টেকনাফে সম্পত্তি বিরোধের জেরে আপন চাচার ষড়যন্ত্রে ডাকাতের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন ভাতিজা বেলাল। অপহরণের পর মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয়েছিল ৭০ লাখ টাকা। পুলিশ সেই চাচা ও ডাকাতসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। একই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত বেলালকেও।টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই চক্রান্ত নস্যাৎ করেছে।অভিযানে গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার ফকির মিস্ত্রীর ছেলে আবছার উদ্দিন (৩৩), একই এলাকার আবুল হোছাইনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৫) ও বাহারছড়া দক্ষিণ শীলখালী এলাকার মকবুল আহমদের ছেলে আমীর আহমদ (৫৫)।
বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহরণের শিকার বেলালকে উদ্ধার ও জড়িত দুই ডাকাতকে অস্ত্র এবং ষড়যন্ত্রে জড়িত চাচাকেও গ্রেফতার করে।বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে টেকনাফ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার বিকেলে বাহারছড়ার জাহাজপুরা পাহাড়ি ঢালায় দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে অপহৃত বেলালকে উদ্ধার করে, মুক্তিপণ নিতে আসা আবছার ও জসিম নামের ২ ডাকাতকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, ২ রাউন্ড কার্তুজ, একটি দা এবং কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, আটকদের দেওয়া তথ্যে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারি অপহৃত বেলালের চাচা আমীর আহমদকেও আটক করা হয়।পুলিশের তথ্য মতে, বেলালের চাচা আমীর আহমদ সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে রোহিঙ্গা ডাকাত শফি’র সঙ্গে চুক্তি করে তার ভাতিজা বেলালকে অপহরণ করান। গত সোমবার ভোরে বেলালকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারিরা প্রথম থেকেই ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল।এ ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া আটক আসামীদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরও একটি পৃথক অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়।