১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহেশখালীতে আলোচিত সমালোচিত, বহিস্কৃত শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে জাল সনদে শিক্ষকতার অভিযোগ

  • বার্তা পরিবেশক:
  • প্রকাশিত সময় : ১১:০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩২৬ ভিউ

মহেশখালীতে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠছে। কক্সবাজার মহেশখালী উপজেলার জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মোঃ তোয়াহার উদ্দিন (ইনডেক্স নং—ঘ ৫৬৮৫২৯১৭) এর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মোঃ তোয়াহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম সারাদেশে ৬০ হাজার শিক্ষক জাল সনদে চাকরি করছেন এরই ধারাবাহিকতায় এই অভিযোগ করেছে।
প্রধান শিক্ষকের স্মারক নং— জ.মা.আ.উ.বি/অভি/—১/২৪, তারিখ: ০৮/০২/২৪ খ্রি. অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনের নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ যাচাই করে ভূয়া ও নকল প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক (থানায় মামলা) ব্যবস্থা নিতে প্রধান শিক্ষক, জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালীকে গত ২৯—০২—২০২৪ ইং তারিখ নির্দেশ দিয়েছেন ফিরোজ আহমেদ
সহকারী পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন—১)। স্মারক নম্বর: ৩৭.০৫.০০০০.০১০.০৫.০০১.২৮.৪৯৩/১(৮)। সাথে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করেন, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা ভবন, ঢাকা। সদস্য (যুগ্মসচিব), পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন, এনটিআরসিএ, ঢাকা। পরিচালক (উপসচিব), পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন, এনটিআরসিএ, ঢাকা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার। অফিসার ইনচার্জ, মহেশখালী। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিস, কক্সবাজার। সহকারী প্রোগ্রামার, এনটিআরসিএ, ঢাকা (পত্রটি এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে আপলোড করার অনুরোধসহ) এবং পি.এ টু চেয়ারম্যন, এনটিআরিসিএ, ঢাকা (চেয়ারম্যানের সদয় অবগতির জন্য)।

স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক তোহার উদ্দিনের নকল শিক্ষক নিবন্ধন সনদের বিষয়ে জানাজানি হওয়ার পর থেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে কয়েক বার কারণ দর্শানো নোটিশ দিলেও এর কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে অনুপস্থিত আছে। তাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।শুনেছি তোহার উদ্দিন জাল সনদের মাধ্যমে এতো দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনের কাছে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করা হলে, তার মোবাইল ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী জানান, শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নিয়ে অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা যাচাই করে সনদ জাল বলে জানা যায়। সে বিষয়ে আরো পরিষ্কার ও অধিকতর জানতে শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনকে পাওয়া যাচ্ছে না। সে স্কুলের কারোর সাথে যোগাযোগ নেই। এমনকি তাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে এবং উক্ত কারণ দর্শানোর নোটিশের কোন জবাবও দেয় নাই। এরপরও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি এবং সনদ জাল হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আরো জানা যায়, উক্ত শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন বিগত দিনে আরো ৩টি স্কুল যথাক্রমে— লামা উপজেলার ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়, চকরিয়ার গ্রামার উচ্চ বিদ্যালয়, দীগর পানখালী বালিকা মাদ্রাসা থেকে জাল—জালিয়াতির কারণে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন। উক্ত তোয়াহার উদ্দিনের জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষার মান—উন্নয়ন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সে নিজেকে কখনো উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাবী করে এবং কখনো আবার সহকারী প্রধান শিক্ষক দাবীদার হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়ায়। স্কুলে বর্তমানে দায়িত্বরত সকল শিক্ষকদের একই দাবী, সে কোনদিন স্কুলের সাফল্যতা কখনো চায়নি। বার বার ষড়যন্ত্র করে স্কুল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে।
কক্সবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

মহেশখালীতে আলোচিত সমালোচিত, বহিস্কৃত শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে জাল সনদে শিক্ষকতার অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ১১:০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠছে। কক্সবাজার মহেশখালী উপজেলার জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মোঃ তোয়াহার উদ্দিন (ইনডেক্স নং—ঘ ৫৬৮৫২৯১৭) এর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মোঃ তোয়াহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম সারাদেশে ৬০ হাজার শিক্ষক জাল সনদে চাকরি করছেন এরই ধারাবাহিকতায় এই অভিযোগ করেছে।
প্রধান শিক্ষকের স্মারক নং— জ.মা.আ.উ.বি/অভি/—১/২৪, তারিখ: ০৮/০২/২৪ খ্রি. অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনের নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ যাচাই করে ভূয়া ও নকল প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক (থানায় মামলা) ব্যবস্থা নিতে প্রধান শিক্ষক, জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালীকে গত ২৯—০২—২০২৪ ইং তারিখ নির্দেশ দিয়েছেন ফিরোজ আহমেদ
সহকারী পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন—১)। স্মারক নম্বর: ৩৭.০৫.০০০০.০১০.০৫.০০১.২৮.৪৯৩/১(৮)। সাথে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করেন, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা ভবন, ঢাকা। সদস্য (যুগ্মসচিব), পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন, এনটিআরসিএ, ঢাকা। পরিচালক (উপসচিব), পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন, এনটিআরসিএ, ঢাকা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার। অফিসার ইনচার্জ, মহেশখালী। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিস, কক্সবাজার। সহকারী প্রোগ্রামার, এনটিআরসিএ, ঢাকা (পত্রটি এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে আপলোড করার অনুরোধসহ) এবং পি.এ টু চেয়ারম্যন, এনটিআরিসিএ, ঢাকা (চেয়ারম্যানের সদয় অবগতির জন্য)।

স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক তোহার উদ্দিনের নকল শিক্ষক নিবন্ধন সনদের বিষয়ে জানাজানি হওয়ার পর থেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে কয়েক বার কারণ দর্শানো নোটিশ দিলেও এর কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে অনুপস্থিত আছে। তাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।শুনেছি তোহার উদ্দিন জাল সনদের মাধ্যমে এতো দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনের কাছে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করা হলে, তার মোবাইল ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী জানান, শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নিয়ে অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা যাচাই করে সনদ জাল বলে জানা যায়। সে বিষয়ে আরো পরিষ্কার ও অধিকতর জানতে শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনকে পাওয়া যাচ্ছে না। সে স্কুলের কারোর সাথে যোগাযোগ নেই। এমনকি তাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে এবং উক্ত কারণ দর্শানোর নোটিশের কোন জবাবও দেয় নাই। এরপরও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি এবং সনদ জাল হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আরো জানা যায়, উক্ত শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন বিগত দিনে আরো ৩টি স্কুল যথাক্রমে— লামা উপজেলার ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়, চকরিয়ার গ্রামার উচ্চ বিদ্যালয়, দীগর পানখালী বালিকা মাদ্রাসা থেকে জাল—জালিয়াতির কারণে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন। উক্ত তোয়াহার উদ্দিনের জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষার মান—উন্নয়ন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সে নিজেকে কখনো উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাবী করে এবং কখনো আবার সহকারী প্রধান শিক্ষক দাবীদার হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়ায়। স্কুলে বর্তমানে দায়িত্বরত সকল শিক্ষকদের একই দাবী, সে কোনদিন স্কুলের সাফল্যতা কখনো চায়নি। বার বার ষড়যন্ত্র করে স্কুল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে।
কক্সবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।