১০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহেশখালীর আবুল মাজন বাহিনীর হাতে ব্যবসায়ী মনজুর আলম গুরুতর আহত

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি পুরান বাজার এলাকায় স্থানীয় মনজুর আলম নামে এক ব্যবসায়ীর উপর নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী’রা।

গত শনিবার (১৯ মে) রাত ২ টায় তিতামাঝির পাড়া বাসিন্দা আফলাতুনের ছেলে বাড়ি ফেরার পথে তার সাথে এই ঘটনাটি ঘটে।

পরে আহত ব্যবসায়ী মনজুর আলমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসারত মনজুর আলমের বর্ণনা অনুযায়ী, রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বাজারে গ্যারেজে মোটরবাইক রাখার পর তাকে আক্রমণ করা হয়। হামলাকারীরা তাকে ব্যাপকভাবে মারধর করেন এবং তার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যান। ব্যাগে ২ লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিল।

তিনি আরও বলেন, হামলার পিছনে জড়িতদের মধ্যে রয়েছে মৃত এখলাছ ফকিরের ছেলে আবুল মাজন, নুরুজ্জামান সিকদার, নুর হোসেন, সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল এবং আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল মজিদ। এছাড়াও, এই হামলায় আরও কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়িত থাকার সন্দেহও রয়েছে। সবাই গাজা মদ ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহত ব্যবসায়ী মনজুর আলম কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শরীরে বিভিন্ন কাটাছেঁড়া চিহ্ন রয়েছে এবং রক্তক্ষয় হচ্ছে।
পিটে চুরি দিয়ে মারাত্মক আঘাত করায় প্রায় ৩ ইঞ্জি পরিমাণ জখম হয়েছে। যার ফলে ৪ দিন ধরে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা রক্তক্ষয় বন্ধের চিকিৎসা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

আহত মঞ্জুরের বোনের স্বামী রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন,মনজুর আলমকে মেরে ফেলার জন্য চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা করেছেন। যারা হামলা করেছেন সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই হামলার জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং একটি সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এই বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্য নুরুজ্জামান সিকদার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় কিন্তু ঘটনার বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে বলতে রাজি নয় বলে ফোন কেটে দেন।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সুকান্ত ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

মহেশখালীর আবুল মাজন বাহিনীর হাতে ব্যবসায়ী মনজুর আলম গুরুতর আহত

প্রকাশিত সময় : ০৫:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি পুরান বাজার এলাকায় স্থানীয় মনজুর আলম নামে এক ব্যবসায়ীর উপর নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী’রা।

গত শনিবার (১৯ মে) রাত ২ টায় তিতামাঝির পাড়া বাসিন্দা আফলাতুনের ছেলে বাড়ি ফেরার পথে তার সাথে এই ঘটনাটি ঘটে।

পরে আহত ব্যবসায়ী মনজুর আলমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসারত মনজুর আলমের বর্ণনা অনুযায়ী, রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বাজারে গ্যারেজে মোটরবাইক রাখার পর তাকে আক্রমণ করা হয়। হামলাকারীরা তাকে ব্যাপকভাবে মারধর করেন এবং তার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যান। ব্যাগে ২ লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিল।

তিনি আরও বলেন, হামলার পিছনে জড়িতদের মধ্যে রয়েছে মৃত এখলাছ ফকিরের ছেলে আবুল মাজন, নুরুজ্জামান সিকদার, নুর হোসেন, সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল এবং আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল মজিদ। এছাড়াও, এই হামলায় আরও কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়িত থাকার সন্দেহও রয়েছে। সবাই গাজা মদ ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহত ব্যবসায়ী মনজুর আলম কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শরীরে বিভিন্ন কাটাছেঁড়া চিহ্ন রয়েছে এবং রক্তক্ষয় হচ্ছে।
পিটে চুরি দিয়ে মারাত্মক আঘাত করায় প্রায় ৩ ইঞ্জি পরিমাণ জখম হয়েছে। যার ফলে ৪ দিন ধরে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা রক্তক্ষয় বন্ধের চিকিৎসা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

আহত মঞ্জুরের বোনের স্বামী রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন,মনজুর আলমকে মেরে ফেলার জন্য চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা করেছেন। যারা হামলা করেছেন সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই হামলার জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং একটি সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এই বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্য নুরুজ্জামান সিকদার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় কিন্তু ঘটনার বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে বলতে রাজি নয় বলে ফোন কেটে দেন।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সুকান্ত ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।