১২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লামার হায়দারনাশী উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারকারীকে নিয়োগ না দিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারীকে নিয়োগ দেওয়ায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে স্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া মঈনুল ইসলাম আলীম মাদ্‌রাসার জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে ইনডেক্স পেয়ে সহকারী শিক্ষকের পদায়ন জাল-জালিয়াতি করে দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড সনদ নিয়ে এমপিও নীতিমালা ২০১৩ বিধি-লংঘন করে একাধিক তৃতীয় বিভাগধারী শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করে। এছাড়াও তাকে অত্র মাদ্‌রাসার মাইক বাদশা নামে পরিচিত ছিল। সে মূলত মাইক ব্যবসায়ী ছিল।
তৎকালীন ওই মাদ্‌রাসার অধ্যক্ষ মহোদয় হুমায়ুন কবিরকে বিভিন্ন নারী কেলেংকারীর সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাকে সাময়িক বহিস্কার করেন। পরবর্তীতে আবারও তাকে বিধি লংঘন করে বহাল রাখা হয়। সূত্রে আরো জানা যায়, নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ৯ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারকারী রফিকুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাত কারণে তার কাছে নিয়োগপত্র প্রেরণ করা হয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেছেন, “আমি প্রথম স্থান অধিকারকারীকে মোবাইল করেছি। তিনি কোনো ধরনের রেসপন্স করেনি ও যোগাযোগ করে নাই। এই জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয় নাই।” ২য় স্থান অধিকারকারী ও নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির জানান, বিদ্যালয় সভাপতি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমি চাকরি করব কিনা জিজ্ঞাসা করেন। আমি সম্মতি জানালে তিনি নিয়োগপত্র পাঠান। আমি একটি চাকরি ছেড়ে এই চাকরিতে যোগদান করেছি।

বান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার সোমা রানী বড়ুয়া জিজ্ঞাসায় জানিয়েছেন, নিয়ম মোতাবেক দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার এমপিও হবে। এখন অভিযোগ তুলে কোনো লাভ নাই। অভিযোগকারীদেরকে পুলিশে দেওয়া উচিত।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী এই প্রতিবেদককে জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী যোগদান না করলে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে নিয়োগ দেওয়ায় এখানে কিছু একটা অনিয়ম হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

লামার হায়দারনাশী উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ০৯:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারকারীকে নিয়োগ না দিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারীকে নিয়োগ দেওয়ায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে স্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া মঈনুল ইসলাম আলীম মাদ্‌রাসার জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে ইনডেক্স পেয়ে সহকারী শিক্ষকের পদায়ন জাল-জালিয়াতি করে দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড সনদ নিয়ে এমপিও নীতিমালা ২০১৩ বিধি-লংঘন করে একাধিক তৃতীয় বিভাগধারী শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করে। এছাড়াও তাকে অত্র মাদ্‌রাসার মাইক বাদশা নামে পরিচিত ছিল। সে মূলত মাইক ব্যবসায়ী ছিল।
তৎকালীন ওই মাদ্‌রাসার অধ্যক্ষ মহোদয় হুমায়ুন কবিরকে বিভিন্ন নারী কেলেংকারীর সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাকে সাময়িক বহিস্কার করেন। পরবর্তীতে আবারও তাকে বিধি লংঘন করে বহাল রাখা হয়। সূত্রে আরো জানা যায়, নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ৯ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারকারী রফিকুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাত কারণে তার কাছে নিয়োগপত্র প্রেরণ করা হয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেছেন, “আমি প্রথম স্থান অধিকারকারীকে মোবাইল করেছি। তিনি কোনো ধরনের রেসপন্স করেনি ও যোগাযোগ করে নাই। এই জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয় নাই।” ২য় স্থান অধিকারকারী ও নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির জানান, বিদ্যালয় সভাপতি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমি চাকরি করব কিনা জিজ্ঞাসা করেন। আমি সম্মতি জানালে তিনি নিয়োগপত্র পাঠান। আমি একটি চাকরি ছেড়ে এই চাকরিতে যোগদান করেছি।

বান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার সোমা রানী বড়ুয়া জিজ্ঞাসায় জানিয়েছেন, নিয়ম মোতাবেক দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার এমপিও হবে। এখন অভিযোগ তুলে কোনো লাভ নাই। অভিযোগকারীদেরকে পুলিশে দেওয়া উচিত।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী এই প্রতিবেদককে জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী যোগদান না করলে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে নিয়োগ দেওয়ায় এখানে কিছু একটা অনিয়ম হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক।