কক্সবাজার খুরুশকুল আশ্রয় প্রকল্পে বসবাসকারী ল্যাড়ি ডন খ্যাত সাজেদা বেগম সাজু স্বামী :মো:রফিক প্রকাশ রোহিঙ্গা রফিকের অপরাধ জগতের অন্ধকার রাজ্যের শেষ নেই।
ইয়াবা কুইন,পতিতা ব্যাবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার সজেদা বেগমের আশ্রয়ণ প্রকল্পে রয়েছে নিজস্ব টর্চার সেল যেখানে বিভিন্ন প্রকার মানুষকে বন্দি রেখে করা হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন দাবি করা হয় মুক্তিপণ।
জানাগেছে, কিছুদিন আগে সাজেদা বেগমের স্বামী রোহিঙ্গা রফিক একজন সনাতন ধর্মালম্বী মহিলা বন্দনা দাসকে ধর্ষণ করার অপরাধে কক্সবাজার থানা পুলিশ গ্রেফতার করে হাজতে প্রেরণ করেন।বর্তমানে রোহিঙ্গা রফিক ধর্ষনের অপরাধে হাজতে রয়েছেন।
সেই ঘটনায় তার স্ত্রী সাজেদা বেগম সাজু বেপরোয়া হয়ে তার ২ ছেলে এক বোন সহ পালিত কিশোর গ্যাং দিয়ে অপহরণ করেন ভিকটিম বন্দনা দাস ও তার একমাত্র মেয়েকে।বন্দনা দাস ও তার মেয়ে লাকী দাস কে বন্দি রেখে বিভিন্ন উপায়ে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে মামলা আপোষের জন্য মানববন্ধন সহ খালি স্ট্যাম্পে সাক্ষ্যর নিয়ে ১৫ দিন পর্যন্ত আটকিয়ে রাখেন তার নিজস্ব সেলে।তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পের সাধারণ জনগন সহ ভুক্তভোগীরা।
তাছাড়া সাজেদা বেগমের পূর্বের ঠিকানা কক্সবাজার ১নং ওয়ার্ড ফদনার ডেইলে রয়েছে তার অনেক বড় একটি অপরাধ সিন্ডিকেট।ফদনার ডেইল সহ কুতুবদিয়ার পাড়ার বিভিন্ন সন্ত্রাসীকে টাকা দিয়ে সে এই সমস্ত অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছেেন বলে জানা যায়।
খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকৃত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ভূক্তভোগী বলেন,সাজেদা বেগম সাজুর অত্যাচারে আমরা প্রকল্পবাসী অতিষ্ঠ।
সাজু এইখানে ইয়াবা সহ পতিতা ব্যবসার আড়ালে নানা অপরাধ করে যাচ্ছে।তার কারণে আমরা কেউ এইখানে মুখ খুলতে পারি না।কেউ মুখ খুললে তার পালিত কিশোর গ্যাং দারা আমাদের নির্যাতন করে।
খারাপ মেয়েদের কে দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করে।মরণ নেশা ইয়াবা দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাধারণ জনগন সাজেদা বেগমের হাত থেকে রক্ষা পেতে কক্সবাজারের পুলিশ প্রশাসন সহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে অনুরোধ জানাচ্ছি,দয়া করে সুস্থ তদন্ত করে সাজু বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে ল্যাড়ি ডন সজেদা বেগম সাজুর যে ভূমিকা ছিলো।
আওয়ামী সরকার শাসন আমলে সাজেদা বেগমের ওঠা বসা ছিলো কক্সবাজারের শীর্ষ আওয়ামী নেতাদের সাথে।এই ল্যাডি ডনের আওতায় আছে অনেক সুন্দরী তরুনী পতিতা, যাদেরকে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কাছে পাঠিয়ে তাদের ব্যক্তিগত মূহুর্তকে ভিডিও করে জিম্মি করে রেখে এককভাবে তার যতসব অপকর্মের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করতো।সেই সুবাদে সজেদা বেগম সাজু সহ তার পালিত কিশোর গ্যাং দিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীরা মহেশখালী থেকে ২/৩ টি ছোট বুটে করে অস্ত্র সর্বরাহ করার খবর অনুসন্ধানে জানাযায়।যা আওয়ামী ছাত্রলীগ সহ ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিপক্ষ পার্টির কাছে হস্তান্তর করেন সজেদা বেগম সাজু।
খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে সাজেদা বেগমের ইয়াবার ছড়াছড়ি ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত।
কক্সবাজার খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মান করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত অনেক শ্রমিক এইখানে কাজের সুবাদে বসবাস করেন।
সাজেদা বেগম সাজুর রয়েছে একটি মহিলা মাদক বিক্রেতা সিন্ডিকেট।তারা বিভিন্ন মানুষকে লোভ দেখিয়ে বিক্রি করেন মরণ নেশা ইয়াবা।যেখানে শেষ হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিক ও তরুনের জীবন।
এই ইয়াবা বিক্রিতে কেউ যেন বাধাগ্রস্থ করতে না পারেন কয়েকজন কিশোরকে মাদকাসক্ত বানিয়ে একটি কিশোর গ্যাং তৈরী করেন ইয়াবা কুইন সাজেদা বেগম।কেউ বাধা দিলে বা কেউ মাদক নিয়ে কথা বললে তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন তার ২ ছেলে নয়ন,ছোটন ও এক বোন মুর্শিদা সহ পালিত কিশোর গ্যাংদের সদস্যরা।যাদের মধ্যে রয়েছে হত্যা মামলার আসামী সহ একাধিক মামলার আসামী।
ইয়াবা কুইন সাজেদা বেগমের পরিচয়ও তার সাথে যারা রয়েছে।
সাজেদা বেগম সাজু প্রকাশ ইয়াবা কুইন সাজু -স্বামী মোহাম্মদ রফিক প্রকাশ রোহিঙ্গা রফিক ২/ মো: আবছার ও তার ছোট ভাই নাছির পিতা-জালাল ৩/ মুর্শিদা আক্তার পিতা -নাছির প্রকাশ রোহিঙ্গা নেছার ৪/ সাজেদা বেগমের ২ ছেলে মো:নয়ন ও ছোটন যাদের রয়েছে গর্ভাপাত মামলা সহ একাধিক মামলা।
আরও রয়েছে ইয়াছমিন আক্তার সাজেদা বেগমের ভাই জামিল ও আইক্কা ও নাম না জানা আরও অনেক।