১২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবতার সীমানা নেই: গাজার শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ালো বাংলাদেশের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনের বোমাবর্ষণ, বিমান হামলা, ও গুলাবর্ষণে সেখানে মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সেবার সংকটে তারা প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে। এই সংকটময় মুহূর্তে, বাংলাদেশে অবস্থানরত ১৯৯২ সালের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিজেদের জীবনযুদ্ধের মধ্যেও তারা গাজার শরণার্থীদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে, যা বিশ্বমানবতার এক অনন্য উদাহরণ।

বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থানরত নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ১,০০০ জন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য রান্না করা খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছে। এই সহায়তা কার্যক্রমটি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানবিক দায়িত্ববোধের গভীর উদাহরণ হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। রোহিঙ্গারা নিজেরাই যারা শরণার্থী জীবন যাপন করছে, সেই একই অভিজ্ঞতা থেকে তাদের সহমর্মিতা আরও গভীর হয়েছে।

ত্রাণ সংগঠক আবু আরাফাত এবং সিরাজুল হক আবরার জানান, “আমরা শরণার্থী হলেও, আমাদের মধ্যেও সহমর্মিতার শক্তি প্রবল। আমাদের জীবন যেমন সংগ্রামে ভরা, তেমনি অন্য মানুষের কষ্ট বুঝতেও আমরা সক্ষম। ফিলিস্তিনিদের যে দুর্দশা, আমরা সেটি হৃদয়ে অনুভব করি। আমরা তাদের জন্য কিছু করতে পারি, এটাই আমাদের মানবতার প্রকাশ।”
ফিলিস্তিনের গাজার শরণার্থীদের সহায়তার আগে থেকেই বাংলাদেশের শরণার্থী রোহিঙ্গারা নিজেদের মানবিক উদ্যোগের দৃষ্টান্ত তৈরি করে আসছে। শুধু ফিলিস্তিন নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংকটের সময়ও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের চলমান বন্যার পানিতে বন্দি ফেনী, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগন্জ সহ প্রায় ১১,টি জেলার ১২, লাখ পরিবার। ৫৬, লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল ৫, লাখ মানুষ। এমন ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের ১৯৯২, সালের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ও লক্ষীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০০ পরিবারকে নগদ অর্থ ও চাউল, ডাল, তৈল, লবণ, মরিচ, হলুদ, পিয়াস সহ ত্রান সামগ্রী প্রদান করতে এগিয়ে এসেছেন।

২০২২ সালে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে যখন ভয়াবহ বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল, তখন ও নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা তাদের সীমিত সম্পদ থেকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।
এছাড়া ও, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা একই বছর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘটে যাওয়া বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিপর্যয়কর অগ্নিকাণ্ডের সময়ও নিজেদের উদ্যোগে সহায়তা প্রদানের নজির রেখেছে। ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। তারা তাদের সীমিত সামর্থ্য থেকেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে কুণ্ঠাবোধ করেনি।

ত্রাণের এই কার্যক্রমগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ এবং দায়িত্ববোধকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। তারা দেখিয়েছে যে যেকোনো সংকটময় সময়ে তারা কেবল নিজেদের সমস্যায় আটকে থাকে না, বরং বাংলাদেশের জনগণ ও অন্য শরণার্থীদের জন্যও সহমর্মিতার হাত বাড়ায়।
নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজেরাই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে, তাদের বসবাসের সুযোগ সুবিধা অত্যন্ত সীমিত। তবুও, তাদের মানবিক সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ অন্যদের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় তাদের সহায়তা প্রদান একটি শক্তিশালী বার্তা দেয় যে, শরণার্থীরাও মানবতার জন্য বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয়, তারা আন্তর্জাতিক স্তরেও সংহতির প্রতীক হয়ে উঠছে।

ফিলিস্তিনের গাজার সংকট তাদের মন ছুঁয়ে গেছে, কারণ নিজেরা একইভাবে দীর্ঘ ৩২, বছর ধরে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছে। যেভাবে তারা শরণার্থী শিবিরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবন কাটাচ্ছে, তা তাদের অন্য শরণার্থীদের কষ্ট গভীরভাবে উপলব্ধি করতে সহায়ক হয়েছে। এই সহমর্মিতার কারণেই তারা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই মানবিক প্রচেষ্টা শুধুমাত্র একটি সাময়িক উদ্যোগ নয়, বরং এটি বিশ্বের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা। সংকটে পড়া মানুষের জন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আসল মানবতা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই প্রচেষ্টা বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, মানুষ কখনো তার অবস্থানের কারণে ছোট হয়ে যায় না। তারা দেখিয়েছে যে সংকটময় সময়ে একে অপরকে সাহায্য করাই মানবতার মূল দায়িত্ব।

এ উদ্যোগ কেবল ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের জন্য নয়, বরং সারা বিশ্বের মানুষের জন্য একটি প্রেরণাদায়ক উদাহরণ। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা, যারা নিজেরাই সবকিছু হারিয়েছে, তাদের সীমিত সম্পদ থেকেও অন্যদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। তারা সংকটের মধ্যে থেকেও সহায়তার যে হাত বাড়িয়েছে, তা বিশ্ব মানবতার প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকবে।

ফিলিস্তিনের গাজার শরণার্থীদের পাশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা আমাদের শেখায় যে, মানবতা সবসময় সীমানার ঊর্ধ্বে। সংকটের সময় মানুষ যদি একে অপরের পাশে দাঁড়ায়, তবে পৃথিবীর যেকোনো বিপর্যয় মোকাবিলা করা সম্ভব। ১৯৯২, সালের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী মানুষের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়—সহমর্মিতার শক্তি, সহানুভূতি এবং সংহতি যেকোনো সংকট মোকাবিলার শক্তিশালী মাধ্যম।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

মানবতার সীমানা নেই: গাজার শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ালো বাংলাদেশের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা

প্রকাশিত সময় : ০৬:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনের বোমাবর্ষণ, বিমান হামলা, ও গুলাবর্ষণে সেখানে মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সেবার সংকটে তারা প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে। এই সংকটময় মুহূর্তে, বাংলাদেশে অবস্থানরত ১৯৯২ সালের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিজেদের জীবনযুদ্ধের মধ্যেও তারা গাজার শরণার্থীদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে, যা বিশ্বমানবতার এক অনন্য উদাহরণ।

বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থানরত নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ১,০০০ জন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য রান্না করা খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছে। এই সহায়তা কার্যক্রমটি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানবিক দায়িত্ববোধের গভীর উদাহরণ হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। রোহিঙ্গারা নিজেরাই যারা শরণার্থী জীবন যাপন করছে, সেই একই অভিজ্ঞতা থেকে তাদের সহমর্মিতা আরও গভীর হয়েছে।

ত্রাণ সংগঠক আবু আরাফাত এবং সিরাজুল হক আবরার জানান, “আমরা শরণার্থী হলেও, আমাদের মধ্যেও সহমর্মিতার শক্তি প্রবল। আমাদের জীবন যেমন সংগ্রামে ভরা, তেমনি অন্য মানুষের কষ্ট বুঝতেও আমরা সক্ষম। ফিলিস্তিনিদের যে দুর্দশা, আমরা সেটি হৃদয়ে অনুভব করি। আমরা তাদের জন্য কিছু করতে পারি, এটাই আমাদের মানবতার প্রকাশ।”
ফিলিস্তিনের গাজার শরণার্থীদের সহায়তার আগে থেকেই বাংলাদেশের শরণার্থী রোহিঙ্গারা নিজেদের মানবিক উদ্যোগের দৃষ্টান্ত তৈরি করে আসছে। শুধু ফিলিস্তিন নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংকটের সময়ও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের চলমান বন্যার পানিতে বন্দি ফেনী, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগন্জ সহ প্রায় ১১,টি জেলার ১২, লাখ পরিবার। ৫৬, লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল ৫, লাখ মানুষ। এমন ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের ১৯৯২, সালের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ও লক্ষীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০০ পরিবারকে নগদ অর্থ ও চাউল, ডাল, তৈল, লবণ, মরিচ, হলুদ, পিয়াস সহ ত্রান সামগ্রী প্রদান করতে এগিয়ে এসেছেন।

২০২২ সালে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে যখন ভয়াবহ বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল, তখন ও নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা তাদের সীমিত সম্পদ থেকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।
এছাড়া ও, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা একই বছর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘটে যাওয়া বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিপর্যয়কর অগ্নিকাণ্ডের সময়ও নিজেদের উদ্যোগে সহায়তা প্রদানের নজির রেখেছে। ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। তারা তাদের সীমিত সামর্থ্য থেকেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে কুণ্ঠাবোধ করেনি।

ত্রাণের এই কার্যক্রমগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ এবং দায়িত্ববোধকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। তারা দেখিয়েছে যে যেকোনো সংকটময় সময়ে তারা কেবল নিজেদের সমস্যায় আটকে থাকে না, বরং বাংলাদেশের জনগণ ও অন্য শরণার্থীদের জন্যও সহমর্মিতার হাত বাড়ায়।
নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজেরাই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে, তাদের বসবাসের সুযোগ সুবিধা অত্যন্ত সীমিত। তবুও, তাদের মানবিক সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ অন্যদের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় তাদের সহায়তা প্রদান একটি শক্তিশালী বার্তা দেয় যে, শরণার্থীরাও মানবতার জন্য বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয়, তারা আন্তর্জাতিক স্তরেও সংহতির প্রতীক হয়ে উঠছে।

ফিলিস্তিনের গাজার সংকট তাদের মন ছুঁয়ে গেছে, কারণ নিজেরা একইভাবে দীর্ঘ ৩২, বছর ধরে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছে। যেভাবে তারা শরণার্থী শিবিরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবন কাটাচ্ছে, তা তাদের অন্য শরণার্থীদের কষ্ট গভীরভাবে উপলব্ধি করতে সহায়ক হয়েছে। এই সহমর্মিতার কারণেই তারা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই মানবিক প্রচেষ্টা শুধুমাত্র একটি সাময়িক উদ্যোগ নয়, বরং এটি বিশ্বের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা। সংকটে পড়া মানুষের জন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আসল মানবতা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই প্রচেষ্টা বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, মানুষ কখনো তার অবস্থানের কারণে ছোট হয়ে যায় না। তারা দেখিয়েছে যে সংকটময় সময়ে একে অপরকে সাহায্য করাই মানবতার মূল দায়িত্ব।

এ উদ্যোগ কেবল ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের জন্য নয়, বরং সারা বিশ্বের মানুষের জন্য একটি প্রেরণাদায়ক উদাহরণ। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা, যারা নিজেরাই সবকিছু হারিয়েছে, তাদের সীমিত সম্পদ থেকেও অন্যদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। তারা সংকটের মধ্যে থেকেও সহায়তার যে হাত বাড়িয়েছে, তা বিশ্ব মানবতার প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকবে।

ফিলিস্তিনের গাজার শরণার্থীদের পাশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা আমাদের শেখায় যে, মানবতা সবসময় সীমানার ঊর্ধ্বে। সংকটের সময় মানুষ যদি একে অপরের পাশে দাঁড়ায়, তবে পৃথিবীর যেকোনো বিপর্যয় মোকাবিলা করা সম্ভব। ১৯৯২, সালের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী মানুষের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়—সহমর্মিতার শক্তি, সহানুভূতি এবং সংহতি যেকোনো সংকট মোকাবিলার শক্তিশালী মাধ্যম।