আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত আইসিজেতে চলছে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা। প্রথম দফা শুনানির পর, দ্বিতীয় দফা শুনানিও শেষ হয়েছে। গাম্বিয়ার করা মামলাটিতে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ। এবার সৌদি আরবও জানালো আইসিজিতে চলমান মামলায় অর্থসহায়তা দেওয়ার কথা।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ গত সপ্তাহে ঢাকা সফরকালে এই আশ্বাস দেন। সৌদি আরব ছাড়াও আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় অর্থ সহায়তা দিতে উৎসাহ দেখিয়েছে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল শনিবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে এক অনুষ্ঠান শেষে এ কথা জানান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানোর চেয়ে বাংলাদেশিদের মতো সুযোগ-সুবিধা দিতে বেশি আগ্রহী।’ রোহিঙ্গাদের নামে আনা টাকা যথাযথ খরচ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘ইউএনসিআর, ইউএনডিপি, ইউনেসকোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ফোকাস থাকা উচিত রাখাইন প্রদেশের ওপর। রাখাইনে যাতে তারা স্বেচ্ছায় যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু তারা শুধু খেয়াল রাখে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ভালো অবস্থানে আছে কিনা। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে সুন্দরভাবে রাখা, এ দেশে চাকরি দেওয়া, এ দেশে অন্য বাঙালিদের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার মতো বিষয়গুলো নিয়েই ওই সংস্থাগুলো ব্যস্ত। রোহিঙ্গাদের নামে টাকা আনে, কিন্তু মিয়ানমারে কোনো কাজ করে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ করেছি। তাঁরা অঙ্গীকার করেছেন, কিছু টাকা-পয়সা দেবেন, যাতে আমাদের মামলাটা চলমান থাকে। নেদারল্যান্ডস, কানাডা ওআইসির সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র নয়। তবু তারা কিছুটা উৎসাহ দেখিয়েছে।’