কক্সবাজারের টেকনাফে মাদ্রাসার এক অপহৃত ছাত্রকে উদ্ধার করেছে র্যাব। সেই সঙ্গে অপহরণে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টেকনাফের সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় ৯ বছরের অপহৃত শিশুটিকে এবং একইসঙ্গে অপহরণ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টেকনাফ র্যাব-১৫ বড়ইতলী অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লেফট্যানেন্ট কর্নেল তানভির হাসান শিথিল।
গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। বাকি দুইজন হলেন টেকনাফ শালবন নয়া পাড়া রেজিস্ট্রার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসান বশর (১৯), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার সেলিম (৪৭)।
র্যাব জানায়, গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া নয়া পাড়া শালবাগান রাস্তার মাথা থেকে জাদিমুড়া রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রকে অপহরণ করা হয়। পরদিন সকালে শিশুটির পরিবারের কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে কল আসে। শিশুকে ফিরে পেতে ফোনে বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।
টেকনাফ র্যাব-১৫ এর ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভির হাসান শিথিল বলেন, ‘ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসলে র্যাব ১৫-এর সদস্যরা ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণ চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে তৎপরতা চালায়।
তিনি বলনে, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে তারা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় শিশুটিকে। তাদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের কিশোর গ্যাং রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।’
পুলিশের দেয়া তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২৫ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৫ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।