সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নে ফসলী জমির উর্বর জমি কেটে নেওয়ার অভিযোগে মাটি পাচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা’র নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ।
গত ২২ জানুয়ারি সোমবার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা’র কাছে পিএমখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককূল এলাকার আব্দুল হাকিমের পুত্র নুরুল ইসলাম প্রকাশ ধলু, উত্তর পাতলী এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র আব্দুল খালেক, জাফর আলমের পুত্র আব্দুর রহিম, মৃত নুরুল আলমের পুত্র ওসমান সরওয়ার প্রকাশ বাপ্পি, মধ্য নয়াপাড়া এলাকার মৃত আবু বক্করের পুত্র নুরুল হুদা সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব প্যাড এ এই লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ।
ভুক্তভোগীদের মধ্য থেকে আব্দুল মালেক ও রাশেদুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে আমাদের জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আমরা বাধা দিলে তারা আমাদেরকে মামলা হামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেককে নাজেহাল হতে হয়। তাই আমরা কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন, ছনখোলা বড় বিল থেকে প্রতিরাতে মাটি কাটছে। এসব মাটি আমাদের জমির ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আর এতে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, সাথে জমিতে থাকা ফসলও নষ্ট হচ্ছে। মাটি নেওয়ার সময় মুখোশ পরে ১০/১২ জন লোক পাহারায় থাকেন। আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারিনা। মাটি কাটার স্থানে যাওয়ার ক্ষমতা কারোর নেই।
এর ব্যাপারে জানতে চাইলে এক সাংবাদিক জানান, মাত্র দুতিন দিন হয়েছে একটি পিচ রোডে এর কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদার। তাই এখনও ফিনিশিং এর কাজ করা হয়নি। অথচ স্থানীয় মাটি খেকো চক্র সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ৮/১০ টি ডাম্পারের মাধ্যমে কৃষি জমির মাটি বহন করে নষ্ট করে যাচ্ছে। তারা একদিকে ফসল জমির মাটি কেটে নিয়ে ফসল জমিকে পরিত্যক্ত করছে। অন্যদিকে সরকারি সম্পদ নষ্ট করছে। এ ব্যাপারে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের দায়িত্বশীলদের নিকট বারবার অভিযোগ দেওয়া হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখন দিন দিন তারা আরো বেপরোয়া হয়ে মাটি কাটছে।
এ বিষয়ে থানার উচিত সদর থানার ওসির জমানকে জানানো হলে তুমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান।
কক্সবাজার সদর এডিশনাল এসপি মিজানুর রহমানকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে মূলত আইনগত ব্যবস্থা নেন জেলা প্রশাসক। এদের বিরুদ্ধে আপনি নিউজ করেন। এরপর আমি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো।
এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিবেন বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা।