মিয়ানমার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের বাইশ ফাঁড়ী সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে চাকমা ও বড়ুয়া পরিবারের ৫৬ জন সদস্য অনুপ্রবেশ করেছে। তারা বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালংয়ে হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে তারা।
গত এক সপ্তাহ আগেও পৃথক ভাবে ১২জন এবং ১৮ নভেম্বর সকালে চাকমা পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জন অনুপ্রবেশ করে।তাদের কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় রাখা হয়েছে বলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাজিন জানান।
মিয়ানমার রাখাইনের মংডু থানার মেদাই এলাকার মুসা তংচংগ্যা (৪০) পিতা- মুরুইংগ্যার কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, আরাকান বিদ্রোহীদের নির্যাতনের কারণে নিজদেশ ছেড়ে মিয়ানমারের মেদাই পাড়া থেকে ৪৪ জন এপারে চলে আসছি।
বাবু বড়ুয়া (৩২) পিতা-মৃত রায়মন বড়ুয়ার নিকট জানতে চাইলে সে বলেন, ঢেকিবনিয়াস্থ নাটালা পাড়া থেকে দুই পরিবারের ১২জন সদস্য বিদ্রোহী ও জান্তাদের সংঘর্ষে কারণে বাংলাদেশের সীমান্তের ৩৬-৩৭ নং পিলার দিয়ে এপারে চলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।সে আরও জানাই রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেদেশের সরকারি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় ভয়ে ও আতঙ্কে বাড়ি-ঘরে থাকতে পারিনা। সেখানে ঠিকমতো খাবার পাচ্ছিনা। সেখানে আর থাকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে আমরা চাকমা সম্প্রদায়ের ১১ পরিবারের ৪৪ জন সদস্য আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছি।
এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও যারীন তাসনিম বলেন, মিয়ানমার থেকে চাকমা ও বড়ুয়া পরিবারের কিছু সদস্য অনুপ্রবেশ করেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিজিবি'র ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী জানান, অনুপ্রবেশের তথ্য পাওয়া গেছে। এবিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি কোন সিমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছেন।