১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরীরত স্থানীয় শিক্ষকদের ৪ দাবী বাস্তবায়নে অবস্থান কর্মসুচী

  • শ.ম.গফুর:
  • প্রকাশিত সময় : ০১:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫২ ভিউ

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বিভিন্ন এনজিওতে চাকরীরত স্থানীয় শিক্ষকরা বেতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সহ ৪ দফা বাস্তবায়ন দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসুচী পালন করেছে।

১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় উখিয়ার শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান এবং বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সহকারে উখিয়া স্টেশন প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলোত্তর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে আন্দোলনকারী স্থানীয় শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উখিয়ার তরুণ বিএনপি নেতা ও রাজাপালং ইউপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদমান জামী চৌধুরী।উখিয়া-টেকনাফ উপজেলার ৩২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সেবাই নিয়োজিত এনজিও সমুহে চাকরীরত স্থানীয় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা সহ সহস্রাধিক শিক্ষক অংশ নেন।এতে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বোরহান উদ্দিন,ইমতিয়াজ,ইসমাইল সহ নারী ও পুরুষ শিক্ষকদের অনেকেই।সমাবেশে বক্তারা বলেন,রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় শিক্ষকরা নানা খাতে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।নানা সুবিধা পাওয়া একজন রোহিঙ্গা শিক্ষকের বেতন ১৩ হাজার টাকা।তাদের যাতায়াতে পরিবহন খরচ নেই।সময় ব্যয়ও হচ্ছেনা।

অথচ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় শিক্ষকদের পরিবহন যোগে আসাযাওয়া করতে হচ্ছে।সময়ও ব্যয় হচ্ছে, টাকাও ব্যয় হচ্ছে।খরচ ব্যয় কর্তন করলে থাকে কি? ফলে প্রাপ্ত বেতন দিয়ে তাদের সংকুলান হচ্ছেনা।এই বৈষম্য তাঁরা চান না।অনতিবিলম্বে তাদের দাবী মানতে হবে বলে হোসিয়ারী দেন।শিক্ষকরাই বলেন,তাদের সর্ব নিম্ন বেতন সাড়ে ২২ হাজার টাকা করতে হবে।নারী শিক্ষকদের মাতৃত্বকালিন ছুটি দিতে হবে।ক্লাস্টার ফর্মুলা বাতিল করতে হবে।প্রতি বার্ষিক অন্তত দু’টি ঈদ বোনাস দিতে হবে।এসব দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা।এসব দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য এনজিও সংস্থার প্রতি আহবান জানানো হয়। সমাবেশ শেষে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তানভীর হোসেন’র নিকট দাবী-দাওয়ার কথা উপস্থাপন করেন শিক্ষকরা।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তানভীর হোসেন জানান,শিক্ষকদের দাবী-দাওয়ার বিষয়ে উর্ধ্বতন মহলে জানানো হবে।###

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরীরত স্থানীয় শিক্ষকদের ৪ দাবী বাস্তবায়নে অবস্থান কর্মসুচী

প্রকাশিত সময় : ০১:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বিভিন্ন এনজিওতে চাকরীরত স্থানীয় শিক্ষকরা বেতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সহ ৪ দফা বাস্তবায়ন দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসুচী পালন করেছে।

১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় উখিয়ার শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান এবং বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সহকারে উখিয়া স্টেশন প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলোত্তর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে আন্দোলনকারী স্থানীয় শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উখিয়ার তরুণ বিএনপি নেতা ও রাজাপালং ইউপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদমান জামী চৌধুরী।উখিয়া-টেকনাফ উপজেলার ৩২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সেবাই নিয়োজিত এনজিও সমুহে চাকরীরত স্থানীয় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা সহ সহস্রাধিক শিক্ষক অংশ নেন।এতে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বোরহান উদ্দিন,ইমতিয়াজ,ইসমাইল সহ নারী ও পুরুষ শিক্ষকদের অনেকেই।সমাবেশে বক্তারা বলেন,রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় শিক্ষকরা নানা খাতে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।নানা সুবিধা পাওয়া একজন রোহিঙ্গা শিক্ষকের বেতন ১৩ হাজার টাকা।তাদের যাতায়াতে পরিবহন খরচ নেই।সময় ব্যয়ও হচ্ছেনা।

অথচ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় শিক্ষকদের পরিবহন যোগে আসাযাওয়া করতে হচ্ছে।সময়ও ব্যয় হচ্ছে, টাকাও ব্যয় হচ্ছে।খরচ ব্যয় কর্তন করলে থাকে কি? ফলে প্রাপ্ত বেতন দিয়ে তাদের সংকুলান হচ্ছেনা।এই বৈষম্য তাঁরা চান না।অনতিবিলম্বে তাদের দাবী মানতে হবে বলে হোসিয়ারী দেন।শিক্ষকরাই বলেন,তাদের সর্ব নিম্ন বেতন সাড়ে ২২ হাজার টাকা করতে হবে।নারী শিক্ষকদের মাতৃত্বকালিন ছুটি দিতে হবে।ক্লাস্টার ফর্মুলা বাতিল করতে হবে।প্রতি বার্ষিক অন্তত দু’টি ঈদ বোনাস দিতে হবে।এসব দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা।এসব দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য এনজিও সংস্থার প্রতি আহবান জানানো হয়। সমাবেশ শেষে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তানভীর হোসেন’র নিকট দাবী-দাওয়ার কথা উপস্থাপন করেন শিক্ষকরা।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তানভীর হোসেন জানান,শিক্ষকদের দাবী-দাওয়ার বিষয়ে উর্ধ্বতন মহলে জানানো হবে।###