রামুর চা বাগান এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্র তাওহীদের জানাজা আগামীকাল সকাল ১০টায় তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পিএমখালীর কাঠালিয়া মোড়া ইউনুছিয়াবাদ আজিজুল উলুম হেফজখানা ও এতিমখানা মাদ্রাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবার খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার।
তাওহীদের মরদেহবাহী গাড়িটি পিএমখালী তার গ্রামের বাড়িতে অপেক্ষা করছে তারা প্রবাসী বাবার জন্য। প্রবাস থেকে তার বাবা ঘরে ফিরলেই জানাজা সেরে কবরস্থ করা হবে তাওহীদকে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামুর চা বাগান এলাকায় ঈদগাঁও থেকে আসা দ্রুতগামী সিএনজির সাথে তাওহীদদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয় তার বন্ধুরা। কর্তব্যরত চিকিৎস মৃত্যু ঘোষণা করে মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেন।
এর পর কলেজ ছাত্র তাওহীদের মৃত্যুর খবরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে মর্গে ভীড় করে তার সহপাঠী, বন্ধু, স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা। তারা কেউ মানতে পারছিলো না একজন টগবগে তরুণ মুহুর্তেই এভাবে সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নিবে। সেদিন কান্না ও আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছিলো হাসপাতাল প্রাঙ্গন। তাওহীদকে হারিয়ে একে অপরকে স্বান্তনা দেবার চেষ্টা করছিলো।
উল্লেখ্য গতকাল বিকেলে তাওহীদের মন খারাপ হলে দুই বন্ধু দুটি মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন রামুর চা বাগানের দিকে। এসময় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চা বাগান এলাকায় পৌছাঁলে উলটো দিক থেকে আসা দ্রুতগামী সিএনিজির সাথে সংঘর্ষ হয়। মুহুর্তেই তাওহীদের মাথা ও শরীরে গুরুতর আঘাত লেগে মৃত্যু বরণ করেন।
নিহত তাওহীদ বাবু শহরের টেকপাড়ার প্রবাসী লুৎফর রহমানের বড় ছেলে। সে রামু কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিলো।