২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুলে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য শিখন সামগ্রির মাধ্যমে শিখন ও মূল্যায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবার ২০২৪ সালে যুক্ত হয়েছে ৮ম ও ৯ম শ্রেণি ।
নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক ও আনন্দময় শিখনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। পুরো প্রক্রিয়াটি যেন শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ কাজ পাঠদান চলাকালে শেষ করা হয়। মুখস্থ নির্ভরতা আর থাকছেনা। নতুন পদ্ধতিতে শিখন শিখানো প্রক্রিয়াটি অভিজ্ঞতা ভিত্তিক। নতুন শিক্ষাক্রম বিষয়বস্তু ভিত্তিক নয় বরং যোগ্যতাভিত্তিক। যোগ্যতার সবকটি উপাদান এর সমন্বয়ে সে কতটা পারদর্শিতা অর্জন করতে পারবে তার ভিত্তিতে তাকে মূল্যায়ন করা হয়। অর্থাৎ যোগ্যতাভিত্তিক এ মূল্যায়নে থাকবে জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে সুযোগ ।
আধুনিক বিশ্বের শিক্ষা কখনোই চার দেয়ালে আবদ্ধ নয়। বিশ্বায়নের যুগে শিক্ষার্থীদের শিখনে শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পদ্ধতি—ই অধিকতর সহায়ক।
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারে, পরস্পর থেকে শিখতে পারে, হাতে কলমে শিখতে পারে ।
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে।
- What I hear, I forget.
- What I See, I remember.
- What I do, I understand
নতুন শিক্ষাক্রমের বাংলা বিষয়ের মাধ্যমে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, গল্প বলা ও কবিতা আবৃত্তি করার দক্ষতা বাড়ছে। এতে করে শিখনেও বৈচিত্র থাকছে। গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীরা গাণিতিক দক্ষতা ব্যবহার করে যৌক্তিক ও কল্যাণকর সিন্ধান্ত নিতে পারে। শিল্প ও সাংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা শিল্পকলার দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনে তার নান্দনিক মূল্যবোধের প্রতিফলন দেখাতে পারে। শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে অপার সম্ভবনা তাদের সামনে রয়েছে নতুন ভবিষ্যৎ পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে আমরা সবাই পরিবর্তনের সাথে আছি, পরিবর্তনের সাথে থাকব— এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
লেখক: মাহির রহমান,
শিক্ষার্থী—চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম।
৯ম শ্রেণি শাখা—খ