বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকের টাকা ও অস্ত্র লুট এবং ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়েছে। রুমায় তিনটি ও থানচিতে একটি মামলা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি থানার ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, রুমা কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার লাচি থোয়াই মারমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে মামলা করতে থানায় আসতে বলা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হান কাজেমী জানান, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে রুমায় তিনটি ও থানচিতে একটি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুটপাট করে। ভল্টের টাকা নিতে না পেরে ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন থানচি বাজারের সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় কৃষি ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং সোনালী ব্যাংক থেকে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা।
সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে রুমা থেকে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র্যাব। কিন্তু এ ঘটনার দুই ঘণ্টার মধ্যে আবারও থানচি বাজার ও থানায় হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে অন্তত ৫০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। ওইদিন মধ্যরাতে বান্দরবানের আলীকদম ২৬ মাইল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চেকপোস্টেও গুলির ঘটনা ঘটে।
এসব নিয়ে শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব, উত্তরসূরীদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছেন।