ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে শ্বাসরুদ্ধ করার অভিযোগ তুলেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে কংগ্রেস। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
প্রধান বিরোধী দলটির নেতাদের অভিযোগ, জাতীয় নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে দলটিকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতে চাইছেন মোদি।
কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করায় ঠিকমতো প্রচারণা চালাতে পারছেন না দলের নেতারা। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকায় কর্মীদের সমর্থন দিতে পারছেন না তারা। দলীয় প্রার্থী ও নেতারা বিমান বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেছেন, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অন্যায় পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত যে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ এই ধারণাটাই মিথ্যা হয়ে গেছে। ভারতে আজ আর কোনও গণতন্ত্র নেই বলেও মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী।
তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিজেপি বলেছে,২০১৭-১৮ সালে নগদ অর্থ অনুদান পাওয়ার পর, সেই অর্থের আয়কর রিটার্ন দাখিল করেনি কংগ্রেস। সেজন্যই দলের অ্যাকাউন্টগুলো আংশিকভাবে জব্দ করা হয়েছিল।
তবে এক বিবৃতিতে কংগ্রেসের কোশাধ্যক্ষ অজয় মাকেন বলেছেন, ২০১৭-১৮ সালে অনুদান এসেছিল প্রায় ২০০ কোটি রুপি। কিন্তু বিজেপি সরকার ২১০ কোটি রুপি অনাদায়ি বলে দাবি করে। সেই সাথে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে ১১০ কোটি রুপি বাজেয়াপ্ত করে। আর সেটা করা হয়েছে,যখন কংগ্রেসের আবেদন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ছিল।
অজয় মাকেন বলেন, জব্দ করার কারণে কংগ্রেসের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ তুলতে বা লেনদেন করতে পারছেন না দলের নেতারা।
ভারতে সাত দফায় আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে। বুথফেরত জরিপগুলোতে মোদি ও তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি এগিয়ে আছে।