নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া তুমব্রু-বাইশফাঁড়ী এলাকায় পাকা রাস্তার পাশে বসে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আনা বাঁশের হাট।তবে হাজার-হাজার বাঁশ পাচার করে আনা এবং প্রকাশ্যে হাট বসালেও এসবের বৈধতা নেই।এসব বাঁশ এপারে পাচার করে নিয়ে আসছে মিয়ানমার জান্তা সরকার বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি'র(এএ)গুপ্তচর আনোয়ার ইসলাম প্রকাশ
(বার্মাইয়া আনোয়ার) ও মাছন'র নেতৃত্বে
একটি চোরাকারবারি চক্র।অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে দিন দুপুরে পাচার করে আনছে এসব বাঁশ।ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।১৩ আগষ্ট বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, তুমব্রু টু বাইশফাঁড়ি সড়কের লাল ব্রীজের ৩০ফিট পর পাকা রাস্তার উপর দৈনিক বসায় এই অবৈধ বাঁশের হাট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ ক'জন জানান, বাঁশ ব্যবসায়ীদের হাত নাকি অনেক লম্বা,তারা যেকোন সময় মিয়ানমারে যাওয়া আসা করতে পারে নির্বিঘ্নে।সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে পুঁতে রেখেছে স্থল মাইন। ইতিপূর্বেও মাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন বাংলাদেশীর পা বিছিন্ন হওয়ার খবর প্রচার পায়। যদি এভাবেই ব্যবসায়ী বা শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত এপার থেকে ওপারে যাওয়া আসা করে পূর্বের ন্যায় যেকোন সময় অঘটন ঘটতে পারে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এ সংক্রান্তে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট কারো বক্তব্য জানা যায়নি।তবে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া এ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান।