০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে মৃত্যু কী সৌভাগ্যের?

পবিত্র রমজানের শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাস যখন আসে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানের পায়ে বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়।’ (সহিহ বোখারি : ১৮৯৯)।

এ মাসের একেকটা মুহূর্ত এত বরকতময় ও সৌভাগ্যময় যে, অবশিষ্ট এগারো মাস মিলেও এর সমান হবে না। ইবাদতের এ ভরা মৌসুমে শয়তানকে করা হয় শৃঙ্খলিত। ফলে ইবাদত করা খুবই সহজ।

সাহাবি আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজানের প্রথম রাত আগমন করে তখন শয়তান ও অবাধ্য জিনদের পায়ে বেড়ি লাগিয়ে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর একটা দরজাও খোলা হয় না। একজন আহ্বানকারী আহ্বান করে, হে কল্যাণকামী, অগ্রসর হও। হে মন্দ অনুসন্ধানকারী, থেমে যাও। আর আল্লাহ তায়ালা অনেক লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেন। রমজানে প্রতি রাতেই এমনটি হতে থাকে।’ (তিরমিজি : ৬৮২)

রামজান মাসে কেউ মারা গেলেও সে সৌভাগ্যবান। এ মৃত্যু তার সৌভাগ্যের নিদর্শন। তবে অনেককে বলতে শোনা যায়, রমজানে কেউ মারা গেলে তার কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়। এ কথাটি কতটুকু সত্য? এ ব্যাপারে কোনও কোনও গবেষকের বক্তব্য হলো, রমজানে মৃত্যুর বিশেষ কোনও ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। পুরো রমজান রোজা রেখে কেউ মারা গেলে তার ব্যাপারে ফজিলতের কথা এসেছে—এটাতো তার কর্মের কারণে। রমজানের কারণে নয়। ঈমান-আমল হলো মানুষের মর্যাদার মূল বিষয়। ঈমান-আমল ছাড়া শুধু রমজানে মারা গেলে তার এ ফজিলত লাভ হতে পারে না।

অপর একদল আলেমের বক্তব্য হলো, রমজানে মারা গেলে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পায় এমন কোনও বিশুদ্ধ বর্ণনা পাওয়া যায় না তা ঠিক। তবে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এটুকু হাদিসে আছে। অতএব এ মাসে মারা গেলে দোজখের শাস্তি কবরের শাস্তি থেকে সে নিরাপদে থাকবে যেহেতু দোজখের দরজা-ই বন্ধ।

তবে এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, এ মাসে মৃত্যুবরণ করাটা সৌভাগ্যের নিদর্শন। কোনও ব্যক্তি নেক আমল নিয়ে এ মাসে ইন্তেকাল করতে পারলে এটা তার জন্য অতিরিক্ত মর্যাদার কারণ হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

রমজানে মৃত্যু কী সৌভাগ্যের?

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

পবিত্র রমজানের শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাস যখন আসে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানের পায়ে বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়।’ (সহিহ বোখারি : ১৮৯৯)।

এ মাসের একেকটা মুহূর্ত এত বরকতময় ও সৌভাগ্যময় যে, অবশিষ্ট এগারো মাস মিলেও এর সমান হবে না। ইবাদতের এ ভরা মৌসুমে শয়তানকে করা হয় শৃঙ্খলিত। ফলে ইবাদত করা খুবই সহজ।

সাহাবি আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজানের প্রথম রাত আগমন করে তখন শয়তান ও অবাধ্য জিনদের পায়ে বেড়ি লাগিয়ে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর একটা দরজাও খোলা হয় না। একজন আহ্বানকারী আহ্বান করে, হে কল্যাণকামী, অগ্রসর হও। হে মন্দ অনুসন্ধানকারী, থেমে যাও। আর আল্লাহ তায়ালা অনেক লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেন। রমজানে প্রতি রাতেই এমনটি হতে থাকে।’ (তিরমিজি : ৬৮২)

রামজান মাসে কেউ মারা গেলেও সে সৌভাগ্যবান। এ মৃত্যু তার সৌভাগ্যের নিদর্শন। তবে অনেককে বলতে শোনা যায়, রমজানে কেউ মারা গেলে তার কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়। এ কথাটি কতটুকু সত্য? এ ব্যাপারে কোনও কোনও গবেষকের বক্তব্য হলো, রমজানে মৃত্যুর বিশেষ কোনও ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। পুরো রমজান রোজা রেখে কেউ মারা গেলে তার ব্যাপারে ফজিলতের কথা এসেছে—এটাতো তার কর্মের কারণে। রমজানের কারণে নয়। ঈমান-আমল হলো মানুষের মর্যাদার মূল বিষয়। ঈমান-আমল ছাড়া শুধু রমজানে মারা গেলে তার এ ফজিলত লাভ হতে পারে না।

অপর একদল আলেমের বক্তব্য হলো, রমজানে মারা গেলে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পায় এমন কোনও বিশুদ্ধ বর্ণনা পাওয়া যায় না তা ঠিক। তবে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এটুকু হাদিসে আছে। অতএব এ মাসে মারা গেলে দোজখের শাস্তি কবরের শাস্তি থেকে সে নিরাপদে থাকবে যেহেতু দোজখের দরজা-ই বন্ধ।

তবে এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, এ মাসে মৃত্যুবরণ করাটা সৌভাগ্যের নিদর্শন। কোনও ব্যক্তি নেক আমল নিয়ে এ মাসে ইন্তেকাল করতে পারলে এটা তার জন্য অতিরিক্ত মর্যাদার কারণ হবে।