রোজার সময় সারাদিন পানি খাওয়া হয় না। রোজা ভেঙে তাই পর্যাপ্ত পানি খাওয়া ভীষণ জরুরি। কিন্তু অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উদাসীন থাকেন। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আবার রোজা রেখে ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণেও হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে কী করবেন এবং কী করবেন না জেনে নিন।
সেন্টার ফর ক্লিনিকাল এক্সিলেন্স অ্যান্ড রিসার্চের ফ্যামিলি মেডিসিন চিকিৎসক ডা. মো. রাশীদ মুজাহিদ জানান, খাবারে আঁশের পরিমাণ কম থাকা এবং পানি কম খাওয়ার কারণে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় রোজার সময়। এই সমস্যা প্রতিরোধে ইফতারে বেশি করে ফল রাখতে হবে। রাতে ও সাহরিতে শাকসবজি, সহজপাচ্য খাবার থাকতে হবে। এছাড়া ইসবগুলের ভুষি, লাল আটা ও ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত খেতে পারলে খুব ভালো হয়।
সাহরিতে হাইড্রেটিং ফল, বাদাম, বীজ, দই, চিয়া বীজ এবং ফাইবার বাড়ানোর জন্য ফ্ল্যাক্সসিডের স্মুদি রাখতে পারেন। এতে শরীর পর্যাপ্ত ফাইবার পাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমবে।
ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, মসলাযুক্ত খাবার প্রতিদিন না রেখে সপ্তাহে ১/২ দিন পরিমাণ মতো রাখার পরামর্শ দেন ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা। তবে সম্ভব হলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো বলে মনে করেন তিনি।
ইফতারে শুরুতেই পেট ভরে খাবেন না। এ সময় অল্প চিনিযুক্ত শরবত বা জুস ও খেজুর খেয়ে কিছুক্ষণ বিরতি দেওয়া ভালো। একবারে অতিরিক্ত খেয়ে সাহরিতে কিছু না খাওয়া ভালো অভ্যাস না। রোজা ভেঙে দ্রুত ও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
রোজায় পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে প্রতিবেলা খাওয়ার ১০ মিনিট আগে ও পরে ১ গ্লাস করে পানি খেতে হবে। তাহলে হজম ভালো হবে ও অ্যাসিডিটি দূর হবে। তবে কোনোভাবেই খাওয়ার মাঝখানে পানি খাওয়া যাবে না।
রোজা রেখে অত্যধিক লবণযুক্ত খাবার, ভাজা বা ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। এছাড়া অতিরিক্ত ক্যাফেইন খাওয়াও অনুচিত এই সময়।