০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাস টার্মিনাল; যেখানে গাড়ির চেয়ে দোকানই বেশি

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশিত সময় : ১০:২২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১১৭ ভিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার জেলার মুল শহরের জ্যাম নিরসন ও আইন শৃংখলা বিবেচনা করে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার শহরের বাইরে ঝিলংজা ইউনিয়নের লারপাড়া নামক স্টেশনে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। জায়গাটি পৌরসভা ও ঝিলংজা ইউনিয়ন এর সীমানা নির্ধারনে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের এলাকায় পড়লেও স্থানীয় ও উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসন সব দিক বিবেচনা করে দেখাশুনার দায়ীত্ব দেন কক্সবাজার পৌরসভা কতৃপক্ষকে। শুরুর দিকে যাত্রীদের সুবিধার্থে নামে মাত্র হাতে গুনা কয়েকটি টং দোকান থাকলেও বর্তমানে বাস টার্মিনাল সীমানার ভেতরে নামে বেনামে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে কশেকশত দোকানঘর। শুধুমাত্র টং দোকানে সীমাবদ্ধ না থেকে তোলা হয়েছে বহুতল ভবনের দোকানপাট। দোকানগুলোতে হাত পাতলেই মিলছে সব ধরনের মাদক। সন্ধ্যা হলেই বসে মাদকের হাট। বিধিতে দিনরাত এই টার্মিনাল থেকে দুরপাল্লা ও আন্তজেলার গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও বিকেল পাচঁটার পর টার্মিনালের ভেতরের সব কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।এখানে সন্ধ্যা নামলেই এক ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরী হয়।এ দোকানগুলোর কারনে বাহির থেকে কোন ভাবেই বুঝার উপায় নাই এটি বাস টার্মিনাল। মুল ভবনে দোকান ছাড়া কোন গাড়ির কাউন্টারই নেই। পাচঁ বছর অন্তর মেয়রের বদল হওয়ার সাথে সাথে নতুন ভাবে দোকান বরাদ্দের হিড়িক পড়ে চরম ভাবে। পৌর কতৃপক্ষ একতলা মানের দোকান করার শর্তে বরাদ্দ দিলেও বরাদ্দ পাওয়া ব্যাক্তিগন বরাদ্দ পাওয়ার পর সেটিকে বহুতলে উন্নীত করে নিচ্ছেন নিজ ক্ষমতায়।

বাস টার্মিনালে দোকান বেড় যাওয়ায় গাড়ি রাখার জায়গা না থাকায় বর্তমানে বেশিরভাগ গাড়ি প্রধান সড়কেই পার্কিং করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।প্রশাসন ও তাদের কাছে এক প্রকার অসহায়। ফলে বাড়ছে জনদূর্ভোগ আর রোড় এক্সিডেন্ট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বর্তমানে টার্মিনালের প্রবেশ মুখে টার্মিনাল দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মৃদুল সরকার নামক একজন ব্যাক্তি বহুতল দোকান ভবন নির্মান করছেন।

মুঠোফোনে তার কাছ থেকে জানতে চাইলে বহুতলের অনুমোদন আছে কি না, তিনি তখন তেলেবেগুলে জ্বলে ওঠেন প্রতিবেদকের সাথে। বলেন “আমার ভবন করতে কারো অনুমোদন লাগেনা, আপনি নিউজ করেন হাজারটা, আমার একটা পশম ও ছিঁড়তে পারবেননা”।

এ বিষয়ে বর্তমান পৌরমেয়র জনাব মুজিবুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অনুমতি দিয়েছি কিনা সেটি জানা নেই, ফাইল দেখে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো, আপাতত কোন নিউজ করিয়েননা।

পরবর্তী কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এধরনের বহুতল দোকানঘর নির্মানের জন্য কোন আবেদন জমা পড়েনি এবং আমরা অনুমোদন ও দিইনি,দিতে পারি ও না। কেননা এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। শীঘ্রই এগুলোর বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন।

স্থানীয় জনসাধারন ও পরিবহন শ্রমিকদের অভিমত, বাস টার্মিনালে এসব দোকানপাটের বরাদ্দ বাতিল করে গাড়ি পার্কিং করার জায়গা পরিসর করলে সকলের জন্য কল্যানকর হতো। আইন শৃংখলার উন্নতি হতো। এগুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেছেন সকলে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

বাস টার্মিনাল; যেখানে গাড়ির চেয়ে দোকানই বেশি

প্রকাশিত সময় : ১০:২২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার জেলার মুল শহরের জ্যাম নিরসন ও আইন শৃংখলা বিবেচনা করে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার শহরের বাইরে ঝিলংজা ইউনিয়নের লারপাড়া নামক স্টেশনে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। জায়গাটি পৌরসভা ও ঝিলংজা ইউনিয়ন এর সীমানা নির্ধারনে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের এলাকায় পড়লেও স্থানীয় ও উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসন সব দিক বিবেচনা করে দেখাশুনার দায়ীত্ব দেন কক্সবাজার পৌরসভা কতৃপক্ষকে। শুরুর দিকে যাত্রীদের সুবিধার্থে নামে মাত্র হাতে গুনা কয়েকটি টং দোকান থাকলেও বর্তমানে বাস টার্মিনাল সীমানার ভেতরে নামে বেনামে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে কশেকশত দোকানঘর। শুধুমাত্র টং দোকানে সীমাবদ্ধ না থেকে তোলা হয়েছে বহুতল ভবনের দোকানপাট। দোকানগুলোতে হাত পাতলেই মিলছে সব ধরনের মাদক। সন্ধ্যা হলেই বসে মাদকের হাট। বিধিতে দিনরাত এই টার্মিনাল থেকে দুরপাল্লা ও আন্তজেলার গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও বিকেল পাচঁটার পর টার্মিনালের ভেতরের সব কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।এখানে সন্ধ্যা নামলেই এক ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরী হয়।এ দোকানগুলোর কারনে বাহির থেকে কোন ভাবেই বুঝার উপায় নাই এটি বাস টার্মিনাল। মুল ভবনে দোকান ছাড়া কোন গাড়ির কাউন্টারই নেই। পাচঁ বছর অন্তর মেয়রের বদল হওয়ার সাথে সাথে নতুন ভাবে দোকান বরাদ্দের হিড়িক পড়ে চরম ভাবে। পৌর কতৃপক্ষ একতলা মানের দোকান করার শর্তে বরাদ্দ দিলেও বরাদ্দ পাওয়া ব্যাক্তিগন বরাদ্দ পাওয়ার পর সেটিকে বহুতলে উন্নীত করে নিচ্ছেন নিজ ক্ষমতায়।

বাস টার্মিনালে দোকান বেড় যাওয়ায় গাড়ি রাখার জায়গা না থাকায় বর্তমানে বেশিরভাগ গাড়ি প্রধান সড়কেই পার্কিং করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।প্রশাসন ও তাদের কাছে এক প্রকার অসহায়। ফলে বাড়ছে জনদূর্ভোগ আর রোড় এক্সিডেন্ট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বর্তমানে টার্মিনালের প্রবেশ মুখে টার্মিনাল দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মৃদুল সরকার নামক একজন ব্যাক্তি বহুতল দোকান ভবন নির্মান করছেন।

মুঠোফোনে তার কাছ থেকে জানতে চাইলে বহুতলের অনুমোদন আছে কি না, তিনি তখন তেলেবেগুলে জ্বলে ওঠেন প্রতিবেদকের সাথে। বলেন “আমার ভবন করতে কারো অনুমোদন লাগেনা, আপনি নিউজ করেন হাজারটা, আমার একটা পশম ও ছিঁড়তে পারবেননা”।

এ বিষয়ে বর্তমান পৌরমেয়র জনাব মুজিবুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অনুমতি দিয়েছি কিনা সেটি জানা নেই, ফাইল দেখে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো, আপাতত কোন নিউজ করিয়েননা।

পরবর্তী কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এধরনের বহুতল দোকানঘর নির্মানের জন্য কোন আবেদন জমা পড়েনি এবং আমরা অনুমোদন ও দিইনি,দিতে পারি ও না। কেননা এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। শীঘ্রই এগুলোর বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন।

স্থানীয় জনসাধারন ও পরিবহন শ্রমিকদের অভিমত, বাস টার্মিনালে এসব দোকানপাটের বরাদ্দ বাতিল করে গাড়ি পার্কিং করার জায়গা পরিসর করলে সকলের জন্য কল্যানকর হতো। আইন শৃংখলার উন্নতি হতো। এগুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেছেন সকলে।