০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাবেক প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ নামা: ১

মহেশখালীর শাপলাপুরে জোর পূর্বক এমপিওভুক্ত হতে প্রধান শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৭ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত এক শিক্ষক ২০১৫ সালের নিয়োগ দেখিয়ে পূণরায় প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য বর্তমান প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান ধরণের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখে আসছে। জানা যায়, সাবেক প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বিগত ২০/১০/২০২২ইং তারিখে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পর থেকে তার স্থলে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কায়চার লিটন স্থলাভিষিক্ত হন। কায়চার লিটন প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকে তাকে পদচ্যুতি করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। বর্তমানে উক্ত নুর মোহাম্মদ কর্তৃক পূণরায় প্রধান শিক্ষক হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনার জন্য কায়চার লিটনকে বিভিন্নভাবে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। অন্যথায় কায়চার লিটনকে চাকুরিচ্যুত করবে হুমকি ধমকি প্রদান করিতেছে। বর্তমানে জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কায়চার লিটন উক্ত ব্যক্তির হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান ভুক্তভোগী। উক্ত নুর মোহাম্মদ বিগত ২০/১০/২০২২ সালে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও, তার কালো টাকার মাধ্যমে পূণরায় ০১/০৬/২০১৫ সালের কম্পিউটার/আইসিটি পদে পূণঃ নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানাজানি হলে সবাই হতভম্ব হইয়া পড়ে। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার কাছে জানতে চাইলে, সে কোন প্রকার সদোত্তর প্রদান না করে উল্টো স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন চালিয়ে আসছে।

কায়সার উক্ত চাকুরীচ্যুত শিক্ষক উক্ত তারিখ থেকে নিজের কালোর টাকার বিনিময়ে পূণঃ এমপিও ভুক্তি হওয়ায়, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে রশি টানাটানি শুরু করেছে। উক্ত নুর মোহাম্মদকে আইনের আওতায় না আনলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র—ছাত্রীদের পড়ালেখায় চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে বলেও অভিমত এলাকাবাসী এবং বর্তমান প্রধান শিক্ষক কায়সার লিটন যদি উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে নুর মোহাম্মদের লালিত—পালিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা জোর পূর্বক পদচ্যুত করাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। তারাই ধারাবাহিকতায় কায়চার লিটন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সহিত ছাত্র—ছাত্রীদের অভিভাবক মহলের কাছে বিষয়টি জানালে, জড়িত এমন ঘৃণিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে স্থানীয় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিতাড়িত করবে বলেও জানান। আরো জানা যায়, উক্ত নুর মোহাম্মদ বিভিন্ন জাল জালিয়াতি সনদপত্র ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষকতার সাথে নিয়োজিত ছিল। সে উক্ত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানা যায়। তার বিরুদ্ধে এমন দূর্ণীতির ঘটনা অহরহ আছে।
শেষ পর্যন্ত তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ম্যানেজিং কমিটির কাছে জাল প্রমাণিত হওয়ায় স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু শেষ হয়নি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র। সে আবারও জোর পূর্বক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য তার লালিত—পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এতে করে তার বলির ফাটা হতে হচ্ছে বর্তমান প্রধান শিক্ষক কায়চার লিটনকে। কায়চার লিটন অভিযোগ করে বলেন, নুর মোহাম্মদ তিনি পিতৃতূল্য মনে করেন। উক্ত নুর মোহাম্মদ এর অন্যায় আবদার কোনভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নই, কারণ শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আওতায় আনে সরকার। আমি তো আর সরকার নই।

আমি তার কথামতো এমপিও ভুক্তির আওতায় আনবো? কারণ এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে গেলে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়। যদি ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হয়, তাও কি করে সম্ভব? তাই উক্ত নুর মোহাম্মদের অন্যায় আবদাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল অভিযোগ তুলেন এবং অভিযোগপত্র প্রধান শিক্ষক বরাবর জমা দেন এবং তাহার এমপিও যাতে না হতে পারে সে বিষয়ে এলাকার একজন রাজনীতিবিদ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট, চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান অবস্থায় আছে।
উক্ত নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে সঠিক ও সুষ্টুভাবে প্রশাসনের দ্বারা তদন্ত করলে, তার অনেক দূর্ণীতির ফিরিস্তি বেরিয়ে আসবে বলে এলাকাসাী জানান। এব্যাপারে উক্ত নুর মোহাম্মদ কাছে জানার জন্য তার ব্যবহৃত ০১৮২৫—৬৫৮৭৭৫নং এর ফোন করলে, তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী পর্বের জন্য চোখ রাখুন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

সাবেক প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ নামা: ১

মহেশখালীর শাপলাপুরে জোর পূর্বক এমপিওভুক্ত হতে প্রধান শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ

প্রকাশিত সময় : ০১:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৭ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত এক শিক্ষক ২০১৫ সালের নিয়োগ দেখিয়ে পূণরায় প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য বর্তমান প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান ধরণের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখে আসছে। জানা যায়, সাবেক প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বিগত ২০/১০/২০২২ইং তারিখে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পর থেকে তার স্থলে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কায়চার লিটন স্থলাভিষিক্ত হন। কায়চার লিটন প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকে তাকে পদচ্যুতি করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। বর্তমানে উক্ত নুর মোহাম্মদ কর্তৃক পূণরায় প্রধান শিক্ষক হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনার জন্য কায়চার লিটনকে বিভিন্নভাবে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। অন্যথায় কায়চার লিটনকে চাকুরিচ্যুত করবে হুমকি ধমকি প্রদান করিতেছে। বর্তমানে জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কায়চার লিটন উক্ত ব্যক্তির হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান ভুক্তভোগী। উক্ত নুর মোহাম্মদ বিগত ২০/১০/২০২২ সালে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও, তার কালো টাকার মাধ্যমে পূণরায় ০১/০৬/২০১৫ সালের কম্পিউটার/আইসিটি পদে পূণঃ নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানাজানি হলে সবাই হতভম্ব হইয়া পড়ে। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার কাছে জানতে চাইলে, সে কোন প্রকার সদোত্তর প্রদান না করে উল্টো স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন চালিয়ে আসছে।

কায়সার উক্ত চাকুরীচ্যুত শিক্ষক উক্ত তারিখ থেকে নিজের কালোর টাকার বিনিময়ে পূণঃ এমপিও ভুক্তি হওয়ায়, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে রশি টানাটানি শুরু করেছে। উক্ত নুর মোহাম্মদকে আইনের আওতায় না আনলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র—ছাত্রীদের পড়ালেখায় চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে বলেও অভিমত এলাকাবাসী এবং বর্তমান প্রধান শিক্ষক কায়সার লিটন যদি উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে নুর মোহাম্মদের লালিত—পালিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা জোর পূর্বক পদচ্যুত করাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। তারাই ধারাবাহিকতায় কায়চার লিটন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সহিত ছাত্র—ছাত্রীদের অভিভাবক মহলের কাছে বিষয়টি জানালে, জড়িত এমন ঘৃণিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে স্থানীয় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিতাড়িত করবে বলেও জানান। আরো জানা যায়, উক্ত নুর মোহাম্মদ বিভিন্ন জাল জালিয়াতি সনদপত্র ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষকতার সাথে নিয়োজিত ছিল। সে উক্ত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানা যায়। তার বিরুদ্ধে এমন দূর্ণীতির ঘটনা অহরহ আছে।
শেষ পর্যন্ত তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ম্যানেজিং কমিটির কাছে জাল প্রমাণিত হওয়ায় স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু শেষ হয়নি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র। সে আবারও জোর পূর্বক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য তার লালিত—পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এতে করে তার বলির ফাটা হতে হচ্ছে বর্তমান প্রধান শিক্ষক কায়চার লিটনকে। কায়চার লিটন অভিযোগ করে বলেন, নুর মোহাম্মদ তিনি পিতৃতূল্য মনে করেন। উক্ত নুর মোহাম্মদ এর অন্যায় আবদার কোনভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নই, কারণ শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আওতায় আনে সরকার। আমি তো আর সরকার নই।

আমি তার কথামতো এমপিও ভুক্তির আওতায় আনবো? কারণ এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে গেলে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়। যদি ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হয়, তাও কি করে সম্ভব? তাই উক্ত নুর মোহাম্মদের অন্যায় আবদাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল অভিযোগ তুলেন এবং অভিযোগপত্র প্রধান শিক্ষক বরাবর জমা দেন এবং তাহার এমপিও যাতে না হতে পারে সে বিষয়ে এলাকার একজন রাজনীতিবিদ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট, চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান অবস্থায় আছে।
উক্ত নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে সঠিক ও সুষ্টুভাবে প্রশাসনের দ্বারা তদন্ত করলে, তার অনেক দূর্ণীতির ফিরিস্তি বেরিয়ে আসবে বলে এলাকাসাী জানান। এব্যাপারে উক্ত নুর মোহাম্মদ কাছে জানার জন্য তার ব্যবহৃত ০১৮২৫—৬৫৮৭৭৫নং এর ফোন করলে, তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী পর্বের জন্য চোখ রাখুন।