উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধভাবে ফার্মেসী ব্যবসার আড়ালে বহুমুখী অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প- ৯’র সি-১০ ব্লকে বসবাস করেন রোহিঙ্গা ফরিদ।সে ক্যাম্পের বাইরে দীর্ঘদিন ধরে ফার্মেসী খুলে ঔষধপথ্য দেওয়ার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ও স্বর্ণের ব্যবসা।বালুখালী ক্যাম্প-১০’র প্রবেশ মুখের ফুটবল খেলার মাঠের এপিবিএন চেকপোস্ট প্রবেশ পথের দক্ষিণ পাশে বড় ফার্মেসী দোকান খুলে বসেন ইসমাইল নামের এক ব্যক্তি।সে ইসমাঈল তার শেয়ারদাতা বলে চালিয়ে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাইকারী ঔষধের দোকানটি চালিয়ে যাচ্ছেন।এতে রোহিঙ্গা ইসমাঈলের বৈধ কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই। সরেজমিন ঘুরে বাংলাদেশী ইসমাইলের কাছ নিকট জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন ফরিদ তার দোকানের কর্মচারী।কিন্তু আসল রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ইসমাইল আর ফরিদের মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়িক সম্পর্ক।রোহিঙ্গা ক্যাম্প বলিবাজারে রয়েছে তাদের আরেকটি পাইকারী ঔষধের দোকান।
যদিও ক্যাম্প ইনচার্জ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঔষধের দোকান নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছেন।ক্যাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রহস্যজনক ভাবে এসব ফার্মেসীর আড়ালে নানা অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন।পাশাপাশি ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গ্রুপদের পরিচালনা করেন এই রোহিঙ্গা ফরিদ।ফরিদের নাম শুনলে সাধারণ রোহিঙ্গারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।তার অপকর্মের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যাম্প ৯-এ বসবাসরত রোহিঙ্গারা জানান, বাংলাদেশী ইসমাইলের সাথে ফরিদের রয়েছে বৈধ অবৈধ সমস্ত ব্যবসায় শেয়ার। যদিও ইসমাইল তা স্বীকার করতে চান না।
পাশাপাশি ফরিদের রয়েছে ভোটার আইডি কার্ড।মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফরিদ বাংলাদেশের কোন জেলায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেও অবৈধ ব্যবসা চালানোর জন্য ডুকে পড়েন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবং নিরবে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ ব্যবসা।রোহিঙ্গা ফরিদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ফরিদ ডাক্তার বেপরোয়া শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়েছিল।এরপর ফরিদ কিছুদিন গাঁ ঢাকা দিয়েছিল। বর্তমানে ফরিদ আবারও ফার্মেসীর আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সমস্ত অবৈধ ব্যবসা। তার দোকানে রয়েছে লাখ- লাখ টাকার ঔষুধ।ফরিদ একজন রোহিঙ্গা হয়ে কিভাবে কাঁটাতারের বাইরে ঔষধের দোকান করে এত টাকার ঔষুধ কিভাবে দোকানে মজুদ রাখে এবং কিভাবে নিজেকে একজন বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবী করেন,তা নিয়ে স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় এক যুবক বলেন ব্যবসার সমস্ত পুঁজি ফরিদের আর আশ্রয় দাতা হিসেবে আছেন পল্লী চিকিৎসক ইসমাঈল ।
ইসমাইল নিজেকে অনেক ক্ষমতাবান ব্যক্তি বলে দাবী করেন, তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেউ ওষুধের দোকান করতে না পারলে ও ইসমাইল করতে পারবেন বলে দাবী করেন। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরে ইসমাইলের নামে একাধিক দোকান রয়েছে। সচেতন মহলের দাবী, কাকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে ইসমাইল ও রোহিঙ্গা ফরিদের এই ঔষধ ব্যবসা। যা অন্য কারও পক্ষে সম্ভব না। স্হানীয়দের দাবী গোয়েন্দা নজরদারি মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসবে ফরিদের অপকর্মের আসল রহস্য। এ বিষয়ে উখিয়ার বালুখালী ৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান,রোহিঙ্গা হয়ে কেউ ফার্মেসী বা দোকান করার কোন অনুমতি নেই,হয়তো তারা আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব ব্যবসা করে যাচ্ছে।যদিও এই বিষয় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।