কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের সাবেক বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রহিম মাস্টারের আপন ভাগিনা, সহচর ও বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ সময় ধরে সাথে থেকে অভিজ্ঞতার কমতি না থাকার ব্যক্তিত্ব মোঃ কেফায়েত উল্লাহ পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মরহুম আলহাজ্ব মোহাম্মদ সুলতান এর পুত্র। কেফায়েত উল্লাহ গেল পিএমখালী ইউপি নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকলেও, তার আপন মামা মরহুম আব্দুর রহিম মাস্টারের অনুরোধে তিনি নির্বাচন থেকে সরে আসেন বলে জানা যায়। কেফায়েত উল্লাহ দীর্ঘকাল ধরে পিএমখালীতে বার বার নির্বাচিত মরহুম আলহাজ্ব আব্দুর রহিম মাস্টারের সাথে ছায়া চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘকাল থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তিনি কিভাবে একটি ইউনিয়নকে রোল মডেল হিসেবে পরিণত করবেন। পারিবারিকভাবে জানা যায়, কেফায়েত উল্লাহ যদি আগামীতে পিএমখালী ইউনিয়নে নির্বাচনে করলে, তার আত্মীয়—স্বজনসহ এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে একাত্মতা পোষণ করে নির্বাচনে জয়ী যা যা করণীয়, সেসব কার্যাদি করে যাবেন। এলাকার মানুষের সুখে দু:খে সব সময় তাকে পাশে পেয়েছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন এতদাঞ্চলের বাসিন্দা।
সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায়, কেফায়েত পিএমখালী ইউনিয়নে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। তার রয়েছে বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী। সাধারণ মানুষ বলছে, একজন সাধা—সিধে মানুষ তথা ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি ও আস্থার প্রতীক হিসেবে কেফায়েত উল্লাহ পেলে, সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাগবে। আরো জানা যায়, তিনি কক্সবাজার সদর—রামু (বর্তমান—ঈদগাঁও) আসনে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ বিপুল ভোটে জয়ী সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলের একান্ত সহচর। তিনি এতদাঞ্চলে যদি নেতৃত্বে আসে, তাহলে এলাকায় সন্ত্রাসী, চুরি, ডাকাতি, জবর দখলকারীদের চিন্তার ভাজ নেমে আসবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে, সাবেক পিএমখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রহিম মাস্টারের পরিবার থেকেও তার প্রতি সমর্থন যোগাবে বলেও সূত্রে শোনা যাচ্ছে। তিনি একের পর এক মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন। শুধু এখন নই, তিনি আগেও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
কেফায়েত উল্লাহ ব্যবসায়ী হিসেবে সফল এই নবীন রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, আমাকে সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল রাজনীতিক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এই দিনটি ছিল আমার জন্য স্মরণীয়। এ দিনের পর থেকে ভবিষ্যৎ জীবনের নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়নের কর্ম—পরিকল্পনা নির্ধারণ শুরু করি। আর প্রয়াত পিএমখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব আব্দুর রহিম মাস্টার আমার মামা হিসেবে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্নপূরণের নতুন অধ্যায় আমাকে শিখিয়েছেন। আমি আমার মামা মরহুম আব্দুর রহিম মাস্টারের রেখে যাওয়া অবদানের কথা পুরো পিএমখালীবাসী ভুলেননি। তিনি বলেন, প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মাস্টারের শূন্য জায়গা পূরণ করা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি এবং আমি শাসন হতে চাই না; জনগণের সেবক হতে চাই।
আগামীতে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেলে পিএমখালী ইউনিয়নের উন্নয়নে আমার কি পরিকল্পনা থাকবে তার একটি রূপরেখার কথা জানিয়ে বলেন, ‘স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি’ একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এর মধ্যে প্রথমে নিজ নির্বাচনী এলাকার সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কক্সবাজার পৌর শহরে যোগাযোগ স্থাপনে এসএম পাড়া—ছনখোলা খেয়াঘাটে একটি ব্রিজ স্থাপন করা হবে।