০৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জনতার মাঝে ফিরে আসবেই মুজিবুর রহমান

মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আ্যালার্জির শেষ নেই এমন ব্যক্তি ব্লগে, মিডিয়াতে ও সুশীল পাড়ায় অভাব নেই। তাই যেখানেই যাই মুজিব কে নিয়ে কথা বললে কেউ নাক সিঁটকান, কেউ উচ্চমার্গের বক্তব্য দেন, কেউ দেন হেদায়েতি ভাষন, কেউ সততা ও দূর্নীতির উপর চানক্যবাদী উপদেশমূলক লেকচারও শুনাতে দ্বিধা করেন না। বিষয়টা এমন যে মুজিবুর রহমানকে কক্সবাজারের রাজনীতির দলিত বা অচ্যুৎ সম্প্রদায়ভুক্ত করার জন্য বিশেষ মহল উঠে পড়ে লেগেছে। যেনো কোন রকমে মুজিবুর রাহমানের গায়ে চুনকালি মাখিয়ে দিতে পারলেই তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেন। এবং এক্ষেত্রে তারা অনেক খানি সফলও হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন আসে কেনো এই প্রচেস্টা? কেনো মুজিবুর রহমানকেকে নিয়ে এতো আ্যালার্জি এবং এরা কারা?? তাদের উদ্দেশ্য কি?

সম্প্রতিক কালে কক্সবাজারের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম মুজিবুর রহমান। মুজিবুর রহমান কে নিয়ে আলোচনা হয়না এমন কোন ঘর কক্সবাজারে নেই। মুজিবুর রহমান কে নিয়ে আফসোস করেনা এমন কোন সচেতন মানুষ কক্সবাজারে পাওয়া যাবে না। কক্সবাজার আওয়ামী রাজনীতির বটবৃক্ষ এই মুজিবুর রহমানকে কলংকিত করার জন্য কিছু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দি দীর্ঘ দিন ধরে এক অশুভ খেলায় মেতে উঠে। রাজনীতির এ অশুভ খেলা কেবল মাত্র হিংসা আর বিদ্বেষই ছড়াচ্ছে, এ খেলা ভালো কিছু যে এখনো বয়ে আনতে পারেনি তাও সবাই ইতোমধ্যে অবলোকন করেছেন। প্রতিদ্বন্দি রাজনৈতিক ব্যাক্তির সাথে মনন ও আদর্শের লড়াইয়ে না পেরে তাকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার পুরোনো এ খেলা আমাদের এ পৃথিবীতে শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এতে করে ব্যাক্তিকে শেষ করে দেয়া যায় তবে তার আদর্শ, চিন্তা, চেতনাকে শেষ করা যায়না। আর কক্সবাজারের অহংকার মুজিবুর রহমান তার উপর নানান অপবাদ আর নীপিড়ন সহ্য করে আজো ঋজু দেবদারুর মতো দাঁড়িয়ে আছেন কক্সবাজারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিতে।

মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার;
মুজিবুর রহমানের রাজনীতির হাতে খড়ি ছাত্রজীবন থেকেই। কক্সবাজার সরকারি কলেজের জিএস থাকাকালীন সময়ে শিখে নিয়েছেন রাজনীতি ও দেশ পরিচালনার অনেক খুঁটিনাটি। বাকি থাকলো জনগনের সাথে সম্পর্ক যেহেতু কক্সবাজারের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান সেহেতু মাটির সাথে, মানুষের সাথে তার নিবিঢ় সম্পর্ক থাকবেই। তাই তিনি সেই টানে শুরু করলেন জেলার গ্রামগঞ্জ চষে বেড়ানো। শুরু করলেন তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ। কক্সবাজারের মাটিও তাকে বরন করে নিলো। বরন করে নিলো সৌভাগ্যেবান নেতাকে। পরম মমতায় স্থান করে দিলো বুকের ভিতরে, ভালোবাসার মালা পড়িয়ে কাছে টেনে নিলো তাকে। পরিনত হলেন কক্সবাজারের মানুষের হৃদয়ের স্পন্দনে। তাই তাকে নিয়ে শংকিত হলো বিরোধী পক্ষ যাদের রাজনীতি হচ্ছে ফ্যাসিজম, সংবাদ পত্রের টুঁটি চেপে ধরা, প্রপাগ্যান্ডা আর হিটলারের নাৎসীজম মতো ঘৃন্য।

একটি স্বার্থন্বেষী মহল বহিরাগতদের সাথে নিয়ে মেতে উঠেছে জেলার অহংকার, অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের শেষ ঠিকানা মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিনাশী এক খেলায় মেতে উঠেছে। কারণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমানের বিকল্প নেই। আওয়ামীলীগ নামধারী কিছু স্বার্থপর নব্য আওয়ামীলীগের জন্য মুজিবুর রহমান নিংসন্দেহে এক বিরাট সমস্যার নাম। তাদের নিত্য ভয় মুজিবের মতো নেতৃত্ব কক্সবাজারে কায়েম হলে তাদের স্বার্থ আর কোন দিন বাস্তবায়ন হবেনা।

ষড়যন্ত্রের শিকার একজন মুজিবুর রহমান:
এ মূহুর্তে আপনি যদি গুগলে একটা সার্চ দেন তাহলে দেখবেন মুজিবুর রহমানের দূর্নীতি, মুজিবের দূর্নীতি নামে অনেক রিপোর্ট, এই রিপোর্ট গুলোর মধ্যে বিস্তর অভিযোগ পাবেন মুজিবুর রহমানের নামে। আজ ৫/৬ বছর ধরে আপনি আমি সেই সব অভিযোগই কেবল শুনেছি কিন্তু কোন প্রমান আজো পেলাম না। আভিযোগের পাল্লা তার নামে ভারি হয়েছে দিন দিন এবং তার চেয়েও জোরে শোরে চলে প্রচারনা, হলুদ সাংবাদিকতার ধারক বাহকেরা মিথ্যা রিপোর্ট আর বানোয়াট কাহিনী বানিয়ে প্রথম পাতায় বড় বড় অক্ষরে ছাপায় নির্লজ্জের মতো কিন্তু আজ পর্যন্ত মুজিবুর রহমানকে চাক্ষুষ প্রমান সহ কোন দূর্নীতিতে ধরতে দেখলাম না। তার বিরোদ্ধে অভিযোগ গুলো সাজানো ও মিথ্যা তার প্রমান আজ জনগনের সামনে।

মজলুম জননেতা মুজিবুর রহমান;
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নির্যাতিত নেতার নাম মুজিবুর রহমান। অকথ্য নির্যাতন সহ্য করে এখনও টিকে আছেন এটা আল্লাহ তায়ালার এক রহমত। তার পিতা মাতা, লাখ লাখ মানুষের দোয়া ও উত্তম কাজের জন্যই আজো মুজিবুর রহমান বেঁচে আছেন। মুজিবুর রহমান বেঁচে আছেন মানুষের ভালোবাসায়, তারুন্যের চেতনায়।

কিন্তু প্রশ্ন জাগে রাজনীতিবিদ মুজিবুর রহমান কি এতোই খারাপ যে তার বিরুদ্ধে কিছু রাস্তার টুকাইকেও লেলিয়ে দিতে হবে। কিছু স্বার্থবাদী লোক তার বিরুদ্ধে যা তা বলে বেড়াচ্ছে। এসব দেখে শুনে সুবিধা বাজিরা দাঁত কেলিয়ে হাসসে।

না আসলে তা নয়, তার তার পিছনে টোকাই, চাটুকার, ধান্দাবাজ লেলিয়ে দিয়ে যা তা বলার মূল কারন হচ্ছে তাকে চিরতরে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। মুজিবুর রহমান কি রক্ষী বাহীনির মতো কোন বাহিনী বানিয়ে মানুষকে দিন দূপুরে অথবা রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে গুম করেছন? মুজিবুর রহমান কি কোন নারীর ইজ্জত সম্মানের হানির মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন? মুজিবুর রহমান কি বন্দুক সাথে নিয়ে চলা ফেরা করেন? মুজিবুর রহমান কি ব্যাংক লুটের মতো কোন অপকর্ম করেছেন? মুজিবুর রহমান কি স্বৈরাচারের মতো বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের জুলুম নির্যাতনের নির্দেশ দিয়েছেন? মুজিবুর রহমান কি দূর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন?

না, এমন কোন প্রমান আজো কেউ মুজিবের বিরুদ্ধে দাখিল করতে পারেনি। তবুও তার বিরুদ্ধেই ক্যানো এতো আক্রোশ? এই আক্রোশের পিছনে রয়েছে বহিরাগতদের ইন্ধন। আজ যখন জনতা জেগে উঠেছে তখন তার বিরুদ্ধ রটনা কারিরা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় মুজিবুর রহমান একজন সজ্জন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের দিকে ছুড়ে দেওয়া কথা/অভিযোগ গুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তাই তিনি আজ কক্সবাজারের জননেতা মুজিবুর রহমান, তিনি মজলুম।

শেষে শুধু বলতে চাই। আগামী ৮ মে সদর উপজেলা নির্বাচনকে সামনে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন নির্বাচনী পথসভা ও ঘরোয়া বৈঠকে যা বলে বেড়াচ্ছেন সে কথা গুলোর সত্যতা না থাকায় ভোটারদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়ে মুজিবের জনপ্রিয়তায় রূপান্তরিত হচ্ছে। দিন দিন বেড়েই চলছে মুজিবুর রহমানের ভোটার ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সংখ্যা। সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে মাটি ও মানুষের নেতা মুজিবুর রহমানের বিকল্প কোন নেতা নেই। তাই সদর উপজেলা সহ গোটা কক্সবাজারবাসী একজন মুজিবুর রহমানের কথা ভাবছেন। জনতার নেতা মুজিবুর রহমান ৮ তারিখ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়ে বিজয়ের মালা গলায় দিয়ে জনতার মাঝে ফিরে আসবেন।
মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসবে। কারন আমরা করবো জয়, আমাদের বুকেই আছে দেশ গড়ার প্রত্যয়।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জনতার মাঝে ফিরে আসবেই মুজিবুর রহমান

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আ্যালার্জির শেষ নেই এমন ব্যক্তি ব্লগে, মিডিয়াতে ও সুশীল পাড়ায় অভাব নেই। তাই যেখানেই যাই মুজিব কে নিয়ে কথা বললে কেউ নাক সিঁটকান, কেউ উচ্চমার্গের বক্তব্য দেন, কেউ দেন হেদায়েতি ভাষন, কেউ সততা ও দূর্নীতির উপর চানক্যবাদী উপদেশমূলক লেকচারও শুনাতে দ্বিধা করেন না। বিষয়টা এমন যে মুজিবুর রহমানকে কক্সবাজারের রাজনীতির দলিত বা অচ্যুৎ সম্প্রদায়ভুক্ত করার জন্য বিশেষ মহল উঠে পড়ে লেগেছে। যেনো কোন রকমে মুজিবুর রাহমানের গায়ে চুনকালি মাখিয়ে দিতে পারলেই তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেন। এবং এক্ষেত্রে তারা অনেক খানি সফলও হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন আসে কেনো এই প্রচেস্টা? কেনো মুজিবুর রহমানকেকে নিয়ে এতো আ্যালার্জি এবং এরা কারা?? তাদের উদ্দেশ্য কি?

সম্প্রতিক কালে কক্সবাজারের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম মুজিবুর রহমান। মুজিবুর রহমান কে নিয়ে আলোচনা হয়না এমন কোন ঘর কক্সবাজারে নেই। মুজিবুর রহমান কে নিয়ে আফসোস করেনা এমন কোন সচেতন মানুষ কক্সবাজারে পাওয়া যাবে না। কক্সবাজার আওয়ামী রাজনীতির বটবৃক্ষ এই মুজিবুর রহমানকে কলংকিত করার জন্য কিছু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দি দীর্ঘ দিন ধরে এক অশুভ খেলায় মেতে উঠে। রাজনীতির এ অশুভ খেলা কেবল মাত্র হিংসা আর বিদ্বেষই ছড়াচ্ছে, এ খেলা ভালো কিছু যে এখনো বয়ে আনতে পারেনি তাও সবাই ইতোমধ্যে অবলোকন করেছেন। প্রতিদ্বন্দি রাজনৈতিক ব্যাক্তির সাথে মনন ও আদর্শের লড়াইয়ে না পেরে তাকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার পুরোনো এ খেলা আমাদের এ পৃথিবীতে শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এতে করে ব্যাক্তিকে শেষ করে দেয়া যায় তবে তার আদর্শ, চিন্তা, চেতনাকে শেষ করা যায়না। আর কক্সবাজারের অহংকার মুজিবুর রহমান তার উপর নানান অপবাদ আর নীপিড়ন সহ্য করে আজো ঋজু দেবদারুর মতো দাঁড়িয়ে আছেন কক্সবাজারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিতে।

মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার;
মুজিবুর রহমানের রাজনীতির হাতে খড়ি ছাত্রজীবন থেকেই। কক্সবাজার সরকারি কলেজের জিএস থাকাকালীন সময়ে শিখে নিয়েছেন রাজনীতি ও দেশ পরিচালনার অনেক খুঁটিনাটি। বাকি থাকলো জনগনের সাথে সম্পর্ক যেহেতু কক্সবাজারের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান সেহেতু মাটির সাথে, মানুষের সাথে তার নিবিঢ় সম্পর্ক থাকবেই। তাই তিনি সেই টানে শুরু করলেন জেলার গ্রামগঞ্জ চষে বেড়ানো। শুরু করলেন তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ। কক্সবাজারের মাটিও তাকে বরন করে নিলো। বরন করে নিলো সৌভাগ্যেবান নেতাকে। পরম মমতায় স্থান করে দিলো বুকের ভিতরে, ভালোবাসার মালা পড়িয়ে কাছে টেনে নিলো তাকে। পরিনত হলেন কক্সবাজারের মানুষের হৃদয়ের স্পন্দনে। তাই তাকে নিয়ে শংকিত হলো বিরোধী পক্ষ যাদের রাজনীতি হচ্ছে ফ্যাসিজম, সংবাদ পত্রের টুঁটি চেপে ধরা, প্রপাগ্যান্ডা আর হিটলারের নাৎসীজম মতো ঘৃন্য।

একটি স্বার্থন্বেষী মহল বহিরাগতদের সাথে নিয়ে মেতে উঠেছে জেলার অহংকার, অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের শেষ ঠিকানা মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিনাশী এক খেলায় মেতে উঠেছে। কারণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমানের বিকল্প নেই। আওয়ামীলীগ নামধারী কিছু স্বার্থপর নব্য আওয়ামীলীগের জন্য মুজিবুর রহমান নিংসন্দেহে এক বিরাট সমস্যার নাম। তাদের নিত্য ভয় মুজিবের মতো নেতৃত্ব কক্সবাজারে কায়েম হলে তাদের স্বার্থ আর কোন দিন বাস্তবায়ন হবেনা।

ষড়যন্ত্রের শিকার একজন মুজিবুর রহমান:
এ মূহুর্তে আপনি যদি গুগলে একটা সার্চ দেন তাহলে দেখবেন মুজিবুর রহমানের দূর্নীতি, মুজিবের দূর্নীতি নামে অনেক রিপোর্ট, এই রিপোর্ট গুলোর মধ্যে বিস্তর অভিযোগ পাবেন মুজিবুর রহমানের নামে। আজ ৫/৬ বছর ধরে আপনি আমি সেই সব অভিযোগই কেবল শুনেছি কিন্তু কোন প্রমান আজো পেলাম না। আভিযোগের পাল্লা তার নামে ভারি হয়েছে দিন দিন এবং তার চেয়েও জোরে শোরে চলে প্রচারনা, হলুদ সাংবাদিকতার ধারক বাহকেরা মিথ্যা রিপোর্ট আর বানোয়াট কাহিনী বানিয়ে প্রথম পাতায় বড় বড় অক্ষরে ছাপায় নির্লজ্জের মতো কিন্তু আজ পর্যন্ত মুজিবুর রহমানকে চাক্ষুষ প্রমান সহ কোন দূর্নীতিতে ধরতে দেখলাম না। তার বিরোদ্ধে অভিযোগ গুলো সাজানো ও মিথ্যা তার প্রমান আজ জনগনের সামনে।

মজলুম জননেতা মুজিবুর রহমান;
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নির্যাতিত নেতার নাম মুজিবুর রহমান। অকথ্য নির্যাতন সহ্য করে এখনও টিকে আছেন এটা আল্লাহ তায়ালার এক রহমত। তার পিতা মাতা, লাখ লাখ মানুষের দোয়া ও উত্তম কাজের জন্যই আজো মুজিবুর রহমান বেঁচে আছেন। মুজিবুর রহমান বেঁচে আছেন মানুষের ভালোবাসায়, তারুন্যের চেতনায়।

কিন্তু প্রশ্ন জাগে রাজনীতিবিদ মুজিবুর রহমান কি এতোই খারাপ যে তার বিরুদ্ধে কিছু রাস্তার টুকাইকেও লেলিয়ে দিতে হবে। কিছু স্বার্থবাদী লোক তার বিরুদ্ধে যা তা বলে বেড়াচ্ছে। এসব দেখে শুনে সুবিধা বাজিরা দাঁত কেলিয়ে হাসসে।

না আসলে তা নয়, তার তার পিছনে টোকাই, চাটুকার, ধান্দাবাজ লেলিয়ে দিয়ে যা তা বলার মূল কারন হচ্ছে তাকে চিরতরে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। মুজিবুর রহমান কি রক্ষী বাহীনির মতো কোন বাহিনী বানিয়ে মানুষকে দিন দূপুরে অথবা রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে গুম করেছন? মুজিবুর রহমান কি কোন নারীর ইজ্জত সম্মানের হানির মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন? মুজিবুর রহমান কি বন্দুক সাথে নিয়ে চলা ফেরা করেন? মুজিবুর রহমান কি ব্যাংক লুটের মতো কোন অপকর্ম করেছেন? মুজিবুর রহমান কি স্বৈরাচারের মতো বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের জুলুম নির্যাতনের নির্দেশ দিয়েছেন? মুজিবুর রহমান কি দূর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন?

না, এমন কোন প্রমান আজো কেউ মুজিবের বিরুদ্ধে দাখিল করতে পারেনি। তবুও তার বিরুদ্ধেই ক্যানো এতো আক্রোশ? এই আক্রোশের পিছনে রয়েছে বহিরাগতদের ইন্ধন। আজ যখন জনতা জেগে উঠেছে তখন তার বিরুদ্ধ রটনা কারিরা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় মুজিবুর রহমান একজন সজ্জন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের দিকে ছুড়ে দেওয়া কথা/অভিযোগ গুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তাই তিনি আজ কক্সবাজারের জননেতা মুজিবুর রহমান, তিনি মজলুম।

শেষে শুধু বলতে চাই। আগামী ৮ মে সদর উপজেলা নির্বাচনকে সামনে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন নির্বাচনী পথসভা ও ঘরোয়া বৈঠকে যা বলে বেড়াচ্ছেন সে কথা গুলোর সত্যতা না থাকায় ভোটারদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়ে মুজিবের জনপ্রিয়তায় রূপান্তরিত হচ্ছে। দিন দিন বেড়েই চলছে মুজিবুর রহমানের ভোটার ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সংখ্যা। সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে মাটি ও মানুষের নেতা মুজিবুর রহমানের বিকল্প কোন নেতা নেই। তাই সদর উপজেলা সহ গোটা কক্সবাজারবাসী একজন মুজিবুর রহমানের কথা ভাবছেন। জনতার নেতা মুজিবুর রহমান ৮ তারিখ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়ে বিজয়ের মালা গলায় দিয়ে জনতার মাঝে ফিরে আসবেন।
মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসবে। কারন আমরা করবো জয়, আমাদের বুকেই আছে দেশ গড়ার প্রত্যয়।