অংশে পর্যাপ্ত সড়ক নির্মাণ না হওয়া এবং রোহিঙ্গা সমস্যায় বাণিজ্যিকভাবে সড়কটি চালু না হলেও পর্যটন স্পট হিসেবে এটি ইতিমধ্যে প্রসার লাভ করেছে। নানা রঙের বাহারি সাজে সেজেছে এটি। মিয়ানমারের সীমান্ত কাঁটা তারের বেড়া,এই সড়কটির আশপাশ পাহাড় ও লতাপাতায় ঘেরা সড়ক দিয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট। অনেকেই এখানে বেড়াতে আসেন। সকাল-দুপুর-বিকাল-সন্ধ্যা একেক সময়ে একেক রুপে দেখা দেয় মৈত্রী সড়ক। আকাশে কখনো সাদা মেঘের ভেলা, কখনো কালো মেঘের আনাগোনা, কখনো ধুসর আর গোধুলি বেলায় আবিরের রঙে সাজে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের আকাশ। সন্ধ্যায় ওপরে আকাশের আবিরের রং প্রতিফলিত হয় নিচের বিশাল সড়কের ওপর। সবমিলিয়ে এক অসাধারণ দৃশ্যের দেখা মেলে সেখানে। ওখানে দিগন্তজুড়ে দেখা মেলে সবুজের আলপনা। তাই সড়কটির নিরিবিলি পরিবেশ দেখতে ভ্রমণপিপাসুরা এখানেই চলে আসেন। আশপাশে কোথাও নগরায়নের ছোঁয়া নেই, নেই অবকাঠামো আর হোটেল-মোটেলের সুবিধা।তবে মাত্র দুয়েকটি মুখরোচক খাবারের হোটেল গড়ে তুলেছে।

প্রত্যঁন্ত গ্রামীণ বাস্তবতায় মৈত্রী সড়ক দেখতে নাগরিক সুবিধায় অভ্যস্তরা এখানে আসতে পারছেন না। এসব অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারলে তাঁরাও আসতে পারেন বাংলাদেশ-
মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।তবে প্রতিকার চিত্রে দেখা মেলে নানা পেশার,নানা বয়সের ভ্রমন পিপাসুদের।অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবার ও শনিবার ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নামে সড়কে।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের দেখাদেখিতে রোহিঙ্গাদের আনাগোনাও বেড়ে গেছে।বেড়েছে টিকটকারদের উপদ্রপ।সড়কটি উপলক্ষ করে মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় চোর-ছিনতাইকারীদের উপদ্রপও বেড়েছে।বিভিন্ন সময় চুরি-ছিনতাইয়ের
ঘটনাও ঘটেছে সড়কটিতে।অনেকেই হেনস্তার শিকার হয়েছেন।এনআরসি নামক এনজিওতে কর্মরত আলমগীর স্বপরিবার নিয়ে আসেন মৈত্রী সড়কে।নিরিবিলি অবসাদ ও প্রশান্তিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন সড়কটি।খুবই ভালো লেগেছে বলে জানান।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত নারী এনজিওকর্মী রাসেদা সুলতানা জানান,অনেক সুন্দর জায়গাটি।সড়কটি আরো ফাইন।তিনি অবসরে নিয়মিত আসেন বলে জানান।
ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ধর্মজিৎ সিংহ বলেন,সড়কটিতে দিন-দিন ভ্রমণ প্রিয় মানুষের দেখা মেলে।তবে এনজিওতে চাকরিরত লোকজন বেশী ভীড় করতে দেখা যায়।অনেক সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি,তাই সড়কটিতে নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশ টহলে পাঠিয়ে থাকি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক ভ্রমণ পিপাসুদের প্রশান্তির স্পট

প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজারের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কে দিন-দিন বাড়ছে পর্যটকপ্রেমীদের আনাগোনা। প্রায় প্রতিদিন নানা শ্রেণিপেশার মানুষের ভীড় জমে সড়কটি দেখতে।যেটি ভ্রমনপিপাসু মানুষ’কে প্রশান্তির খোরাকে পরিণত করেছে।বিশাল আকাশের নিচে বিস্তৃত এক অপরুপ সাজে দৃশ্যমান বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কটি।যেটির পাশ দিয়ে চলে গেছে ঘুমধুমের আকা-বাকা রাস্তা। উখিয়ার বালুখালী কাস্টমস ঘেষে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কটিতে প্রাতভ্রমণে আসেন অনেকেই। বিশেষ করে বৈকালিক ভ্রমণে আসেন এনজিওতে চাকরিরত তরুণ-তরুণীরা।তাদের ভীড় চোখে পড়ার মতো। সারা দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ শেষ করে বিকালে মুক্ত হাওয়ায় প্রশান্তির খোঁজে আসেন তারা।প্রায় প্রতিদিন নানা পেশার লোকজনের আগমন যেনো মন ভুলানো। বিকালের দিকে জমে লোকজনের ভীড় পড়ে সড়কটিতে। আকাশের পানে চেয়ে যতদূর যাওয়া যায় মেঘের মিতালি দেখা মিলেছে তার রুপের ছটা। অপরুপ রুপে সেজেছে সড়কটি। উখিয়ার বালুখালী আর নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার ঘুমধুমের বিস্তৃত ভূমি নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক। ভ্রমণ প্রেমিকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।তাতে উপস্থিতি বাড়ছে সড়কটিতে। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার ঘাট হয়ে প্রবেশ পথ। এশিয়ান হাইওয়ে এর ট্রান্স রোড়ের অংশ হিসেবে ২ কিলোমিটার সড়কের ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কটি। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য প্রসারে উক্ত সড়কটি নির্মাণ করা হলে মিয়ানমার অংশে পর্যাপ্ত সড়ক নির্মাণ না হওয়া এবং রোহিঙ্গা সমস্যায় বাণিজ্যিকভাবে সড়কটি চালু না হলেও পর্যটন স্পট হিসেবে এটি ইতিমধ্যে প্রসার লাভ করেছে। নানা রঙের বাহারি সাজে সেজেছে এটি। মিয়ানমারের সীমান্ত কাঁটা তারের বেড়া,এই সড়কটির আশপাশ পাহাড় ও লতাপাতায় ঘেরা সড়ক দিয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট। অনেকেই এখানে বেড়াতে আসেন। সকাল-দুপুর-বিকাল-সন্ধ্যা একেক সময়ে একেক রুপে দেখা দেয় মৈত্রী সড়ক। আকাশে কখনো সাদা মেঘের ভেলা, কখনো কালো মেঘের আনাগোনা, কখনো ধুসর আর গোধুলি বেলায় আবিরের রঙে সাজে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের আকাশ। সন্ধ্যায় ওপরে আকাশের আবিরের রং প্রতিফলিত হয় নিচের বিশাল সড়কের ওপর। সবমিলিয়ে এক অসাধারণ দৃশ্যের দেখা মেলে সেখানে। ওখানে দিগন্তজুড়ে দেখা মেলে সবুজের আলপনা। তাই সড়কটির নিরিবিলি পরিবেশ দেখতে ভ্রমণপিপাসুরা এখানেই চলে আসেন। আশপাশে কোথাও নগরায়নের ছোঁয়া নেই, নেই অবকাঠামো আর হোটেল-মোটেলের সুবিধা।তবে মাত্র দুয়েকটি মুখরোচক খাবারের হোটেল গড়ে তুলেছে।

প্রত্যঁন্ত গ্রামীণ বাস্তবতায় মৈত্রী সড়ক দেখতে নাগরিক সুবিধায় অভ্যস্তরা এখানে আসতে পারছেন না। এসব অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারলে তাঁরাও আসতে পারেন বাংলাদেশ-
মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।তবে প্রতিকার চিত্রে দেখা মেলে নানা পেশার,নানা বয়সের ভ্রমন পিপাসুদের।অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবার ও শনিবার ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নামে সড়কে।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের দেখাদেখিতে রোহিঙ্গাদের আনাগোনাও বেড়ে গেছে।বেড়েছে টিকটকারদের উপদ্রপ।সড়কটি উপলক্ষ করে মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় চোর-ছিনতাইকারীদের উপদ্রপও বেড়েছে।বিভিন্ন সময় চুরি-ছিনতাইয়ের
ঘটনাও ঘটেছে সড়কটিতে।অনেকেই হেনস্তার শিকার হয়েছেন।এনআরসি নামক এনজিওতে কর্মরত আলমগীর স্বপরিবার নিয়ে আসেন মৈত্রী সড়কে।নিরিবিলি অবসাদ ও প্রশান্তিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন সড়কটি।খুবই ভালো লেগেছে বলে জানান।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত নারী এনজিওকর্মী রাসেদা সুলতানা জানান,অনেক সুন্দর জায়গাটি।সড়কটি আরো ফাইন।তিনি অবসরে নিয়মিত আসেন বলে জানান।
ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ধর্মজিৎ সিংহ বলেন,সড়কটিতে দিন-দিন ভ্রমণ প্রিয় মানুষের দেখা মেলে।তবে এনজিওতে চাকরিরত লোকজন বেশী ভীড় করতে দেখা যায়।অনেক সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি,তাই সড়কটিতে নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশ টহলে পাঠিয়ে থাকি।